বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত
শিরোনাম: 
বরিষ ধরা-মাঝে 
শান্তির বার
পাঠ ও পাঠভেদ:
	- গীতবিতান (বিশ্বভারতী, কার্তিক 
	১৪১২)-এর পাঠ: 
পূজা 
	: ১২৬
	
		
বরিষ ধরা-মাঝে 
শান্তির বারি
   শুষ্ক হৃদয় 
লয়ে  আছে দাঁড়াইয়ে
উর্ধ্বমুখে 
নরনারী 
॥
   না থাকে 
অন্ধকার,
না থাকে মোহপাপ,
না থাকে 
শোকপরিতাপ।
   হৃদয় বিমল 
হোক,
প্রাণ সবল হোক,
বিঘ্ন দাও 
অপসারি 
॥
   কেন এ 
হিংসাদ্বেষ,
কেন এ ছদ্মবেশ,
কেন এ 
মান-অভিমান।
   বিতর' 
বিতর' 
প্রেম পাষাণহৃদয়ে,
জয় জয় হোক 
তোমারি 
॥
		
	
	- 
	
	তথ্যানুসন্ধান
		- 
		ক. 
			রচনাকাল ও স্থান: 
১লা বৈশাখ ১২৯১ তারিখে,
মহর্ষিভবনে 
(প্রাতঃকালে)
নববর্ষ ব্রাহ্মসমাজ'-এর 
জন্য তিনি এই গানটি-সহ মোট চারটি গান লিখেছিলেন।  
		গানটি 
		
		রবীন্দ্রনাথের ২২ বৎসর ১১ মাস অতিক্রান্ত বয়সের রচনা। 
 
[রবীন্দ্রনাথের 
		২২ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সে রচিত গানের তালিকা]- 
		খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
			- 
			গ্রন্থ:
	  
		- 
		কাব্যগ্রন্থ
		- 
		অষ্টম খণ্ড
		(মজুমদার লাইব্রেরি, ১৩১০ বঙ্গাব্দ)।  ব্রহ্মসঙ্গীত। 
		
		রাগিণী 
		আশা ভৈরবী-তাল ঠুংরি,  পৃষ্ঠা
		২৪৫। 
		[নমুনা]
		
- 
	
		দশম খণ্ড 
		[ইন্ডিয়ান প্রেস, ১৩২৩ বঙ্গাব্দ, ১৯১৬ খ্রিষ্টাব্দ), 
		ধর্ম্মসঙ্গীত, পৃষ্ঠা: ২৩৩। 
		[নমুনা]
 
- 
		কাব্যগ্রন্থাবলী
[আদি ব্রাহ্মসমাজ প্রেস, ১৩০৩
ব্রহ্মসঙ্গীত।
		
		
 রাগিণী আশা 
		ভৈরবী-তাল ঠুংরি।
			
		
		পৃষ্ঠা: ৪৫৩] 
[নমুনা]
- 
গান 
					- 			
					
					প্রথম সংস্করণ [সিটি বুক সোসাইটি, ১৩১৫ 
		বঙ্গাব্দ।
					ব্রহ্মসঙ্গীত। 
					রাগিণী আশা ভৈরবী-তাল ঠুংরি। পৃষ্ঠা ২৯১। 
[নমুনা]
- 				
					
					দ্বিতীয় সংস্করণ [ইন্ডিয়ান 
			প্রেস, ১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দ, ১৩১৬ 
		বঙ্গাব্দ। 
					ব্রহ্মসঙ্গীত। রাগিণী আশা ভৈরবী-তাল ঠুংরি। পৃষ্ঠা: ৩০২।] 
[নমুনা]
 
- 
	গানের বহি ও বাল্মীকি প্রতিভা
	[আদি 
				ব্রাহ্মসমাজ যন্ত্র।  ১৩০০ বঙ্গাব্দ, 
				গান সংখ্যা ৩১৯, 
				রাগিণী 
				আশা ভৈরবী-তাল ঠুংরি,
				পৃষ্ঠা 
				৩১৮-১৯। [নমুনা: 
	প্রথমাংশ,
	শেষাংশ]
- 
			
			গীতবিতান
- 
				গীতরত্নাবলী 
				দ্বিতীয় ভাগ (১৮৮৭ খ্রিষ্টাব্দ, 
				১২৯৪ বঙ্গাব্দ)।
- 
				গীতমালিকা (১৩১৪)
- 
				
				ধর্ম্মসঙ্গীত 
				[ইন্ডিয়ান প্রেস্ লিমিটেড, ১৩২১ বঙ্গাব্দ। 
				পৃষ্ঠা: 
				১২০-২১] 
				
				
				[নমুনা:
				
