মাস
বানান বিশ্লেষণ: ম্+আ+স্+অ
উচ্চারণ: maʃ (মাশ্)
শব্দ-উৎস: বৈদিক মস্> সংস্কৃত মাসঃ>বাংলা মাস।
রূপতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ:

১. √মা (পরিমাণ) +অস (অসুন)= মাস্ (শুক্লপক্ষ ও কৃষ্ণপক্ষের বিচারে সময়ের পরিমাপক হিসেবে চন্দ্র)।
     মাস্ (চন্দ্র)+ অ (অণ্), সম্বার্থে।

পদ: বিশেষ্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা {| সময়-কাল | মৌলিক পরিমাপ | মাপ | বিমূর্তন | বিমূর্ত-সত্তা | সত্তা |}

অর্থ: প্রাচীন ভারতের জ্যোতির্বিজ্ঞানে শুক্লপক্ষ ও কৃষ্ণপক্ষ মিলে যে সময় একক হিসেবে বিবেচনা করা হতো, তার নাম ছিল মাস। প্রাচীন  মাস শব্দটি ছিল চান্দ্রবৎসরে ব্যবহার করা হতো। কালক্রমে সৌরবৎসরের ধারণা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর, এই শব্দটি সৌরবৎসরের জন্য ব্যবহৃত হতে থাকে। চান্দ্রবৎসরে বিচারে মাস হয় ২৯ বা ৩০ দিন। কিন্তু এর সাথে যুক্ত থাকে চাঁদের কৃষ্ণপক্ষ ও শুক্লপক্ষের হিসেব। সাধারণভাবে সৌরবৎসরের মাস ধরা হয় ৩০ দিনে, কিন্তু এই সংখ্যা ২৮, ২৯, ৩০, ৩১, ৩২ ইত্যাদি দেখা যায়। তবে ১২টি মাস নিয়ে যে বড় একক তৈরি হয়। তাকে বলা হয় বৎসর। [বিস্তারিত দেখুন: মাস]
ইংরেজি: month

যৌগিক শব্দ:

• পূর্বপদ: মাসকাবার, মাসকাবরী, মাসকিয়া, মাসবৃদ্ধি, মাসমাহিনা, মাসহরা, মাসহারা, মাসান্ত, মাসান্তিক, মাসার্ধ, ।
• পরপদ: অধিমাস, মলমাস

প্রত্যায়ান্ত শব্দ: মাসিক, মাসোয়ারা।

সূত্র :

• চলন্তিকা। রাজশেখর বসু। এমসি সরকার অ্যান্ড সন্স প্রাইভেট লিঃ। ১৪০৮। পৃষ্ঠা: ৫৯১।
• বঙ্গীয় শব্দকোষ (প্রথম খণ্ড)। হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সাহিত্য অকাদেমী। ২০০১। পৃষ্ঠা: ১৭৮৩।
• বাংলা একাডেমী ব্যবহারিক বাংলা অভিধান। মার্চ ২০০৫। পৃষ্ঠা: ৯৮২।
• বাঙ্গালা ভাষার অভিধান (প্রথম খণ্ড)। জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস। সাহিত্য সংসদ। নভেম্বর ২০০০। পৃষ্ঠা: ১৭৬৪।
• বাঙ্গালা শব্দকোষ। যোগেশচন্দ্র রায় বিদ্যানিধি। ভূর্জপত্র। দোলযাত্রা ১৩৯৭। পৃষ্ঠা: ৭৭০
• ভারতী বাঙলা অভিধান। বিশিষ্ট পণ্ডিত ও অধ্যাপকমণ্ডলী কর্তৃক সম্পাদিত। ভারতী বুক স্টল। ১৯৫৯। পৃষ্ঠা: ৭৫১।
• শব্দবোধ অভিধান। আশুতোষ দেব। দেব সাহিত্য কুটির। মার্চ ২০০০। পৃষ্ঠা: ৭৩২।
• শব্দসঞ্চয়িতা। ডঃ অসিতকুমার বন্দোপাধ্যায়। নিউ সেন্ট্রাল বুক এজেন্সি প্রাঃ লিমিটেড। ২৩শে জানুয়ারি, ১৯৯৫। পৃষ্ঠা: ৬৯৯।
• শব্দার্থ প্রকাশিকা। কেশবচন্দ্র রায় কর্মকার। দেব সাহিত্য কুটির। মার্চ ২০০০। পৃষ্ঠা: ৫৩৬।
• সংসদ বাংলা অভিধান। সাহিত্য সংসদ। শৈলেন্দ্র বিশ্বাস। মার্চ ২০০২। পৃষ্ঠা: ৭০৩।
• সংস্কৃত বাংলা অভিধান। শ্রীঅশোক কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। সৃষ্টি, হুগলী। ১৪০৮ বঙ্গাব্দ। পৃষ্ঠা: ৩২৭।
• সচিত্র প্রকৃতিবাদ অভিধান (চতুর্থ সংস্করণ)। রামকমল বিদ্যালঙ্কার। ১২৯৫। পৃষ্ঠা: ৯৬।
• wordnet 2.1