বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
শিরোনাম:
আয় তবে সহচরী
পাঠ
ও পাঠভেদ:
- গীতবিতান (বিশ্বভারতী,
কার্তিক ১৪১২)-এর
পাঠ:
প্রেম : ৩৬৪
আয় তবে সহচরী, হাতে হাতে ধরি ধরি
নাচিবি ঘিরি ঘিরি, গাহিবি গান।
আন্ তবে বীণা―
সপ্তম সুরে বাঁধ্ তবে তান॥
পাশরিব ভাবনা, পাশরিব যাতনা,
রাখিব প্রমোদে ভরি দিবানিশি মনপ্রাণ।
আন্ তবে বীণা―
সপ্তম সুরে বাঁধ্ তবে তান॥
ঢালো ঢালো শশধর, ঢালো ঢালো জোছনা।
সমীরণ, বহে যা রে ফুলে ফুলে ঢলি ঢলি।
উলসিত তটিনী,
উথলিত গীতরবে খুলে দে রে মনপ্রাণ॥
-
পাণ্ডুলিপির
পাঠ:
পাওয়া যায়নি।
-
পাঠভেদ:
আয় তবে সহচরী
উলসিত তটিনী,
―
উথলিত গীতরবে খুলে দেরে মনপ্রাণ : রবিচ্ছায়া
(বৈশাখ ১২৯২)
গীতবিতান (আশ্বিন ১৩৩৮)
উলসিত
যমুনা,
কুলু কুলু কলতানে খুলে দে রে মনপ্রাণ : স্বরলিপি-গীতিমালা
(১৩০৪)
- তথ্যানুসন্ধান
- ক. রচনাকাল ও স্থান: ১২৮৬ বঙ্গাব্দের চৈত্র মাসের প্রথম
সপ্তাহে বিলেত থেকে কলকাতায় প্রত্যাবর্তন করেন। এই সময় জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর
'মানময়ী' গীতি-নাটকটি রচনা করছিলেন। প্রশান্তকুমার পাল তাঁর রবিজীবনী
দ্বিতীয় খণ্ডে (আনন্দ পাবলিশার্স লিমিটেড, ১৩৯১ শ্রাবণ ২২, পৃষ্ঠা ৬৫) এই
গীতিনাট্যটির প্রথম অভিনয় সম্পর্কে লিখেছেন- 'বিলেত থেকে ফিরে আসার পর, সম্ভবত
জ্ঞানদানন্দিনী দেবীর উৎসাহেই, জোড়াসাঁকোর বাড়িতে 'আপনাআপনির মধ্যে' গীতিনাট্যটির
অভিনয় হয়;....ছুটির শেষে [২৯ বৈশাখ সোম
10 May 1880]
সত্যেন্দ্রনাথ সুরাটে তাঁর নতুন কাজে যোগদান করার জন্য
যাত্রার পূর্বেই গীতনাট্যটি অভিনীত হয়েছিল, এই অনুমান যথার্থ হলে বলতে হয় বৈশাখের
প্রথমার্ধেই [Apr
1880]
অভিনয় কার্য নিষ্পন্ন হয়।'
উল্লিখিত 'মানময়ী' গীতিনাট্যে রবীন্দ্রনাথের রচিত এই গানটি ব্যবহৃত হয়েছে। ধারণা করা যায়
এই গানটি ১২৮৬ বঙ্গাব্দের
চৈত্র মাসের শেষার্ধ থেকে ১২৮৭ বঙ্গাব্দের বৈশাখ মাসের প্রথমার্ধে- মানময়ী'
গীতি-নাট্যের জন্য রচিত হয়েছিল। এই বিচারে বলা যায়- এই গানটি রচনার সময়
রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল- ১৮ বৎসর ১২ মাস।
খ.
