সুরেন্দ্রনাথ ঠাকুর
(১৮৭২ – ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দ)
 ব্রিটিশ ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবী, ভারতের সমবায় ও ব্যাংকিঢ ব্যবস্থার পথিকৃৎ।

১৮৭২ খ্রিষ্টাব্দের ২৬ জুলাই পিতার কর্মস্থল পুনাতে জন্মগ্রহণ জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন প্রথম ভারতীয় আইসিএস সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর। মায়ের নাম জ্ঞানদানন্দিনী দেবী

১৮৯৩ খ্রিষ্টাব্দে সেন্টজেভিয়ার্স কলেজ থেকে বিএ পাশ করেন।
১৮৯৫ খ্রিষ্টাব্দে রবীন্দ্রনাথ 
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁকে এবং বলেন্দ্রনাথ ঠাকুরকে পাট, ভুষিমাল ও আখমাড়াই কলের ব্যবসায়ে নামিয়েছিলেন। তবে এই ব্যবসায় তিনি বেশি সুবিধা করতে পারেন নি।
১৯০৮-০৯ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত তিনি ইংল্যান্ডে জীবনবীমা ব্যবসার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।

১৯০২ খ্রিষ্টাব্দে ব্যারিস্টার
প্রমথনাথ মিত্রের সংস্পর্শে এসে তিনি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে সশস্ত্র বিপ্লবের ভাবনার দ্বারা উদ্বুদ্ধ হন। এই বছরের ২৪শে মার্চ, কলকাতার ১২ মদন মিত্র লেনে ব্যারিষ্টার  সতীশচন্দ্র বসু প্রমথনাথ মিত্রের উদ্যোগে বিপ্লবী দল হিসেবে 'অনুশীলন সমিতি স্থাপিত হলে, তিনি এই সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ পদে ছিলেন

১৯০৩ খ্রিষ্টাব্দের দিকে তিনি সশস্ত্র বিপ্লবকে সমর্থন করলেও, এই কার্যক্রম থেকে ধীর ধীরে সরে আসেন এবং প্রাতিষ্ঠানিক সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। তিনি ইংল্যান্ড থেকে জীবনবীমা'র প্রশিক্ষণকে কাজে লাগিয়ে ভারতে জীবনবীমার সাংগঠনিক রূপ দেওয়ার চেষ্টা করেন। তিনি অম্বিকা উকিলের সহযোগিতায় '‌হিন্দুস্তান কো-অপারেটিভ ইন্সিওরেন্স কোং' নামক একটি প্রতিষ্ঠানের সূচনা করেন। এছাড়া শিলাইদহে প্রতিষ্ঠা করেন 'কো-অপারেট সোসাইটি।

১৯০৩ খ্রিষ্টাব্দের ৬ ই জুলাই প্রিয়নাথ শাস্ত্রীরর কন্যা সংজ্ঞা দেবীকে বিবাহ করেন। ধারণা করা হয় এই বিবাহ উপলক্ষেই রবীন্দ্রনাথ গান লেখেন- " যে তরণীখানি ভাসালে দুজনে " ও " দুজনে যেথায় মিলিছে সেথায়"।


১৯০৫ খ্রিষ্টাব্দে গগনেন্দ্রনাথ, সুরেন্দরনাথকে সাথে নিয়ে
রবীন্দ্রনাথ কুষ্টিয়াতে বয়ন বিদ্যালয় স্থাপন করেছিলেন।

রবীন্দ্রনাথের উৎসাহে সুরেন্দ্রনাথ মহাভারতের মূল আখ্যান অনুবাদ শুরু করেছিলেন। ১৯০৬ খ্রিষ্টাব্দে এই আখ্যান গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়েছিল।

১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দের ৩ মে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

তাঁর রচিত গ্রন্থ: