বৎসর অতিক্রান্ত বয়স
২৫ বৈশাখ ১২৯০ বঙ্গাব্দ থেকে ২৪ বৈশাখ ১২৯১ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত (৭ মে ১৮৮৩- ৬ মে ১৮৮৪ খ্রিষ্টাব্দ)

ভারতী পত্রিকার 'জ্যৈষ্ঠ ১২৯০' সংখ্যায় একটি গান প্রকাশিত হয়েছিল। গানটির রচনাকাল সম্পর্কে জানা যায় না। গানটি প্রকাশের সময় রবীন্দ্র বয়স ছিল ২২ বৎসর ১ মাস। গানটি হলো-
           আজু, সখি, মুহু মুহু [ভানুসিংহঠাকুরের পদাবলী-১১] [তথ্য]

ভারতী পত্রিকার 'ভাদ্র ১২৯০' সংখ্যায় একটি গান প্রকাশিত হয়েছিল। গানটির রচনাকাল সম্পর্কে জানা যায় না। গানটি প্রকাশের সময় রবীন্দ্র বয়স ছিল ২২ বৎসর ৪ মাস। গানটি হলো-
         
আমার প্রাণের 'পরে চলে গেল [প্রেম-১৯২] [তথ্য]

আদি-ব্রাহ্মসমাজের চতুঃপাঞ্চাশ সাংবৎসরিক উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছিল- ১২৯০ বঙ্গাব্দের ১১ মাঘ [বৃহস্পতিবার ২৪ জানুয়ারি ১৮৮৪] তারিখে। এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথ মোট নয়টি গান রচনা করেছিলেন। গানগুলি হলো
 
        শুভ্র সনে বিরাজ' অরুণছটামাঝে [পূজা-৪৪৯] [তথ্য]
        
সংসারেতে চারি ধার  [পূজা ও প্রার্থনা-১৪] [তথ্য]
         কী দিব তোমায় [পূজা ও প্রার্থনা-১৫] [তথ্য]
         কে রে ওই ডাকিছে [পূজা-৪৫৯] [তথ্য]
         সকলেরে কাছে ডাকি আনন্দ-আলয়ে [পরিশিষ্ট ৩] [তথ্য]
         তোমারেই প্রাণের আশা কহিব [পূজা ও প্রার্থনা-১৬] [তথ্য]
         হাতে লয়ে দীপ অগণন [পূজা ও প্রার্থনা-১৭] [তথ্য]
         অনিমেষ আঁখি সেই কে দেখেছে [পূজা-৫০৬] [তথ্য]
        
সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে [পূজা ও প্রার্থনা-১৮] [তথ্য]

১২৯০ বঙ্গাব্দের ফাল্গুন মাসের শেষ সপ্তাহে (মার্চ ১৮৮৪ খ্রিষ্টাব্দ) স্বর্ণকুমারী দেবীর জ্যেষ্ঠা কন্যা হিরন্ময়ী দেবীর সঙ্গে ফণিভূষণ মুখোপাধ্যায়ের বিবাহ হয়। এই বিবাহ উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথ, জ্যোতিরিন্দ্রনাথ, অক্ষয় চৌধুরী এবং স্বর্ণকুমারী দেবী সম্মিলিতভাবে বিবাহ-উৎসব নামক একটি গীতিনাট্য রচনা করেন। গীতিনাট্যটিতে মোট ৪৫টি গান ছিল। এর ভিতর রবীন্দ্রনাথের গান ছিল ২৮টি। এর ভিতরে ১০টি গান ছিল পূর্বে রচিত ছিল। বাকি ১৮টি  গান এই গীতিনাট্যের রবীন্দ্রনাথ জন্যই রচনা করেছিলেন- এমনটা অনুমান করা যায়। নিচে নতুন গানগুলোর তালিকা দেওয়া হলো। উল্লেখ্য এই সময়ে রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল- ২২ বৎসর ১০-১১ মাস।

১. হা, কে বলে দেবে সে [নাট্যগীতি-৩৫] [তথ্য]
২. ও কেন  ভালোবাসা জানাতে আসে [নাট্যগীতি-৩৩] [তথ্য]

২.
ওই জানালার কাছে বসে আছে [নাট্যগীতি-২৭] [তথ্য]
৩. সাধ ক'রে কেন, সখা [নাট্যগীতি-২৮] [তথ্য]
৪.
ধীরে ধীরে প্রাণে আমার [নাট্যগীতি-২৯] [তথ্য]
৫.
তুমি আছ কোন্ পাড়া? [নাট্যগীতি-৩০] [তথ্য]
৬.
তারে দেখাতে পারি নে [প্রেম-৩১৪] [তথ্য]
৭.
দেখো ওই কে এসেছে [নাট্যগীতি-৩১] [তথ্য]
৮.
ভালো যদি বাস, সখী [নাট্যগীতি-৩২] [তথ্য]
৯.
১০. ভালোবাসিলে যদি সে ভালো না বাসে [নাট্যগীতি-৩৪] [তথ্য]
১১.
বনে এমন ফুল ফুটেছে [প্রেম-৩৭২] [তথ্য]
১২.
কেন রে চাস ফিরে ফিরে [নাট্যগীতি-৩৬] [তথ্য]
১৩.
মনে রয়ে গেল মনের কথা [প্রেম-১৯৩] [তথ্য]
১৪.
প্রমোদে ঢালিয়া দিনু মন [নাট্যগীতি-৩৭] [তথ্য]
১৫.
বুঝি বেলা বহে যায় [প্রেম-৩৭১] [তথ্য]
১৬.
কথা কোস্ নে লো রাই [নাট্যগীত-২৬] [তথ্য]
১৭.
ও কেন  চুরি ক'রে চায় [প্রেম-৩৯১] [তথ্য]
১৮.
সখা, সাধিতে সাধাতে কত সুখ [নাট্যগীতি-৩৮] [তথ্য]
১৯.
এত ফুল কে ফোটালে [নাট্যগীতি-৩৯] [তথ্য]
২০.
আমাদের সখীরে কে নিয়ে যাবে [নাট্যগীতি-৪০] [তথ্য]
২১.
সখী, সে  গেল কোথায় [প্রেম-৩৮২] [তথ্য]
২২.
কোথা ছিলি সজনী লো [নাট্যগীতি-৪১] [তথ্য]
২৩.
ও কী কথা বল সখী [নাট্যগীতি-৪২] [তথ্য]
২৪.
মধুর মিলন। হাসিতে মিলেছে হাসি [নাট্যগীতি-৪৩] [তথ্য]
২৫. মা, একবার দাঁড়া গো হেরি [নাট্যগীতি-৪৪] [তথ্য]
২৬. মা আমার, কেন তোরে ম্লান নেহারি [নাট্যগীতি-৪৫] [তথ্য]

