নাটকটি
প্রথম বাসন্তিকা নামে গ্রন্থভুক্ত হয়েছিল ১৯৮৯ খ্রিষ্টাব্দে আব্দুল আজিজ সম্পাদিত 'অপ্রকাশিত
নজরুল' গ্রন্থে। পরে তা বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত নজরুল রচনাবলী ও পশ্চিমবঙ্গের
বাংলা আকাদেমির 'কাজী নজরুল ইসলাম রচনা সমগ্র'তে অন্তরভুক্ত হয়েছিল।
উল্লেখ্য এই নাটকের গানগুলো নিয়ে কলকাতা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত হয়েছিল বাসন্তীকুঞ্জ'
নামক সঙ্গীতানুষ্ঠান। বেতারকেন্দ্র থেকে এই অনুষ্ঠান প্রচারিত হয়েছিল- ১৯৪০
খ্রিষ্টাব্দের ২৭ এপ্রিল (শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৩৪৭), সন্ধ্যা ৭.১৫-৭.৪৪ মিনিট পর্যন্ত।
বেতার জগৎ। ১১শ বর্ষ, ৮ম সংখ্যার অনুষ্ঠান সূচীতে [পৃষ্ঠা: ৪৩৩] এই
সঙ্গীতানুষ্ঠান সম্পর্কে লেখা হয়েছিল-
কলকাতা কেন্দ্র। সান্ধ্য অনুষ্ঠান।
৭,১৫-৭.৪৪
বেতার প্রচারিত এই সঙ্গীতানুষ্ঠান সম্পর্কে নজরুলে-সঙ্গীত গবেষক
আসাদুল হক তাঁর 'নজরুল যখন বেতার' গ্রন্থে [পৃষ্ঠা: ১৪৬] লিখেছেন-
' এইচএমভি কর্তৃক ররের্ড-কৃত 'বাসন্তিকা' নাটকের গানগুলোই এ সঙ্গীতানুষ্ঠানে
ব্যবহৃত হয়েছিল।'
বাসন্তীকুঞ্জ [সঙ্গীতানুষ্ঠান]
রচনা ও সংগঠনা: কাজি নজরুল ইসলাম
বর্ণনা: অনিল দাস
সঙ্গীতানুষঙ্গ: যন্ত্রীসংঘ
বিভিন্ন অংশে: শৈল দেবী, গীতা মিত্র ও বিমল মুখোপাধ্যায়
কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, বাসন্তীকুঞ্জে অতিরিক্ত আরো একটি
গান ছিল। গানটি হলো- 'পরজনমে যদি আসি এ ধরায়'। এছাড়া রেকর্ড বুলেটিনে 'বন দেবী এস গহন বনছায়ে
[তথ্য]'
ছিল, কিন্তু রেকর্ড প্রকাশের সময় গানটি বাদ দেওয়া হয়েছিল। সম্ভবত এই গানটি
বাসন্তীকুঞ্জ থেকে বাদ পড়েছিল। সব মিলিয়ে বাসন্তীকুঞ্জের গানের সংখ্যা দাঁড়ায় ১১টি
এই গানগুলোর বর্ণনানুক্রমিক তালিকা নিচে দেওয়া হলো
এই সূত্রে এই অনুষ্ঠানের যে গানগুলো পাওয়া যায়, তা হলো-