প্রথমাংশ,
				
শেষাংশ]
- 
		
				
				বাঙালীর গান 
[১৯০৫ খ্রিষ্টাব্দ, ১৩১২ 
বঙ্গাব্দ), গান সংখ্যা ৮১, আশা 
ভৈরবী-ঠুংরি, 
				পৃষ্ঠা ৬৩২।
- 
				ব্রহ্মসঙ্গীত
				গ 
ভাগ 
				(১৮৯৩ 
খ্রিষ্টাব্দ, 
				১৩০০ বঙ্গাব্দ)।
- 
		ব্রহ্মসঙ্গীত ও সঙ্কীর্ত্তন (১৩১৪ বঙ্গাব্দ)।
- 
				
				ব্রহ্মসঙ্গীত স্বরলিপি ষষ্ঠ ভাগ (জ্যৈষ্ঠ ১৩১৮ বঙ্গাব্দ)। 
আশা ভৈরবী-ঠুংরী। কাঙ্গালীচরণ সেন-কৃত স্বরলিপি-সহ 
মুদ্রিত হয়েছিল।
- 		
				
				রবিচ্ছায়া  (সাধারণ 
	ব্রাহ্মসমাজ যন্ত্র, ১২৯২ বঙ্গাব্দ)। ব্রহ্মসঙ্গীত ২০। 
				 রাগিণী 
				আশা ভৈরবী- তাল ঠুংরি। 
				পৃষ্ঠা: ১১৭-১১৮। 
	[নমুনা: 
	প্রথমাংশ,
	শেষাংশ]
- 
			
রবীন্দ্রগ্রন্থাবলী 
(হিতবাদী ১৩১১)। ব্রহ্মসঙ্গীত।   রাগিণী আশা ভৈরবী-তাল ঠুংরি।  গান 
				সংখ্যা ৩১৯। পৃষ্ঠা: ১০৩৩-৩৪ [নমুনা 
প্রথমাংশ, 
	শেষাংশ]
- 
				সঙ্গীতসার সংগ্রহ 
				তৃতীয় ভাগ (১৩০৮ 
				বঙ্গাব্দ)।
- 
				
স্বরবিতান 
				ষড়্বিংশ (২৬)
(বিশ্বভারতী,
				চৈত্র ১৪১৩)
				খণ্ডের ২৫ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ৫৮-৫৯।
				[নমুনা]
 
- পরিবেশন: মহর্ষি ভবনে ১২৯১ নববর্ষ 
			অনুষ্ঠানে গানটি পরিবেশিত হয়েছিল।
- 
	
			পত্রিকা:
				- 
তত্ত্ববোধিনী
				(জ্যৈষ্ঠ 
১৮০৬ শকাব্দ ১২৯১ বঙ্গাব্দ)।
				আশা ভৈরবী- ঠুংরি 
। পৃষ্ঠা ২৬। [নমুনা]
				
 
 
 
- 
	রেকর্ড: 
			সিদ্ধার্থ ঘোষের রচিত রেকর্ডে রবীন্দ্রসংগীত (ইন্দিরা 
			সংগীত-শিক্ষায়তন। নভেম্বর ১৯৮৯,
			পৃষ্ঠা 
			৪১) 
			গ্রন্থ থেকে আলোচ্য গানের যে রেকর্ডসূত্রের তথ্য পাওয়া যায়। তা হলো-
			
			
				- 
				১৯১৫ 
				খ্রিষ্টাব্দের 
				ভিতরে গ্রামোফোন রেকর্ড কোম্পানি 
				এই গানের একটি 
				রেকর্ড প্রকাশ করেছিল। গানটির শিল্পী বলাইদাস শীল।  রেকর্ড 
				নম্বর ছিল 
 
 
 
8-1214/8-12142।
				পরবর্তী 
				নম্বর 
P811
				- 
				প্রকাশের কালানুক্রম: 
				
				গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল 
				
				
				তত্ত্ববোধিনী  পত্রিকার 'জ্যৈষ্ঠ ১২৯১ বঙ্গাব্দ' 
				সংখ্যায়। 
				
				এরপর যে সকল গ্রন্থাদিতে 
				গানটি 
				প্রকাশিত হয়েছিল, সেগুলো হলো- 
				রবিচ্ছায়া 
				 (১২৯২), 
				গীতরত্নাবলী 
				দ্বিতীয় ভাগ (১২৯৪), 
				ব্রহ্মসঙ্গীত
				গ 
ভাগ 
				(১৩০০) 
				,
				গানের বহি ও বাল্মীকি প্রতিভা 
				(১৩০০), 
		কাব্যগ্রন্থাবলী
				
				 (১৩০৩),
				কাব্যগ্রন্থ,
				অষ্টম খণ্ড
		(১৩১০), 
				
				বাঙালীর গান ১৩১২), 
				গীতমালিকা (১৩১৪),
				
			
				ব্রহ্মসঙ্গীত ও সঙ্কীর্ত্তন (১৩১৪),
গান,
				
				প্রথম সংস্করণ 
				 (১৩১৫),
				গান 
				
				 দ্বিতীয় সংস্করণ 
				 (১৩১৬),
				 
				
				ব্রহ্মসঙ্গীত স্বরলিপি ষষ্ঠ ভাগ (১৩১৮), 
				
				
				ধর্ম্মসঙ্গীত ১৩২১) ও
		কাব্যগ্রন্থ
		 
		দশম খণ্ড (১৩২৩)
 
