বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
শিরোনাম: মেঘের কোলে রোদ
হেসেছে
পাঠ ও পাঠভেদ:
- গীতবিতান (বিশ্বভারতী, কার্তিক ১৪১২)-এর পাঠ:
মেঘের কোলে রোদ
হেসেছে, বাদল গেছে টুটি। আহা, হাহা, হা।
আজ আমাদের ছুটি
ও ভাই, আজ আমাদের ছুটি। আহা, হাহা, হা॥
কী
করি আজ ভেবে না পাই, পথ হারিয়ে কোন্ বনে যাই,
কোন্
মাঠে যে ছুটে বেড়াই সকল ছেলে জুটি। আহা, হাহা, হা॥
কেয়া-পাতার নৌকো গড়ে সাজিয়ে দেব
ফুলে—
তালদিঘিতে
ভাসিয়ে দেব,
চলবে দুলে দুলে।
রাখাল ছেলের সঙ্গে ধেনু চরাব আজ বাজিয়ে বেণু,
মাখব
গায়ে ফুলের রেণু চাঁপার বনে লুটি। আহা, হাহা, হা
॥
RBVBMS 479
[নমুনা]
RBVBMS 4
[নমুনা]
পাঠভেদ:
স্বরবিতান পঞ্চাশত্তম
(৫০,
শেফালি)
খণ্ডের (চৈত্র
১৪১৩ বঙ্গাব্দ)
পাঠভেদ অংশে এই গানটির একটি পাঠভেদ রয়েছে-
মেঘের কোলে রোদ
হেসেছে
কেয়া-পাতার নৌকো গড়ে : শেফালি
(আষাঢ় ১৩৩৫)
কেয়া-পাতার
নৌকো গ'ড়ে : গীতবিতান (আশ্বিন ১৩৩৮)
তথ্যানুসন্ধান:
-
ক. রচনাকাল ও স্থান:
গানটি রচনার
সুনির্দিষ্ট তারিখ পাওয়া যায় না ১৩১৫ বঙ্গাব্দ ।
রবীন্দ্রনাথ ১৩১৫ বঙ্গাব্দে গানটি রচনা করেছিলেন
শারদোৎসব নাটিকার জন্য। আর
শারদোৎসব
গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়েছিল
১৩১৫
বঙ্গাব্দের ভাদ্র মাসে। এই বিচারে ধারণা করা হয়,
গানটি এই বছরের ভাদ্র মাসের আগেই রচনা করেছিল। এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স
ছিল
৪৭ বৎসর ।
[রবীন্দ্রনাথের ৪৭ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সের গানে তালিকা]
-
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
- পত্রিকা:
- আনন্দ সঙ্গীত পত্রিকা, (বাউল) বিভাস-একতাল (আশ্বিন-কার্তিক ১৩২২ সংখ্যা)। ইন্দিরা দেবী -কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত।
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
- স্বরলিপি:
-
স্বরলিপিকার:
- ইন্দিরা দেবী। [আনন্দ সঙ্গীত পত্রিকা (আশ্বিন-কার্তিক ১৩২২ সংখ্যা)]
সুর ও তাল:
- স্বরবিতান পঞ্চাশত্তম
৫০, শেফালি) খণ্ডে (চৈত্র ১৪১৩ বঙ্গাব্দ) গৃহীত স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিটি ৩।৩ মাত্রা ছন্দে দাদরা তালে নিবদ্ধ।
রাগ: বিভাস। অঙ্গ: বাউল। তাল: দাদরা। [রবীন্দ্রসংগীত : রাগ-সুর নির্দেশিকা । সুধীর চন্দ। (প্যাপিরাস, জানুয়ারি ১৯৯৩)। পৃষ্ঠা: ৭৩]।
- রাগ:
বিভাস (বাংলা) ।
- তাল: দাদরা [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, জুলাই ২০০১], পৃষ্ঠা: ১২৮।
- গ্রহস্বর: সা।
- লয়: মধ্য।