প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
- গ্রন্থ
-
কাব্যগ্রন্থ
-
কাব্যগ্রন্থাবলী
[আদি ব্রাহ্মসমাজ প্রেস, ১৩০৩। গান। ছায়ানট- কাওয়ালি। পৃষ্ঠা: ৪৪১]
[নমুনা]
-
গান
-
গানের
বহি ও বাল্মীকি প্রতিভা (আদি ব্রাহ্মসমাজ ১৩০০)
[নমুনা:
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
-
গীতবিতান
-
প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণ
[বিশ্বভারতী, আশ্বিন ১৩৩৮। কাব্যগ্রন্থাবলী (১৩০৩ বঙ্গাব্দ)
'গান' অংশ থেকে গৃহীত হয়েছে । পৃষ্ঠা: ১২৩]
[নমুনা]
- দ্বিতীয় খণ্ড দ্বিতীয় সংস্করণ
(বিশ্বভারতী ১৩৪৮)
- অখণ্ড
সংস্করণ (বিশ্বভারতী ১৩৮০)।
পর্যায়: প্রেম। উপপর্যায় :প্রেম বৈচিত্র্য-৩৩৫) পর্যায়ের ৩৪৯সংখ্যক গান।
- বাঙ্গালীর গান (১৩১২
বঙ্গাব্দ)।
- মানময়ী
(১৮৮০ খ্রিষ্টাব্দ)।
দ্বিতীয় অঙ্ক। সখীদের আমোদে উর্বশীর যোগ দেওয়া এবং গান।
-
রবিচ্ছায়া
[সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ যন্ত্র, ১২৯২]। বিবিধ
২৫।
ছায়ানট-কাওয়ালী।
পৃষ্ঠা: ১৯।
[নমুনা]
-
রবীন্দ্রগ্রন্থাবলী (হিতবাদী ১৩১১) গান সংখ্যা: ১৫১।
ছায়ানট-কাওয়ালী। পৃষ্ঠা: ১০০০।
[নমুনা]
-
স্বপ্নময়ী
- প্রথম প্রকাশ: ১২ চৈত্র ১২৮৮, ২৪ মার্চ ১৮৮২ খ্রিষ্টাব্দ।
আদি ব্রাহ্মসমাজ যন্ত্র)। [পঞ্চম অঙ্ক, প্রথম
গর্ভাঙ্ক। নর্তকীর গান। ছায়ানট।]
পৃষ্ঠা: ১৫২
- জ্যোতিরিন্দ্রনাথের নাট্যসংগ্রহ (প্রথম প্রকাশ।
বিশ্বভারতী। অগ্রহায়ণ ১৩৭৬)।
[পঞ্চম অঙ্ক, প্রথম গর্ভাঙ্ক।
সুমতির গান। সর্ফর্দা। পৃষ্ঠা: ৫২৯।
-
স্বরবিতান বিংশ (২০) খণ্ডের (ফাল্গুন ১৪১১ বঙ্গাব্দ)
৩০ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা : ৯০-৯১।
[নমুনা]
- স্বরলিপি-গীতিমালা (১৩০৪ বঙ্গাব্দ)।
- পত্রিকা
- ভারতী
(
(আশ্বিন
১২৯৩ বঙ্গাব্দ)।
- পরিবেশনা
- মানময়ী (বৈশাখ ১২৮৭
বঙ্গাব্দ)।
- স্বপ্নময়ী
।
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
- স্বরলিপিকার:
- প্রতিভাদেবী।
[ভারতী (
(আশ্বিন
১২৯৩ বঙ্গাব্দ)]
- জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর
।
[স্বরলিপি-গীতিমালা
(১৩০৪ বঙ্গাব্দ)]
- সুর ও তাল:
-
স্বরবিতান বিংশ
((২০) খণ্ডের (ফাল্গুন ১৪১১ বঙ্গাব্দ)
সুরভেদ/ছন্দভেদ অংশে গানটির স্বরলিপি-গীতিমালায় (১৩০৪ বঙ্গাব্দ)
মুদ্রিত
জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্বরলিপিটির ক্ষেত্রে ত্রিতালের স্থলে
কাওয়ালি তাল উল্লিখিত হয়েছে (পৃষ্ঠা ৯৭)।
-
স্বরবিতান বিংশ
(২০) খণ্ডের (ফাল্গুন ১৪১১ বঙ্গাব্দ)
গৃহীত গানটির স্বরলিপিতে রাগ-তালের
নাম হিসেবে
(
উল্লেখ রয়েছে
যথাক্রমে ছায়ানট ও ত্রিতাল।
(ত্রিতাল
- রাগ : নাট। [রবীন্দ্রসঙ্গীতে রাগ-নির্ণয়। ভি.ভি.
ওয়াঝলওয়ার। রবীন্দ্রনাথের প্রেমের গান। সংগীত-শিক্ষায়তন। বৈশাখ ১৩৯০। পৃষ্ঠা
: ৭২]
- (
রাগ: ছায়ানট। তাল: ত্রিতাল
(।
[রবীন্দ্রসংগীত
: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬)]।
পৃষ্ঠা: ৩৩।
- রাগ: ছায়ানট। তাল: ত্রিতাল।
[রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী,
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমী, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ৬৩।
- গ্রহস্বর:
রা।
- লয়: মধ্য।