 এ সকল গ্রন্থাদির পরে, ১৩৩৮ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত 
			
			গীতবিতান
			-এর 
				
				প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণ
		
				
				-  গানটি প্রথম 
				অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। এর 
				
				প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের 
				মাঘ মাসে। এই সংস্করণে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল
				
				পূজা, পর্যায়ের উপবিভাগ: প্রার্থনা হিসেবে।
				১৩৭১ 
				বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত অখণ্ড গীতবিতানের ১২৬ সংখ্যক গান 
				হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। অখণ্ড গীতাবিতানের তৃতীয় 
				সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে।
 
			
		
		
		. সঙ্গীতবিষয়ক তথ্যাবলী:
			- ভাঙা 
			গান: এটি 
			একটি ভাঙা গান। মূল গানের রচয়িতা ছিলেন বিষ্ণুরাম চট্টোপাধ্যায়। ১৮৭৩ 
			খ্রিষ্টাব্দের ২৬শে জানুয়ারি আদি ব্রাহ্ম সমাজের সাম্বৎসরিক মাঘোৎসবের 
			প্রাতঃকালীন অধিবেশনে, বিষ্ণুরাম চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে 
			বালক-বালিকাদের কণ্ঠে গীত হয়েছিল। এই গানটি হলো -
			
                        
জগৎ পিতা তুমি বিশ্ববিধাতা [গান-৩] 
[তথ্য]
 
 ধারণা করা হয়, এই বালক-বালিকাদের এই গানের দলে রবীন্দ্রনাথও ছিলেন।
এই গানের সুরে সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর রচনা করেছিলেন,
 দয়াঘন তোমা-হেন [গান-৩] 
[তথ্য]
 
 উল্লেখ্য এই বোম্বাইয়ের প্রার্থনাসভায় হিন্দিতে এই গানটি পরিবেশিত হতো। হিন্দি 
গানটির প্রথম চরণ ছিল দয়াঘন তুঝ বীন কো হিতকারী'। এই সুরের আদলে রবীন্দ্রনাথ রচনা 
করেছিলেন—
'বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির 
বারি'।
 
- 
			স্বরলিপি: [নমুনা]
- 
			স্বরলিপিকার: 
কাঙ্গালীচরণ
			সেন-কৃত 
স্বরলিপিটি ব্রহ্মসঙ্গীত স্বরলিপি ৬ষ্ঠ ভাগ 
থেকে 
স্বরবিতান-২৬- 
এর ৬৯-৭০ 
পৃষ্ঠায় সুরভেদ হিসাবে 
দেখানো 
হয়েছে। স্বরবিতানের উক্ত খণ্ডে গৃহীত মূল স্বরলিপিটি কার তা স্পষ্ট নয়। 
			
 কাঙ্গালীচরণ
			সেন।
 [কাঙ্গালীচরণ 
			সেন-কৃত স্বরলিপির তালিকা]
- সুর ও তাল: 
			
				- রাগ-
				আশা-ভৈরবী। 
				তাল-( ত্রিতাল। 
			
				- 
							
স্বরবিতান 
				ষড়্বিংশ (২৬), বিশ্বভারতী,
				চৈত্র ১৪১৩)
- 
				
				
				[রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত। 
		প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমী, জুলাই ২০০১। 
		পৃষ্ঠা: ১১৭]
 
 
- 
				রাগ: 
				ভৈরবী(। 
				তাল: ত্রিতাল [রবীন্দ্রসংগীত : রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। (প্যাপিরাস, 
			ডিসেম্বর, ২০০৬)। পৃষ্ঠা: ৬৭।]
- রাগ-
				
				আশা-ভৈরবী। তাল -ঠুংরি। 
			
বিষয়াঙ্গ: 
			ব্রহ্মসংগীত। 
			
			সুরাঙ্গ: 
		খেয়ালাঙ্গ।
			গ্রহস্বর:
				- গ্রহস্বর-ঋা। 
স্বরবিতান-২৬
- গ্রহস্বর-সা। 
ব্রহ্মসঙ্গীত স্বরলিপি ৬ষ্ঠ ভাগ ***সূত্র?
লয়: মধ্য।
			
			সূত্র:
				- রবীন্দ্রসঙ্গীত 
				মহাকোষ প্রথম ভাগ।
- 
				
স্বরবিতান 
				ষড়্বিংশ (২৬)(বিশ্বভারতী,
				চৈত্র ১৪১৩), 
				পৃষ্ঠা ৭৪।