সেমেটিক
বানান বিশ্লেষণ: স্+এ+ম্+এ+ট্+ই+ক্।
উচ্চারণ:
se.me.ʈik
(সে.মে.টিক)
শব্দ-উৎস: ইংরেজি
semetic>
বাংলা সেমোটিক
পদ :
বিশেষ্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা {
আফ্রো-এশিয়াটিক ভাষা পরিবার
|
প্রাকৃতিক ভাষা |
ভাষা |
যোগাযোগ |
বিমূর্তন |
বিমূর্ত সত্তা |
সত্তা
| }
অর্থ:
আফ্রো-এশিয়াটিক ভাষা পরিবার
-এর
৭টি ভাষা উপ-পরিবারের অন্তর্গত একটি। এই ভাষা উপ-পরিবারের অন্তর্গত ভাষা সংখ্যা
৭৮টি। দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া, হর্ন অফ আফ্রিকা, উত্তর
আফ্রিকা এবং মাল্টাতে প্রায় ৩৩ কোটি মানুষ এই পরিবারে ভাষাসমূহে কথা বলে। ১৭৮০
খ্রিষ্টাব্দের দিকে বাইবেলে বর্ণিত সেমে-এর নামানুসুরে গোটিনগেন ইতিহাস শিক্ষায়তন
এই ভাষা উপপরিবারের নামকর্ণ করেছিল। উল্লেখ্য শেম ছিলেন নুহ নবীর সন্তান।
এই ভাষা পরিবারের আদি ভাষা প্রচলিত ছিল পূর্ব আক্কাদিয়ান অঞ্চলে।
খ্রিষ্টপূর্ব ৩০০০-২৫০০ অব্দের দিকে কীলকলিপিতে রচিত লেখা আক্কাদিয়ান এবং ইব্লাইট
পাঠ্য পাওয়া যায়। এই ভাষা থেকে উৎপন্ন হয়েছিল আরবি,
আরামাইক,
উগারিটিক, ফিনিশয়ান, মাল্টিজ, সিরিয়াক,
হিব্রু ।
সেমেটিক ভাষা পরিবারের অধিকাংশ ভাষা লিখা হয় আবজাদা লিখন
পদ্ধতিতে। এই ভাষায় শুধু ব্যঞ্জনবর্ণ পাওয়া যায়। পাঠক এর সাথে প্রয়োজন মতো স্বরবর্ণ
যুক্ত করে নেন। এই পরিবারের একমাত্র লিপি মাল্টিজ, যা লাতিন লিপিতে লেখা হয়।
অধিকাংশ সেমেটিক ভাষা লেখা হয়ে ডান থেকে বাম দিকে। ব্যাতক্রমী ভাষা উগারিটিক। এই
ভাষা লেখা হয় উপর থেকে নিচের দিকে। ইথিওপিয়া এবং ইরিত্রিয়াতে সেমেটিক ভাষা
লেখা হয় বাম থেকে ডান দিকে।
সেমেটিক পরিবারের অন্তর্গত ভাষাগুলোর নমুনা অনুসরণ করলে দেখা
যায়,এই আদি নমুনা হিসেবে বিবেচিত সুমেরীয় সাহিত্যের
আক্কাদিয়ান ভাষা। খ্রিষ্টপূর্ব ২য় সহস্রাব্দের প্রথম দিকে , ব্যাবিলনিয়া এবং অ্যাসিরিয়ার আক্কাদিয়ান উপভাষাগুলি সুমেরীয়দের
মধ্য আদি সেমেটিক ভাষার প্রচলন ছিল। সে সময়ে এই ভাষা লেখা হতো-
কীলকলিপিতে।
এই সূত্রে যার ফলে আক্কাদিয়ান মেসোপটেমিয়ার প্রধান
ভাষা হয়ে উঠেছিল । প্রাচীন শহর ইবলা (আধুনিক টাল মারদিখ, সিরিয়া) আবিষ্কারের ফলে খ্রিস্টপূর্ব ৩য় সহস্রাব্দের মাঝামাঝি থেকে এবলাইতে লেখা আর্কাইভের সন্ধান পাওয়া যায়।
সূত্র :
http://www.ethnologue.com/