১৪৫৯ খ্রিষ্টাব্দে
মিন খায়ই মৃত্যুবরণ করেন। এরপর তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন বা সো
ফিয়ু। সিংহাসন লাভের
পর, বা সো ফিয়ু রাজ্যের
অবস্থা স্থিতিশীল রাখার উদ্যোগ নেন। এই সময়
চট্টগ্রামের পশ্চামাঞ্চল ছিল বাংলার সুলতান রুকুনুদ্দীন বারবাকের শাসনাধীন।
১৪৫৯ খ্রিষ্টাব্দের শেষার্ধে বা
সো ফিয়ু বাংলার সুলতানের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের যুদ্ধ করেন এবং
চট্টগ্রাম-এর উপর পূর্ণ কর্তৃত্ব লাভ করতে সক্ষম হন
চট্টগ্রাম-জয়ের পর তিনি মুদ্রা প্রচলন করেন। এই মুদ্রায় ছিল
ফার্সি ভাষায়
কালিমা উৎকীর্ণ ছিল। মহাবোধি শেয়ুগু মন্দির
১৪৬১ খ্রিষ্টাব্দের আরাকানের একটি বৌদ্ধ ধর্মীয় জনগোষ্ঠী বিদ্রোহ করে। এই বিদ্রোহ
তিনি সহজেই দমন করতে সক্ষম হন। এই বিদ্রোহ দমনের পর ১৪৬৩ খ্রিষ্টাব্দে তিনি পিয়ুন
হৎয়ুং নগরী নির্মাণ করেন। এছাড়া ১৪৭১ খ্রিষ্টাব্দে তিনি
ম্রায়ুক উ
নগরীর সংস্কার
করেন। নগর বর্ধিত করার পাশাপাশি তিনি নগরীতে জল সরবরাহ এবং যোগাযোগের জন্য পরিখা
এবং জলপ্রণালী তৈরি করেন।
১৪৭৬ খ্রিষ্টাব্দের ২৩শে মে, থেট জনগোষ্ঠী বিদ্রোহ করে। তিনি কঠোর হস্তে এই
বিদ্রোহ দমন করেন।
এরপর তিনি অন্যান্য রাজ্যের
সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। এই সূত্রে তৎকালীন সিংহলের সাথে
গভীর সম্পর্ক গড়ে উঠে। এই সূত্রে তিনি সিংহলরাজের সহায়তায় মারায়ুক-উ'র উত্তরে
নির্মাণ করেছিলেন মহাবোধি শেয়ুগু মন্দির। সূত্র: https://en.wikipedia.org/wiki/Ba_Saw_Phyu
১৪৮১ খ্রিষ্টাব্দ একটি বড় ধরনের বিদ্রোহ দেখা দেয়
চট্টগ্রাম-এ। ফলে এই বছরের ডিসেম্বর মাসের দিকে তিনি
চট্টগ্রাম-এ অভিযান চালান। বিদ্রোহীদের সাথে ভয়ঙ্কর কয়েকদিন ধরে যুদ্ধ হয় এবং
শেষ পর্যন্ত এই বিদ্রোহ দমন করতে সক্ষম হন।
বা সো ফিয়ু তাঁর সন্তানদের মধ্যে ভবিষ্যৎ উত্তরাধিকার হিসেবে গামানিকে বেছে
নিয়েছিলেন। তিন ভবিষ্যৎ রাজার নাম ঘোষণার আগেই, তাঁর অপর ছেলে
মিন
ডাওলিয়া, ১৪৮২
খ্রিষ্টাব্দের ৫ই আগষ্ট তাঁর চাকরকে দিয়ে পিতাকে হত্যা করান। এর ফলে বড় ছেলে হওয়ার
সুবাদে রাজত্ব লাভ করেন মিন
ডাওলিয়া।
বা সো ফিয়ু'র দুটি রানি ছিলেন। এঁরা হলেন- সো নান্দি ও সো হৎইন। এই দুই রানির
সন্তানরা ছিলেন- পুত্র মিন
ডাওলিয়া, গামানি, ও নরপতি সেক্কাইয়া। কন্যা সো মি সো এবং অপর
একটি কন্যা, যার নাম যান জানা নি।