তাপের তাপের বাঁধন কাটুক রসের বর্ষণে।
হৃদয় আমার, শ্যামল-বঁধুর করুণ স্পর্শ নে॥
অঝোর-ঝরন শ্রাবণজলে তিমিরমেদুর বনাঞ্চলে
ফুটুক সোনার কদম্বফুল নিবিড় হর্ষণে॥
ভরুক গগন, ভরুক কানন, ভরুক নিখিল ধরা,
দেখুক ভুবন মিলনস্বপন মধুর-বেদনা-ভরা।
পরান-ভরানো ঘনছায়াজাল বাহির-আকাশ করুক আড়াল-
নয়ন ভুলুক, বিজলি ঝলুক পরম দর্শনে॥
নটরাজ ঋতুরঙ্গশালা রচিত হয় ১৯৩৩ বঙ্গাব্দে। এই গ্রন্থটি বিচিত্রা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়- আষাঢ় ১৩৩৪ বঙ্গাব্দ সংখ্যায়। এই সময় এই গানটিও 'নটরাজ ঋতুরঙ্গশালা'র সাথে প্রকাশিত হয়েছিল। এরপর 'নটরাজ ঋতুরঙ্গশালা'-কে রবীন্দ্রনাথ কিছু পরিবর্তন করেন। পরিবর্তিত এই সংস্করণটির নামকরণ করেন- 'ঋতুরঙ্গ'। 'বসুমতী' পত্রিকার পৌষ ১৩৩৪ বঙ্গাব্দ সংখ্যায় 'ঋতুরঙ্গ' প্রকাশিত হয়। এই গ্রন্থের সাথে- এই গানটিও প্রকাশিত হয়েছিল। বর্তমানে রবীন্দ্ররচনাবলী ১৮তম (অষ্টাদশ খণ্ড (বিশ্বভারতী)। পৃষ্ঠা ২১১-১২।) খণ্ডে এই গানটি 'নটরাজ'-এর সাথে পাওয়া যায়।