বিষয়: নজরুল সঙ্গীত।
শিরোনাম: বন-বিহারিণী চঞ্চল হরিণী
বন-বিহারিণী
চঞ্চল হরিণী
চিনি আঁখিতে চিনি কানন নটিনী
রে॥
ছুটে চলে যেন বাঁধ ভাঙ্গা তটিনী রে
নেচে নেচে চলে ঝর্নার তীরে তীরে
ছায়াবীথি তলে কভু ধীরে চলে
চকিতে পালায় ছুটি' ছায়া হেরি গিরি-শিরে॥
-
ভাবার্থ: মন্মথ রায়ের রচিত 'সাবিত্রী' নাটকে শাশ্বতীর গান। এই
গানটিতে বনহরিণীর চপল-সৌন্দর্যের চিত্রময় রূপ উপস্থাপন করা হয়েছে।
এই গানের চপল বনহরিণীকে গায়িকা চিনেছে, তার মায়াভরা চোখের ভাষায়। বাঁধভাঙা বন্যার
মতো নৃত্যানন্দে ঝর্নার তীরে তীরে ছুটে চলা এই বনহরিণীকে কাননের নটিনী হিসেবে
আখ্যায়িত করেছে গায়িকা। এই হরিণী চলে ছায়াঘেরা কাননে কাননে নৃত্যের ধীর লয়ে, কখনো
ছুটে পালায় ছন্দের দ্রুত লয়ে। তার চলার ছায়া দেখা যায় পাহাড়ে চূড়ায়। সব মিলিয়ে কবি
কল্পনায় এই গানের বনহরিণী হয়ে উঠেছে- প্রকৃতির অপূর্ব নৃত্যশীলা লীলাময়ী রূপচিত্র।
-
রচনাকাল ও স্থান:
গানটির রচনাকাল সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায় না।
১৯৩১ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ মে (শনিবার ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৩৩৮), মন্মথ রায় রচিত 'সাবিত্রী' নাটকটি কলকাতার নাট্যনিকেতনে প্রথম মঞ্চস্থ হয়েছিল।
এই নাটকে এই গানটি ছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩২ বৎসর ১ মাস।
- মঞ্চ:
নাট্যনিকেতন। ৩০ মে ১৯৩১ (শনিবার ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৩৩৮)। মন্মথ রায়ের রচিত নাটক। এই
নাটকের সঙ্গীত রচয়িতা এবং সুরকার ছিলেন
কাজী নজরুল ইসলাম
- গ্রন্থ:
- সাবিত্রী
-
মন্মথ রায়-কর্তৃক রচিত নাটক। [১৩৩৮ বঙ্গাব্দের ১৬ই
জ্যৈষ্ঠ মঞ্চস্থ হয়েছিল। চতুর্থ অঙ্ক। প্রথম দৃশ্য। শাশ্বতীর গান
]
- মন্মথ রায় নাট্যগ্রন্থাবলী দ্বিতীয় খণ্ড [জগদ্ধাত্রী পূজা ১৩৫৮। ২৫শে
নভেম্বর ১৯৫১। সাবিত্রী। চতুর্থ অঙ্ক। প্রথম দৃশ্য। শাশ্বতীর গান।
পৃষ্ঠা: ১৭৪]
-
চন্দ্রবিন্দু:
প্রথম সংস্করণ [সেপ্টেম্বর ১৯৩১, আশ্বিন ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ।]
- রেকর্ড:
কলাম্বিয়া । সেপ্টেম্বর ১৯৪৪ (ভাদ্র-আশ্বিন
১৩৫১)। জিই ২৭১০। সাবিত্রী নাটকের গান। শিল্পী: কলম্বিয়া
ড্রামাটিক পার্টি
- স্বরলিপিকার ও স্বরলিপি:
সুধীন দাশ।
নজরুল সঙ্গীত স্বরলিপি চতুর্দশ খণ্ড
(নজরুল ইন্সটিটিউট)। ২০ সংখ্যক গান।
রেকর্ডে কলম্বিয়া ড্রামাটিক পার্টির গাওয়া গানের সুরানুসারে স্বরলিপি করা হয়েছে। [নমুনা]
- পর্যায়:
- বিষয়াঙ্গ: প্রকৃতি, জাগতিক, হরিণী। নাট্যগীতি
- সুরাঙ্গ: স্বকীয় বৈশিষ্ট্য
- তাল:
কাহারবা
- গ্রহস্বর: সা