ম
১. আন্তর্জাতিক
ধ্বনিলিপি:
mɔ
ইউনিকোড
: u+09AE
বিশেষ্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{|
বর্ণ
|
বর্ণচিহ্ন |
লিখিত প্রতীক
|
প্রতীক
|
সঙ্কেতচিহ্ন
|
যোগাযোগ |
বিমূর্তন
|
বিমূর্ত
সত্তা
|
সত্তা
|}
সমার্থকশব্দসমূহ
(synonyms):
ম।
এই বর্ণের নাম
-ম
।
বাংলা বর্ণমালার
৩৬ সংখ্যক
বর্ণ,
ব্যঞ্জনবর্ণের
২৫ সংখ্যক
এবং প বর্গের পঞ্চম
বর্ণ।
স্বাধীনভাবে
উচ্চারণযোগ্য
রূপ হলো- ম্ +অ=ম।
এটি
স্পর্শ
ধ্বনি,
(ওষ্ঠাধর), ঘোষ, অল্পপ্রাণ ও নাসিক্য।
ম-এর
লিপি পরিচিতি
অন্যান্য বাংলা লিপির মতই
ব্রাহ্মীলিপি
থেকে ম-বর্ণটির উদ্ভূত হয়েছে।
প্রাচীন শিলাখণ্ডে খোদিত
ব্রাহ্মীলিপিতে (খ্রিষ্টপূর্ব ৩য়-১ম শতাব্দী) বিচিত্রভাবে
পরিবর্তিত হয়েছে।
নিচের চিত্রে ব্রাহ্মীলিপিতে এই বর্ণের ক্রমবিবর্তন দেখানো হলো।
কুষাণলিপিতে ম-বর্ণটির ব্রাহ্মীলিপির অনুরূপ ছিল। তবে এর অন্য সংস্করণ ছিল। গুপ্তলিপিতে এই বর্ণটির বিভিন্ন রকমের আকার লম্য করা যায়। কুটিললিপির শেষের দিকে ম-এর কিছুটা আদল পাওয়া গিয়েছিল। নিচের ছকে কুষাণলিপি থেকে গুপ্তলিপি পর্যন্ত বিবর্তনের নমুনা তুলে ধরা হলো।
কুটিললিপিতে গৃহীত ম-বর্ণটিই সামান্য পরিবর্তনের ভিতর দি্য়ে আধুনিক রূপ লাভ করেছে। নিচের ছকে কুটিললিপি থেকে বর্তমানকালের ম-এর ক্রমবিবর্তনের নমুনা তুলে ধরা হলো।
২. বাংলা ক্রিয়ামূল। দেখুন:
ম।
তথ্যসূত্র:
১. প্রাচীন ভারতীয় লিপিমালা।গৌরীশঙ্কর ওঝা। অনুবাদ ও সম্পাদনা : মনীন্দ্র
নাথ সমাজদার। বাংলা একাডেমী ঢাকা। আষাঢ় ১৩৯৬, জুন ১৯৮৯।
২. বাঙালা লিপির উৎস ও বিকাশের অজানা ইতিহাস। এস,এম. লুৎফর রহমান। বাংলা
একাডেমী ঢাকা। ফাল্গুন ১৪১১, মার্চ ২০০৫।
৩. বর্ণমালার উদ্ভববিকাশ ও লিপিসভ্যতার ইতিবৃত্ত। দেওয়ান গোলাম মোর্তজা।
বাংলা একাডেমী ঢাকা। জ্যৈষ্ঠ্য ১৪১০, মে ২০০৩।
৪. সংস্কৃত বর্ণমালার ইতিহাস। রবীন্দ্রনাৎ ঘোষঠাকুর। বাংলা একাডেমী ঢাকা।
কার্তিক ১৩৮৫, নভেম্বরে ১৯৭৮।