'...'সারং রঙ' গীতি-নকশাটি নজরুল রচনা করেছিলেন 'সারঙ্গ' রাগের বিভিন্ন রূপ নিয়ে। আমি রাস্তায় পড়ে থাকা কলকাতা বেতারের পুরানো কাগজ-পত্রের মধ্যে যে কাগজগুলো খুঁজে পাই তার মাঝে দুটো রাগের বর্ণনা আছে। এই কাগজের টুকরা দুটো ছিল 'সারং রঙ' গীতি-নকশার অংশ বিশেষ।...'
সারঙ্গ রঙ্গের উৎস সন্ধানে আসাদুল হকের এই প্রাপ্তি ছিল অসমান্য। তিনি অবশ্য তাঁর লেখ্যায় এই গানগুলোর রাগ সম্পর্কে লিখেছেন- " 'সারঙ্গ' রাগের বিভিন্ন রূপ নিয়ে" রচিত। মূলত এই গীতি-আলেখ্যের প্রতিটি রাগেরই স্বতন্ত্র রূপ আছে। সম্ভবত তিনি বলতে চেয়েছিলেন 'সারঙ্গ অঙ্গের বিভিন্ন রাগ'। আসাদুল হকের প্রাপ্ত পুরানো কাগজের ভিতরে ছিল নজরুলের হস্তাক্ষরে লিখিত দুটি গান। গান ৩টি হলো- 'ধূলি পিঙ্গল জটাজুট জাল', 'আমার প্রলয় সুন্দর এলে', ও 'বৃন্দবন কুঙ্কুম আবীর ফাগে'।
সম্প্রচার কেন্দ্র: কলকাতা কেন্দ্র
সম্প্রচারের তারিখ ও সময়: শনিবার, ৬ এপ্রিল ১৯৪০। ২৪ চৈত্র ১৩৪৬। সান্ধ্য অনুষ্ঠান। ৭.১৫-৭.৫৯ মিনিট।
সঙ্গীত পরিবেশনা: কবি নজরুল ইসলাম, চিত্তরঞ্জন রায়, গীতা মিত্র ও শৈল দেবী।
সঙ্গীতানুষঙ্গ: সুরেন্দ্রলাল দাসের পরিচালিত যন্ত্রী সঙ্ঘ
আবৃত্তি: অনিল দাস
আসাদুল হক তাঁর নজরুল যখন বেতারে গ্রন্থে [পৃষ্ঠা: ১৪৪] এই অনুষ্ঠানের আটটি গানের তালিকা দিয়েছেন। এই গানগুলো হলো-
১. মেঘ-বিহীন খর বৈশাখে [তথ্য] [রাগ: সামন্ত সারং ]
২. অগ্নিগিরি ঘুমন্ত উঠিল জাগিয়া [তথ্য] [রাগ: লঙ্কাদাহন সারং]
৩. হংস-মিথুন ওগো যাও ক'য়ে যাও [তথ্য] [রাগ: বড় হংস সারং]
৪.বৃন্দাবনী কুঙ্কুম আবির রাগে যেন [তথ্য] [রাগ: বৃন্দাবনী সারং]
৫.ধূলি-পিঙ্গল জটাজুট মেলে [তথ্য] [রাগ: শুদ্ধ সারং]
৬. চৈতালি চাঁদিনী রাতে [তথ্য] [রাগ: মধুমাধবী সারং ]
৭. বল্ রাঙা হংসদূতী তার বারতা [তথ্য] [রাগ: রক্তহংস সারং ]
৮. ভবনে আসিল অতিথি সুদূর [তথ্য] [রাগ: গৌড়সারং ]
"সারঙ্গ-রঙ্গ" একটি সঙ্গীতানুষ্ঠান। প্রতিভাবান কবি ও সুরকার কবি কাজি নজরুল ইসলাম এই অনুষ্ঠানের রচয়িতা। সঙ্গীতের মধ্য সুরমাধুর্য ও কাব্য সম্পদ দুই-ই মিলেছে একাত্মরূপে একান্ত উপভোগ্য হ'য়ে। এই অনুষ্ঠানটির অধিবেশন হবে ২৩শে নভেম্বর রাত্রি ৮টায়। এই অনুষ্ঠানটির চিত্ররঞ্জন রায়, ইলা ঘোষ ও শৈল দেবী এই অনুষ্ঠানে গীতাংশে অবতীর্ণ হবেন,- কথাংশের ভার গ্রহণ করেছেন অনিল দাস।'
বেতার জগৎ পত্রিকার ১১শ বর্ষ ২২ সংখ্যায় [পৃষ্ঠা: ১২৮৬] মুদ্রিত অনুষ্ঠানসূচী থেকে এই অনুষ্ঠান সম্পর্কে যা জানা যায়, তা হলো-
