ল
১. আন্তর্জাতিক ধ্বনিলিপি :
lɔ
ইউনিকোড: u+09B2
বিশেষ্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{|
বর্ণ
|
বর্ণচিহ্ন |
লিখিত প্রতীক
|
প্রতীক
|
সঙ্কেতচিহ্ন
|
যোগাযোগ |
বিমূর্তন
|
বিমূর্ত
সত্তা
|
সত্তা
|}
সমার্থকশব্দসমূহ
(synonyms):
ল।
এই বর্ণের নাম
-ল
।
বাংলা বর্ণমালার
ঊনত্রিংশ (৩৯)
বর্ণ,
ব্যঞ্জনবর্ণের
২৮ সংখ্যক
বর্ণ।
স্বাধীনভাবে উচ্চারণযোগ্য
রূপ হলো- ল্ +অ=ল।
এটি
দন্ত্যমূলীয় (Alveolar),
পার্শ্বিক, তরল,
ঘোষ, স্বল্পপ্রাণ এবং স্পর্শ ধ্বনি।
শ্রবণ নমুনা
এই ধ্বনি
শব্দের শেষে থাকলে উচ্চারণের সময় রুদ্ধ হয়ে যায়। যেমন-
গরল,
তরল,
মূল
ল-এর লিপি পরিচিতি
অন্যান্য বাংলা লিপির মতই
ব্রাহ্মীলিপি
থেকে ল-বর্ণটি উদ্ভূত হয়েছে।
খ্রিষ্টপূর্ব ৩য় শতাব্দীতে এই বর্ণটি বিভিন্ন আকার ছিল ৯-এর মতো।
২য় শতাব্দীতে এই বর্ণটি বিভিন্নভাবে লিখা হয়েছে।
কিন্তু ৩য় শতাব্দীতে আবার ৯-এর আকার ফিরে এসেছে।
নিচের ছকে ব্রাহ্মীলিপির ক্রমবিবর্তনের নির্দশন তুলে ধরা হলো।
কুষাণলিপিতে
ও
গুপ্তলিপিতে
৯-এর রূপটির প্রাধান্য দেখা যায়।
তবে কুটিললিপিতে মোটামুটি আধুনিক ল-বর্ণটি ফিরে এসেছে।নিচের
চিত্রে
ব্রাহ্মীলিপি
থেকে
গুপ্তলিপি
পর্যন্ত ক-বর্ণের রূপান্তরের নমুনা দেখানো হলো―
কুটিললিপিতেই ল-এর মূল অবয়বটি স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল।
পরবর্তী সময়ে এর সামান্য কিছু হেরফের হয়েছে বিভিন্ন লিপিকারদের হাতে।
নিচের ছকে, ল-এর এই ক্রমবিবর্তনের নুমনা তুলে ধরা হলো।
২. বাংলা ব্যাকরণে এই নামে গণ এবং ক্রিয়ামূল
আছে।
দেখুন:
ল গণ ও ক্রিয়ামূল
৩.
ল (লচ্)
হিসেবে একটি সংস্কৃত কৃৎপ্রত্যয় আছে।
দেখুন:
ল (লচ্)
সূত্র :
- চলন্তিকা। রাজশেখর বসু। এমসি সরকার অ্যান্ড সন্স প্রাইভেট লিঃ।
১৪০৮।
- ধ্বনিবিজ্ঞান ও বাংলা ধ্বনিতত্ত্ব । মুহম্মদ আবদুল হাই রচনাবলী
প্রথম খণ্ড। বাংলা একাডেমী ঢাকা। আষাঢ় ১৪০১/জুন ১৯৯৪।
- পাণিনীয় শব্দশাস্ত্র । ড. সত্যনারায়ণ চক্রবর্তী। সংস্কৃত পুস্তক
ভাণ্ডার। ভগবান যিশুর আবির্ভাব তিথি, ২০০৩।
- বঙ্গীয় শব্দকোষ (প্রথম খণ্ড)। হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সাহিত্য
অকাদেমী। ২০০১।
- বাংলা একাডেমী ব্যবহারিক বাংলা অভিধান। মার্চ ২০০৫।
- বাংলা একাডেমী সমকালীন বাংলা ভাষার অভিধান । আবু ইসহাক। চৈত্র
১৪০৯/এপ্রিল ২০০৩।
- বাংলা বানান চিন্তা (প্রথম ও দ্বিতীয় খণ্ড)। অধ্যাপক পি.
আচার্য। জুলাই ১৯৯৭।
- বাঙ্গালা ভাষার অভিধান (প্রথম ও দ্বিতীয় খণ্ড)। জ্ঞানেন্দ্রমোহন
দাস। সাহিত্য সংসদ। নভেম্বর ২০০০।
- বাঙ্গালা শব্দকোষ। যোগেশচন্দ্র রায় বিদ্যানিধি। ভূর্জপত্র।
দোলযাত্রা ১৩৯৭।
- বাংলা একাডেমী সমকালীন বাংলা ভাষার অভিধান স্বরবর্ণ অংশ। আবু ইসহাক।
ফাল্গুন ১৪০৪/ফেব্রুয়ারি ১৯৯৮।
- ব্যাবহারিক বাংলা উচ্চারণ অভিধান। আনিসুজ্জামান, ওয়াহিদুল হক, জামিল
চৌধুরী, নরেন বিশ্বাস। জাতীয় গণমাধ্যম ইনসটিটিউট। ৮ ফাল্গুন ১৩৯৪
- ভাষাপ্রকাশ বাঙ্গালা ব্যাকরণ। সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়। রূপম। মে
১৯৮৯।
- শব্দবোধ অভিধান। আশুতোষ দেব। দেব সাহিত্য কুটির। মার্চ ২০০০।
- শব্দসঞ্চয়িতা। ডঃ অসিতকুমার বন্দোপাধ্যায়। নিউ সেন্ট্রাল বুক
এজেন্সি প্রাঃ লিমিটেড। ২৩শে জানুয়ারি, ১৯৯৫।
- শব্দার্থ প্রকাশিকা। কেশবচন্দ্র রায় কর্মকার। দেব সাহিত্য কুটির।
মার্চ ২০০০।
- সংসদ বাংলা অভিধান। সাহিত্য সংসদ। শৈলেন্দ্র বিশ্বাস। মার্চ ২০০২।
- সমগ্র ব্যাকরণ কৌমুদী। সাহিত্য সংসদ। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।
ডিসেম্বর ২০০৩।
- সরল বাঙ্গালা
অভিধান। সুবলচন্দ্র
মিত্র।
- সাধারণ ভাষাবিজ্ঞান ও বাংলা ভাষা।
ডঃ রামেশ্বর শ'। পুস্তক বিপণি। ৮ই ফাল্গুন, ১৩৯৪/২১শে ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৮।
-
wordnet 2.1