ড়
এই বর্ণটি ড-এর
রূপান্তর মাত্র। সংস্কৃত ও নব্যভারতীয় ভাষায় এই বর্ণ ড হিসেবে লেখা হয়। উচ্চারণ
অনুসারে ড বা ড় হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এই দুটি উচ্চারণের পার্থক্য রাখার জন্য,
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ড বর্ণের নিচে বিন্দু যুক্ত করে ড় হিসেবে পৃথক বর্ণ নির্দেশ
করেন।
এটি দন্তমূলীয় তাড়নজাতীয় এবং অল্পপ্রাণ ধ্বনি। শব্দের আদিতে এর প্রয়োগ নাই। তবে
শব্দের মাছে বা শেষে এর প্রয়োগ আছে। যেমন- বাড়ি, গাড়ি, গড়িয়াহাট ইত্যাদি।
উচ্চারণ: ড়্
[ɽ ]
পদ:
বিশেষ্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা {তাড়নজাত |
বাংলা বর্ণ |
বর্ণ |
বর্ণচিহ্ন
|
লিখিত প্রতীক |
প্রতীক |
সঙ্কেতচিহ্ন
| যোগাযোগ|
বিমূর্তন
|
বিমূর্ত-সত্ত্বা |
সত্তা}
সূত্র:
- চলন্তিকা। রাজশেখর বসু। এমসি সরকার অ্যান্ড সন্স প্রাইভেট লিঃ।
১৪০৮।
- ধ্বনিবিজ্ঞান ও বাংলা ধ্বনিতত্ত্ব । মুহম্মদ আবদুল হাই রচনাবলী
প্রথম খণ্ড। বাংলা একাডেমী ঢাকা। আষাঢ় ১৪০১/জুন ১৯৯৪।
- বঙ্গীয় শব্দকোষ (প্রথম খণ্ড)। হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সাহিত্য
অকাদেমী। ২০০১।
- বাংলা একাডেমী ব্যবহারিক বাংলা অভিধান। মার্চ ২০০৫।
- বাংলা একাডেমী সমকালীন বাংলা ভাষার অভিধান । আবু ইসহাক। চৈত্র
১৪০৯/এপ্রিল ২০০৩।
- বাংলা বানান চিন্তা (প্রথম ও দ্বিতীয় খণ্ড)। অধ্যাপক পি.
আচার্য। জুলাই ১৯৯৭।
- বাঙ্গালা ভাষার অভিধান (প্রথম ও দ্বিতীয় খণ্ড)। জ্ঞানেন্দ্রমোহন
দাস। সাহিত্য সংসদ। নভেম্বর ২০০০।
- বাংলা একাডেমী সমকালীন বাংলা ভাষার অভিধান স্বরবর্ণ অংশ। আবু ইসহাক।
ফাল্গুন ১৪০৪/ফেব্রুয়ারি ১৯৯৮।
- ব্যাবহারিক বাংলা উচ্চারণ অভিধান। আনিসুজ্জামান, ওয়াহিদুল হক, জামিল
চৌধুরী, নরেন বিশ্বাস। জাতীয় গণমাধ্যম ইনসটিটিউট। ৮ ফাল্গুন ১৩৯৪
- ভাষাপ্রকাশ বাঙ্গালা ব্যাকরণ। সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়। রূপম। মে
১৯৮৯।
- শব্দবোধ অভিধান। আশুতোষ দেব। দেব সাহিত্য কুটির। মার্চ ২০০০।
- শব্দসঞ্চয়িতা। ডঃ অসিতকুমার বন্দোপাধ্যায়। নিউ সেন্ট্রাল বুক
এজেন্সি প্রাঃ লিমিটেড। ২৩শে জানুয়ারি, ১৯৯৫।
- শব্দার্থ প্রকাশিকা। কেশবচন্দ্র রায় কর্মকার। দেব সাহিত্য কুটির।
মার্চ ২০০০।
- সংসদ বাংলা অভিধান। সাহিত্য সংসদ। শৈলেন্দ্র বিশ্বাস। মার্চ ২০০২।
- সরল বাঙ্গালা
অভিধান। সুবলচন্দ্র
মিত্র।