'বিবাহোৎসব'-এর পরে রবীন্দ্রনাথ 'নলিনী' নামক নাটিকা রচনা করেন। ধারণা করা হয়- এর অংশ বিশেষ জ্যোতিরিন্দ্রনাথ এবং জ্ঞানদানন্দিনী দেবীর রচিত। তবে অধিকাংশই রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন এবং পুরো নাটিকাটি পরিমার্জিত করে পূর্ণাঙ্গ রূপও দেন রবীন্দ্রনাথ। এই কারণে এই নাটিকাটি তাঁর নামেই প্রকাশিত হয়েছিল। নলিনী পুস্তকাকারে প্রকাশিত হয়েছিল- ১২৯১ সালে। কিন্তু বিবাহোৎসবের কিছু পরে। প্রথমে এটি সরসারি অভিনয়ের জন্য তৈরি হয়েছিল। অনুমান করা যায়, এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ২২ বৎসর ১১ মাস।
       

১২৯১ বঙ্গাব্দের ৮ বৈশাখ (মতান্তরে ৯-১০ বৈশাখ) তারিখে জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের পত্নী কাদম্বরী দেবী আত্মহত্যা করেন। এই কারণে নলিনী'র অভিনয় সম্ভব হয় নি। এরপর রবীন্দ্রনাথ এই নাটকের পরিমার্জনা করে আরও কিছু গান যুক্ত করেন। এবং তা করেছিলেন সম্ভবত ১২৯ বঙ্গাব্দে।

১২৯০ বঙ্গাব্দের শেষ দিনে তিনি আগত নববর্ষ উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথ চারটি গান রচনা করেন। এই গানগুলো পরিবেশিত হয়েছিল ১২৯১ বঙ্গাব্দের ১ বৈশাখ তারিখে সকাল বেলায় মহর্ষিভবনে। এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল- ছিল ২২ বৎসর ১২ মাস । গান তিনটি হলো-

রজনী পোহাইল- চলেছে যাত্রীদল [পূজা ও প্রার্থনা ১৯] [তথ্য]
এ কী সুগন্ধহিল্লোল বহিল [পূজা-৫৪২] [তথ্য]
আজি এনেছে তাঁহারি আশীর্বাদ [পূজা ও প্রার্থনা-২০] তথ্য]
বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি [পূজা-১২৬] [তথ্য]

১২৯১ বঙ্গাব্দের ১৮ বৈশাখ তারিখে রবীন্দ্রনাথের রচিত 'প্রকৃতির প্রতিশোধ' নাট্যকাব্য প্রকাশিত হয়। এই নাট্যকাব্যের সূচনা হয়েছিল কারোয়াতে। এর কিছু গান পরবর্তী সময়ে রচিত হয়েছিল। তবে কবে রচিত হয়েছিল, সে সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায় না। তাই প্রকাশের বিচারে এই গানগুলিকে বর্তমান বৎসরে স্থান দেওয়া হলো। এই নাট্যকাব্যটি প্রকাশের সময়ে রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল- ২২ বৎসর ১২ মাস। নিচে এই গানগুলির তালিকা দেওয়া হলো।
১. হ্যাদে গো নন্দরানী [বিচিত্র-৮৮] [তথ্য]
২.
বুঝি বেলা বহে যায় [প্রেম-৩৭১] [তথ্য]
৩.
ভিক্ষে দে গো, ভিক্ষে দে [নাট্যগীতি-২৩] [তথ্য]
৪. কথা কোস্ নে লো রাই [নাট্যগীত-২৬] [তথ্য]
৫. প্রিয়ে, তোমার ঢেঁকি হলে [নাট্যগীতি-২৫] [তথ্য]
৬.
আয় রে আয় রে সাঁঝের বা [নাট্যগীতি-২৪] [তথ্য]
৭.
বনে এমন ফুল ফুটেছে [প্রেম-৩৭২] [তথ্য]
৮.
মরি লো মরি, আমায় [প্রেম-৫৯] [তথ্য]
৯. যোগী হে, কে তুমি [নাট্যগীতি-২২] [তথ্য]
১০.
মেঘেরা চলে চলে যায় [বিচিত্র-১৩৮] [তথ্য]