[সূত্র: নজরুলের শ্রুতিধর ধীরেন দাস। আসাদুল হক। হতেখড়ি, ঢাকা। জানুয়ারি ২০০৪।
পৃষ্ঠা: ৫৭-৫৮]
এই সময় তিনি গান পরিবেশেনে কাজী নজরুল ইসলাম, আব্বাসউদ্দিন,
ধীরেন্দ্রনাথ দাস-এর
সাহযর্যে সমৃদ্ধ হয়েছিলেন।
পরবর্তী সমায়ে আব্দুল আলীম গান শিখেছিলেন-
বেদারউদ্দীন আহমেদ, ওস্তাদ মোহাম্মদ খসরু, মমতাজ আলী খান, আব্দুল লতিফ, কানাইলাল শীল, আব্দুল হালিম চৌধুরী প্রমুখের কাছে।
১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে পাক-ভারত বিভাজনের পর, তিনি তদানীন্তন পূর্ব-পাকিস্তানে চলে আসেন।
তিনি এরপর রেডিওতে স্টাফ আর্টিস্ট হিসেবে গান গাওয়া শুরু করেন।
১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দে ৯
আগষ্ট তিনি বেতারে প্রথম, ‘ও মুর্শিদ পথ দেখাইয়া দাও'
গানটি পরিবেশন করেন।
ঢাকায় আসার পর তাঁর সাথে বিশেষ হৃদ্যতা হয়- জসীম উদ্দীনের কাছে। পরে তিনি
মমতাজ আলী খানের কাছে লোকগানের তালিম গ্রহণ
নেন।
১৯৫৬ খ্রিষ্টাব্দে আব্দুল জব্বার খানের পরিচালনায় পূর্ব-পাকিস্তানের প্রথম সবআক
চলচ্চিত্র 'মুখ ও মুখোশ' মুক্তি পায়। এই ছবিতে তিনি প্রথম প্লে-ব্যাক শিল্পী
হিসেবে কণ্ঠ দান করেন।
১৯৬৪ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ ডিসেম্বর (শুক্রবার ১০ পৌষ ১৩৭১)
আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকায় টেলিভিশন (বর্তমানে
বাংলাদেশ টেলিভিশন)কার্যক্রম শুরু হয়।
রেকর্ড ও চলচ্চিত্রে তিনি প্রায় ৫ শতাধিক গান পরিবেশন করেছেন।
পেশাগত জীবনে আবদুল আলীম ছিলেন ঢাকা সঙ্গীত কলেজের লোকগীতি বিভাগের অধ্যাপক।
১৯৭৪ খ্রিষ্টাব্দের ৫ সেপ্টেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
পুরস্কার