নাই বা ডাকো রইব তোমার দ্বারে,
মুখ ফিরালে ফিরল না এইবারে ॥
বসব তোমার পথের ধুলার ’পরে,
এড়িয়ে আমায় চলবে কেমন করে-
তোমার তরে যে জন গাঁথে মালা
গানের কুসুম জুগিয়ে দেব তারে ॥
রইব তোমার ফসল-খেতের কাছে
যেথায় তোমার পায়ের চিহ্ন আছে।
জেগে রব গভীর উপবাসে
অন্ন তোমার আপনি যেথায় আসে-
যেথায় তুমি লুকিয়ে প্রদীপ জ্বালো
বসে রব সেথায় অন্ধকারে ॥
ঘ. প্রাসঙ্গিক পাঠ :
কাব্যগ্রন্থ নবম খণ্ড (ইন্ডিয়ান প্রেস, ১৩২৩ বঙ্গাব্দ)। গীতালি ৩১। পৃষ্ঠা: ৪৫৩। [নমুনা]
রবীন্দ্ররচনাবলী একাদশ খণ্ড (বিশ্বভারতী)। পৃষ্ঠা ২৩৯-৪০।
স্বরবিতান চতুশ্চত্বারিংশ (৪৪) খণ্ডের (চৈত্র ১৪১৩) ১৮ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ৪৫-৪৭। [নমুনা]
প্রকাশের কালানুক্রম: ১৩২১ বঙ্গাব্দে গানটি প্রথ্ম প্রকাশিত গীতালি প্রথম সংস্করণে। এরপর ১৩২৩ বঙ্গাব্দে কাব্যগ্রন্থ নবম খণ্ডে গানটি গৃহীত হয়েছিল।
এ সকল গ্রন্থাদির
পরে, ১৩৩৮ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত
গীতবিতান -এর
দ্বিতীয় খণ্ড, প্রথম সংস্করণ
- গানটি প্রথম অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। এরপর গীতবিতানের
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের মাঘ
মাসে। এই সংস্করণে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল
পূজা,
পর্যায়ের বিরহ উপবিভাগের ১৫ সংখ্যক গান হিসেবে। ১৩৭১ বঙ্গাব্দের আশ্বিন
মাসে প্রকাশিত অখণ্ড গীতবিতানের ১৪২ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত
হয়েছিল। অখণ্ড গীতাবিতানের তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল পৌষ ১৩৮০
বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে। এই সংস্করণে
পূজা,
পর্যায়ের বিরহ উপবিভাগের ১৫
স্বরবিতান-৪৪এ গৃহীত স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিটি ৩।৩ মাত্রা ছন্দে দাদরা’ তালে নিবদ্ধ।
রাগ: তিলক কামোদ। তাল- দাদরা। [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬। পৃষ্ঠা: ৬২]