সম্প্রচার কেন্দ্র: কলকাতা বেতার কেন্দ্র
সম্প্রচারের তারিখ ও সময়: শনিবার ২৩ নভেম্বর ১৯৪০। ৭ অগ্রহায়ণ ১৩৪৭। তৃতীয় অধিবেশন। ৮.০০-৮.৩৯।
অনুষ্ঠানের নাম: সারঙ্গ-রঙ্গ (গীতিচিত্র)
রচনা: কাজী নজরুল ইসলাম
সহযোগী সঙ্গীত: যন্ত্রষঙ্গ
গীতি ভূমিকায়: চিত্রঞ্জন রায়, ইলা ঘোষ ও শৈল দেবী
বর্ণনা: অনিল দাস
আসাদুল হকের রচিত 'নজরুল যখন বেতার' গ্রন্থের [পৃষ্ঠা ১৭১] থেকে জানা যায়, পূর্বে প্রচারিত দুটি গানের স্থলে দুটি নতুন গান যুক্ত করা হয়েছিল। এই নতুন গান দুটি ছিল- বৃন্দাবনী সারং রাগে নিবদ্ধ 'তৃষিত আকাশ কাঁপে রে' এবং মধুমাদ সারং রাগে নিবদ্ধ 'দক্ষিণ সমীরণ সাথে বাজো বেণুকা'। এই অনুষ্ঠানে পরিবেশিত গানগুলো ছিল-
১. মেঘ-বিহীন খর বৈশাখে [তথ্য] [রাগ: সামন্ত সারং ]
২. অগ্নিগিরি ঘুমন্ত উঠিল জাগিয়া [তথ্য] [রাগ: লঙ্কাদাহন সারং]
৩. হংস-মিথুন ওগো যাও ক'য়ে যাও [তথ্য] [রাগ: বড় হংস সারং]
৪. তৃষিত আকাশ কাঁপে রে [তথ্য] [রাগ: বৃন্দাবনী সারং]
৫. ধূলি-পিঙ্গল জটাজুট মেলে [তথ্য] [রাগ: শুদ্ধ সারং]
৬. দক্ষিণ সমীরণ সাথে বাজো বেণুকা [তথ্য] [রাগ: মধুমাধবী সারং]
৭. বল্ রাঙা হংসদূতী তার বারতা [তথ্য] [রাগ: রক্তহংস সারং ]
৮. ভবনে আসিল অতিথি সুদূর [তথ্য] [রাগ: গৌড়সারং ]
সম্প্রচার কেন্দ্র: কলকাতা বেতার কেন্দ্র ১।এই পত্রিকায় এই অনুষ্ঠানের পরিবেশিত গানের সংখ্যা বিশেষভাবে ৭টি রাগের কথা বলা হলেও রাগের নামোল্লেখ করা হয় নি। তবে ৭টি রাগ ভিত্তিক এই অনুষ্ঠানকে সপ্ত-সারঙ্গ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ব্রহ্মমোহন ঠাকুরের রচিত 'নজরুল সঙ্গীত নির্দেশিকা' গ্রন্থ থেকে এই অনুষ্ঠানে ৬টি গানের সন্ধান পাওয়া যায়। এ গানগুলো ছিল-
সম্প্রচারের তারিখ সময়: ১৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দ (রবিবার, ৩ ফাল্গুন ১৩৪৮)। তৃতীয় অধিবেশন। ৭.৪৫-৮.২৯।
অনুষ্ঠানের নাম: সারঙ্গ রঙ্গ [সারঙ্গ রাগের সুপরিচিত সাতটি প্রকরণ]
রচনা ও প্রযোজনা: কাজী নজরুল ইসলাম
সঙ্গীত পরিবেশনা: বেতারের নিজস্ব শিল্পীবৃন্দ
যন্ত্রানুষঙ্গ: যন্ত্রীসঙ্ঘ
১. মেঘ-বিহীন খর বৈশাখে [তথ্য] [রাগ: সামন্ত সারং ]
২. হংস-মিথুন ওগো যাও ক'য়ে যাও [তথ্য] [রাগ: বড় হংস সারং]
৩. বৃন্দাবনী কুঙ্কুম আবির রাগে যেন [তথ্য] [রাগ: বৃন্দাবনী সারং]
৪. ধূলি-পিঙ্গল জটাজুট মেলে [তথ্য] [রাগ: শুদ্ধ সারং]
৫. বল্ রাঙা হংসদূতী তার বারতা [তথ্য] [রাগ: রক্তহংস সারং ]
৬. ভবনে আসিল অতিথি সুদূর [তথ্য] [রাগ: গৌড়সারং ]