অশ্বিনী মুদ্রা
যোগশাস্ত্রে বর্ণিত এক প্রকার মুদ্রা
খানে অশ্বের স্ত্রীলিঙ্গ অর্থে অশ্বিনী শব্দটি নেওয়া হয়েছে। ঘোড়া যেমন মলত্যাগের পর, তার মল দ্বার কিছুক্ষণ সঙ্কুচিত ও প্রসারিত করে থাকে, তেমনি যোগী যখন মলনালীর ব্যায়ামের জন্য এরূপ কর্ম করেন তখন তাকে অশ্বিনীমুদ্রা বলা হয়।

পদ্ধতি
. যে কোন সহজ আসনে থাকা অবস্থায় এই মুদ্রার চর্চা করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে আসনগুলো হতে পারে
পদ্মাসন, সুখাসন, বজ্রাসন, গোমুখাসন ইত্যাদি।
. শরীর স্থির রেখে, ধীরে ধীরে মলদ্বারকে সঙ্কুচিত করে পেটের ভিতরে টেনে নেবার চেষ্টা করুন এবং ধীরে ধীরে আবার ছেড়ে দিন। এইভাবে একবার মলদারকে টেনে নেওয়া ও একবার ছেড়ে দেওয়াকে ১ মাত্রা বলা হবে। এইভাবে পরপর ৬ বার করে বিশ্রাম নিন।
. ক্রমে ক্রমে মাত্রা সংখ্যা বাড়িয়ে ৮, ১০, ১২ সংখ্যক করতে পারেন।
৪. সবশেষে
শবাসনে বিশ্রাম নিন।

সতর্কতা
র্শ ব্যতীত যাঁদের মলদ্বারে ঘা বা কোন ধরনের ক্ষত আছে, তাঁরা এই মুদ্রাটি করবেন না। 

উপকারিতা
.র্শ রোগের জন্য এটি বিশেষ সুফল প্রদান করে থাকে।
. যাঁদের মলদ্বার স্থানচ্যুত হয়ে বাইরের দিকে ঝুঁকে পড়েছে, তাঁরা এই মুদ্রার চর্চা করতে পারেন।
. যাঁদের প্রস্রাবের উপর নিয়ন্ত্রণ কম বা সহজে প্রস্রাব ধারণ করতে পারেন না, তাঁরা এই মুদ্রার চর্চা করবেন।
. এই মুদ্রায় পুরুষের বীর্যধারণক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, কামভাব কমে যায়। একই সাথে দ্রুত ও অকারণে বীর্যস্খলন থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

নিষেধ :
১.  ১২ বছরের কম বয়সী ছেলে-মেয়েদের জন্যও মুদ্রাটি অভ্যাস করা বারণ।
২. ঋতুমতী না হওয়ার আগে মেয়েদের জন্য নিষিদ্ধ।


সূত্র :
যোগাসনে রোগ আরোগ্য
। ডঃ রমেন মজুমদার
রোগারোগ্যে যোগব্যায়াম। কানাইলাল সাহা
যোগ সন্দর্শন। ডাঃ দিব্যসুন্দর দাস
যোগ ব্যায়াম। সবিতা মল্লিক
http://horoppayoga.wordpress.com/