বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত। 
শিরোনাম: ওগো এত প্রেম-আশা
পাঠ ও পাঠভেদ: 
	- গীতবিতান (বিশ্বভারতী, কার্তিক ১৪১২)-এর পাঠ: প্রেম : ৩০২
	
		
ওগো    এত প্রেম-আশা, প্রাণের 
তিয়াষা    কেমনে আছে সে পাশরি।
তবে     সেথা কি হাসে না 
চাঁদিনী যামিনী,  সেথা কি বাজে না বাঁশরি॥
   সখী,    হেথা 
সমীরণ লুটে ফুলবন,     সেথা কি পবন বহে না।
   সে যে তার কথা মোরে কহে অনুক্ষন, 
মোর কথা তারে কহে না!
যদি     আমারে আজি সে 
ভুলিবে সজনী,    আমারে ভুলালে কেন সে।
ওগো    এ চিরজীবন করিব রোদন,    
এই ছিল তার মানসে!
    যবে    
কুসুমশয়নে নয়নে নয়নে    কেটেছিল সুখরাতি রে,
    তবে    কে 
জানিত তার বিরহ আমার    হবে জীবনের সাথি রে।
যদি    মনে নাহি রাখে, সুখে যদি 
থাকে,    তোরা একবার দেখে আয়-
এই    নয়নের তৃষা, পরানের আশা,    
চরণের তলে রেখে আয়।
    আর নিয়ে যা রাধার বিরহের 
ভার,    কত আর ঢেকে রাখি বল্।
    আর পারিস যদি তো আনিস হরিয়ে    
এক-ফোঁটা তার আঁখিজল।
না না, এত প্রেম, সখী, ভুলিতে যে পারে    
তারে আর কেহ সেধো না।
আমি কথা নাহি কব, দুখ লয়ে রব    
মনে মনে স'ব বেদনা।
    ওগো    মিছে 
মিছে, সখী, মিছে এই প্রেম, মিছে পরানের বাসনা।
    ওগো    
সুখদিন হায় যবে চলে যায়    আর ফিরে আর আসে না॥
		
	
	- 
	
	পাণ্ডুলিপির 
	পাঠ:
	পাওয়া যায়নি।
- 
	
	পাঠভেদ: 
- 
	
	তথ্যানুসন্ধান
 
	- 
	
	ক. রচনাকাল ও স্থান: ১২৯৩ বঙ্গাব্দে এই 
	গানটি রচিত হয়। এই বিচারে 
	গানটি রবীন্দ্রনাথের 
	২৫ বৎসর বয়সের রচনা। 
	
- 
	খ. 
	প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
 
		
			- গ্রন্থ
- কড়ি ও কোমল 
			
	- প্রথম সংস্করণ [আদি ব্রাহ্মসমাজ যন্ত্র, ১২৯৩ বঙ্গাব্দ]। শিরোনাম: বিলাপ। 
	পৃষ্ঠা: ১৭৫
- রবীন্দ্র-রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড [বিশ্বভারতী শ্রাবণ ১৩৯১] 
				শিরোনাম: বিলাপ। পৃষ্ঠা: ৭০
 
- 
				কাব্যগ্রন্থ 
				
				
-  কাব্যগ্রন্থাবলী [আদি ব্রাহ্মসমাজ প্রেস, ১৩০৩।
				
				কড়ি ও কোমল। 
				শিরোনাম বিলাপ। ঝিঁঝিট। পৃষ্ঠা: ১২৫-১২৬] 
				
				
				[নমুনা
				প্রথমাংশ
শেষাংশ]
- 
গান 
 
 
 
- গীতবিতান
	- 
	প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণ।  
	[বিশ্বভারতী, আশ্বিন ১৩৩৮,  কড়ি ও কোমল (১২৯৩ বঙ্গাব্দ)]থেকে গৃহীত 
				হয়েছিল। পৃষ্ঠা: ৪৪-৪৫]
				[নমুনা:
				প্রথমাংশ,
				শেষাংশ]
- অখণ্ড সংস্করণ, তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী ১৩৮০)।
				প্রেম 
				পর্যায়ের ৩০২
				সংখ্যক গান। 
 
বাঙালীর গান ( ১৩১২ বঙ্গাব্দ)। দুর্গাদাস লাহিড়ি সম্পাদিত।  
ঝিঁঝিট-একতালা। পৃষ্ঠা: ৬২০
রবীন্দ্রগ্রন্থাবলী 
(হিতবাদী ১৩১১) ভৈরবী-একতালা। ৪৬ সংখ্যক গান, 
ঝিঁঝিট-একতালা।  পৃষ্ঠা: ৯৭৭-৯৭৮ [নমুনা:
	প্রথমাংশ, 
	শেষাংশ]
স্বরবিতান 
		দশম (১০) খণ্ডের (পৌষ ১৪১৩ বঙ্গাব্)। ৩ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা : ১২-১৫।
		[নমুনা]
স্বরলিপি-গীতিমালা
	- প্রথম সংস্করণ ১৩০৩ বঙ্গাব্দ
- 
	প্রথম খণ্ড।  ডোয়ার্কিন এণ্ড সন্স লিমিটেড। ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ।  
				ঝিঁঝিট-একতালা।  পৃষ্ঠা ৬০-৬১।
	[নমুনা]
	- গ.
	সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
	- স্বরলিপিকার: 
	জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর।
	
 
- সুর ও তাল:
	
	
		- 
		স্বরবিতান 
		দশম (১০)
			খণ্ডের (পৌষ 
			১৪১৩
		
		বঙ্গাব্দ) 
		সুরভেদ/ছন্দভেদ 
			অংশে স্বরবিতানটির 
			সুরভেদ দেখানো হয়েছে 
		(পৃষ্ঠা ৯৯-১০০)।
			
- 
		স্বরবিতান 
		দশম (১০)
			খণ্ডের (পৌষ 
			১৪১৩
		
		বঙ্গাব্দ)
		
		গৃহীত গানটির স্বরলিপিতে রাগ-তালের 
			হিসেবে উল্লেখ রয়েছে যথাক্রমে ঝিঁঝিট ও একতাল। 
- রাগ : কীর্তনের সুর। [রবীন্দ্রসঙ্গীতে 
রাগ-নির্ণয়। ভি.ভি. ওয়াঝলওয়ার। রবীন্দ্রনাথের প্রেমের গান। 
সংগীত-শিক্ষায়তন। বৈশাখ ১৩৯০। পৃষ্ঠা : ৭০]
- 
		রাগ: ঝিঁঝিট। অঙ্গ: কীর্তন। তাল: একতাল
	
		[রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। 
				প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬। পৃষ্ঠা: ৪১]
- 
অঙ্গ: 
		কীর্তন। তাল: দাদরা।  
				[রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত। প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী। 
				পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ৭৫।]
				
- গ্রহস্বর: না।
- লয়: মধ্য।