বৃন্দাবনী সারং
উত্তর ভারতীয়
সঙ্গীত পদ্ধতিতে
কাফি
ঠাটের অন্তর্গত রাগ বিশেষ।
এর রাগাঙ্গ
সারং।
এর আরোহণে গান্ধার, ধৈবত এবং অবরোহণে গান্ধার বর্জিত। তবে দুই নিষাদই ব্যবহৃত হয়।
এক সময়
কোমল নিষাদ ও শুদ্ধ নিষাদ, বৃন্দাবনী সারং এবং
মধুমাদ সারং
-এ ব্যবহৃত হতো। ফলে অনেক সময়ই এই দুটি রাগকে পৃথকভাবে
শনাক্ত করা যেতো না। পণ্ডিত ভাতখণ্ডেজি আয়োজিত দিল্লী সর্বভারতীয় সঙ্গীত সম্মেলনীতে
সিদ্ধান্ত হয় যে, বৃন্দাবনী সারং-এ উভয় নিষাদ ব্যবহৃত হবে। পক্ষান্তের
মধুমাদ সারং
- শুধু কোমল নিষাদ ব্যবহৃত হবে।
আরোহণ: স র ম প ন র্স
অবরোহণ : র্স ণ ধ প ম র স
ঠাট:
কাফি
জাতি : ঔড়ব-ষাড়ব
(আরোহে ধৈবত গান্ধার এবং অবরোহে গান্ধার বর্জিত)
বাদীস্বর : ঋষভ
সমবাদী স্বর: পঞ্চম
অঙ্গ : পূর্বাঙ্গ
প্রধান।
সময় : দিবা দ্বিতীয় প্রহর।
পকড় : ণ্ র্স র, র ম র, র ম প, ম র স ণ্ র, স।
- তথ্যসূত্র:
- মারিফুন্নাগমাত।
রাজা নওয়াব আলী খান। অনুবাদ মকসুদুর রহমান হিলালী। বাঙলা একাডেমী বর্ধমান
হাউস। ঢাকা। পৃষ্ঠা: ২৮৪-২৮৫।
- রাগ-রূপায়ণ।
(প্রথম খণ্ড) সুরেশচন্দ্র চক্রবর্তী। জেনারেল প্রিন্টার্স
য়্যান্ড পাব্লিশাসার্স প্রাইভেট লিমিটেড।
১৫ এপ্রিল ১৯৮৩। পৃষ্ঠা: ১৩৪-১৩৬
- হিন্দুস্থানী সঙ্গীত পদ্ধতি
(একাদশ খণ্ড)। বিষ্ণুনারায়ণ ভাতখণ্ডে।
সম্পাদনা ধরিত্রী রায় এবং
অসীমকুমার চট্টোপাধ্যায়। [দীপায়ন কলিকাতা, বৈশাখ ১৩৯৯। [পৃষ্ঠা: ৩০১-৩০৭]