বিষয়: নজরুল সঙ্গীত। 
শিরোনাম: তৃষিত আকাশ কাঁপে রে 
	
		
			তৃষিত আকাশ কাঁপে রে।
প্রখর রবির তাপে রে॥
			চাহিয়া তৃষ্ণার বারি
চাতক ওঠে ফুকারি'
করুণ-শান্ত বিলাপে রে॥
			রুদ্রযোগী ও-কে দূর বিমানে,
নিমগ্ন রহিয়াছে যেন ধ্যানে।
শকুন্তলা সম ভয়ে
কাঁপে ধরা র'য়ে র'য়ে,
অগ্নি-ঋষির অভিশাপ রে॥
		
	
	- 
ভাবার্থ: গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহকে এই গানে উপস্থাপন করা হয়েছে ভয়ঙ্কররূপে। 
গ্রীষ্মের প্রখর দাবদাহে তৃষ্ণার্ত আকাশ কম্পিত। তৃষ্ণার্ত পৃথিবীর হাহাকারকে কবি, 
পিপাসার জলের প্রত্যাশায় চাতক পাখির করুণ-শান্ত বিলাপের হাহাকারের উপমায় উপস্থাপন 
করেছেন। খরাপীড়িত গ্রীষ্ম যেন প্রকৃতির নিয়ামক শক্তির কাছে উপেক্ষিতা। যেন রুদ্রযোগী  
রূপী সূর্য তৃষ্ণার্ত প্রকৃতির হাহাকার উপেক্ষা করে ধ্যানমগ্ন। অগ্নি-ঋষি দর্বাসার 
অভিশাপে, রাজা দুষ্মন্ত শকুন্তলাকে ভুলে ছিলেন দীর্ঘদিন। তেমনি কোনো অগ্নিঋষির 
অভিশাপে তাপহরা মেঘ প্রকৃতিকে ভুলে যাবে রয়েছে কিনা, তাই ভেবে প্রকৃতি যেন শকুন্তলার 
মতো ভয়ে কম্পিতা।
 
- 
রচনাকাল ও স্থান:  গানটির 
		রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না।
	ভারতবর্ষ পত্রিকার কার্তিক 
		১৩৪২ (অক্টোবর-নভেম্বর ১৯৩৫) 
	সংখ্যায়, 
		গানটি স্বরলিপি-সহ প্রকাশিত হয়েছিল। 
		এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩৬ বৎসর ৫ মাস।
	 
- পত্রিকা: 
	ভারতবর্ষ।  [কার্তিক ১৩৪২ (অক্টোবর-নভেম্বর ১৯৩৫)। বৃন্দাবনী সারং-কার্ফা। কথা 
	ও সুর: কাজী নজরুল ইসলাম। স্বরলিপিকার: বীরেন্দ্রকুমার ভট্টাচার্য। পৃষ্ঠা 
	৬৮৮-৬৮৯] [নমুনা]
 
- গ্রন্থ: নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ, (নজরুল ইনস্টিটিউট, মাঘ ১৪১৮। ফেব্রুয়ারি 
	২০১২)। ১৫৮২ সংখ্যক গান। 
			রাগ : রক্তহংস সারং, তাল : আদ্ধা পৃষ্ঠা: ৪৭৪।
 
- বেতার: 
	
	সারঙ্গ রঙ্গ (গীতি আলেখ্য. সারঙ্গ অঙ্গের রাগভিত্তিক অনুষ্ঠান) 
	                
	
		- প্রথম প্রচার: অন্তর্ভুক্ত হয় নি
- দ্বিতীয় প্রচার: কলকাতা বেতার কেন্দ্র। ২৩ নভেম্বর ১৯৪০ 
		খ্রিষ্টাব্দ (শনিবার ৭ অগ্রহায়ণ ১৩৪৭)। তৃতীয় অধিবেশন। ৮.০০-৮.৩৯।
 [সূত্র: বেতার জগৎ। ১১শ বর্ষ ২২ সংখ্যা। পৃষ্ঠা: ১২৮৬
 
 
- 
	 রেকর্ড: এইচএমভি [ফেব্রুয়ারি ১৯৩৬ (মাঘ-ফাল্গুন ১৩৪২)। এন ৭৪৮০। শিল্পী পারুল 
	সেন। রাগ বৃন্দাবনী সারং] রেকর্ড: এইচএমভি [ফেব্রুয়ারি ১৯৩৬ (মাঘ-ফাল্গুন ১৩৪২)। এন ৭৪৮০। শিল্পী পারুল 
	সেন। রাগ বৃন্দাবনী সারং]
 
- স্বরলিপিকার ও স্বরলিপি: 
	
- পর্যায়:
	
		- বিষয়াঙ্গ: প্রকৃতি, গ্রীষ্ম
- সুরাঙ্গ: 
		রাগাশ্রয়ী। ভাঙা গান। 
 মূল গান:  দারুণ অগ্নিবাণে রে [প্রকৃতি-১১] 
		[তথ্য] [রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর]।
 গীতবিতান। প্রকৃতি পর্যায় 
		১১। গ্রীষ্ম-২
- রাগ: 
		বৃন্দাবনী সারং