অনন্তাসনে খোকন |
অনন্তাসন
যোগশাস্ত্রে বর্ণিত
আসন বিশেষ।
হিন্দু পৌরাণিক কাহিনি মতে―
অনন্ত একটি
সাপ বিশেষ। কালিকা পুরাণ মতে―
প্রলয় শেষে
বিষ্ণু
লক্ষ্মীর
সাথে এই সাপের মধ্যম ফণায় শয়ন করেন এবং এর ফণাগুলো
বিষ্ণুকে
ছাতার মতো আচ্ছাদন দিতে থাকে। এঁর দক্ষিণ ফণায়
বিষ্ণুর
উপাধান ও উত্তর ফণায় পাদপীঠ।
বিষ্ণু
পুরাণের মতে―
ইনি বলরামের অবতার। উল্লেখ্য, অনন্তদেবের অন্যন্য নাম―অনন্তশীর্ষ,
অহিপতি,
অহিরাজ,
অহীন,
অহীশ্বর,
বাসুকি,
শেষনাগ।
অনন্তের ফনায় শায়িত অবস্থায়
বিষ্ণু
যে ভঙ্গিতে শয়ন করতেন, সেই ভঙ্গি অনুকরণে রচিত আসনই হলো অনন্তাসন (অনন্ত+আসন)।
পদ্ধতি
১. প্রথমে দুই পা সোজা করে চিৎ হয়ে শুয়ে পড়ুন। এই সময় উভয় হাত শরীরের পাশে
স্থাপন করুন।
২. এবার ডান হাতের তালু প্রসারিত করে, ডান গালে স্থাপন করুন। কানের পুরো অংশটুকু
বৃদ্ধাঙ্গুল ও তর্জনীর ফাঁকের ভিতরে রাখুন।
৩. ডান কনুইতে ভর দিয়ে ডান দিকে কাৎ হয়ে শয়ন করুন। ডান বাহু একটু প্রসারিত করে,
পুরো মাথার ভার ডান হাতের তালুর উপরে ছেড়ে দিন।
৪. বাম পা ভাঁজ করে ডান উরুর কুচকি বরাবর স্থাপন করুন। এবার বাম হাত দিয়ে বাম পায়ের
অগ্রভাগ চেপে ধরুন।
৫. স্বাভাবিকভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস চালান এবং ৩০ সেকেণ্ড স্থির হয়ে থাকুন।
৬. এরপর আসন ত্যাগ করে বাম পাশ ফিরে একই রকমভাবে আসনটি করুন। এরপর ৩০ সেকেণ্ড
শবাসনে
বিশ্রাম নিন।
এরপর একইভাবে আরও দুইবার আসনটি করুন।
উপকারিতা
১. হাত ও ঘাড়ের ব্যায়াম হয়।
২. হাতের কব্জি, কাঁধ ও ঘাড়ের বেদনা দূর হয়।
৩. মেরুদণ্ড সতেজ হয়।
৪. অনিদ্রা দূর হয়।
সূত্র :
যোগাসনে রোগ আরোগ্য। ডঃ রমেন মজুমদার
রোগারোগ্যে যোগব্যায়াম। কানাইলাল সাহা
যোগ সন্দর্শন। ডাঃ দিব্যসুন্দর দাস
যোগ ব্যায়াম। সবিতা মল্লিক