সকল জনম ভ'রে ও
মোর দরদিয়া
কাঁদি কাঁদাই তোরে ও মোর দরদিয়া॥
আছ হৃদয়-মাঝে
সেথা কতই ব্যথা বাজে,
ওগো এ কি তোমায় সাজে
ও মোর দরদিয়া?।
এই দুয়ার-দেওয়া ঘরে
কভু আঁধার নাহি সরে,
তবু আছ তারি ’পরে
ও মোর দরদিয়া।
সেথা আসন হয় নি পাতা,
সেথা মালা হয় নি গাঁথা,
আমার লজ্জাতে হেঁট মাথা
ও মোর দরদিয়া॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ:
RBVBMS 125 [অচলায়তনের পাণ্ডুলিপি] পৃষ্ঠা: ১৪৩।
পাঠভেদ: দেখা হয় নি
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান: গানটি প্রথম লেখা হয়েছিল 'অচলায়তন' নাটকের প্রথম দৃশ্যে, পঞ্চকের
গান হিসেবে। গানটি অচলায়তনের পাণ্ডুলিপিতে লেখা হয়েছিল। উল্লেখ্য, এই
নাটকের প্রথম খসড়া পাণ্ডুলিপি
Ms.
125 -তে রচনার তারিখ উল্লেখ
আছে '১৫ই আষাঢ়/১৩১৮/শিলাইদহ'। এই বিচারে বলা যায়,
গানটি রবীন্দ্রনাথের ৫০ বৎসর ২ মাস বয়সের রচনা।
[৫০ বৎসর
অতিক্রান্ত বয়সে রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ:
অখণ্ড, তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, চৈত্র ১৪১৩), পর্যায়: পূজা ১৬৩, উপবিভাগ: বিরহ ৩৬।
রবীন্দ্ররচনাবলী একাদশ খণ্ড (বিশ্বভারতী)। পৃষ্ঠা : ৩৫৭-৩৫৮।
স্বরবিতান দ্বিপঞ্চাশত্তম খণ্ড (বিশ্বভারতী, ), গান সংখ্যা: ১৪, পৃষ্ঠা ৩৩-৩৫।
পত্রিকা:
রেকর্ডসূত্র: কোনো রেকর্ড নমুনা পাওয়া যায় নি
প্রকাশের
কালানুক্রম:
গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল প্রবাসী পত্রিকার 'আশ্বিন ১৩১৮ বঙ্গাব্দ
সংখ্যায়। এরপর যে সকল গ্রন্থাদিতে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল,
সেগুলো হলো-
অচলায়তন
প্রথম সংস্করণ
(১৭ আশ্বিন ১৩১৮ বঙ্গাব্দ),
ধর্ম্মসঙ্গীত
(১৩২১ বঙ্গাব্দ)।
এ সকল গ্রন্থাদির পরে,
১৩৩৮ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত
গীতবিতান -এর
দ্বিতীয় খণ্ড, প্রথম সংস্করণ
-এ
গানটি প্রথম অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। এরপর
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের মাঘ মাসে।
এই সংস্করণে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল
পূজা,
পর্যায়ের বিরহ উপবিভাগের ৩৬
সংখ্যক গান হিসেবে। ১৩৭১ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত অখণ্ড গীতবিতানের
পূজা
পর্যায়ের ১৬৩ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত
হয়েছিল।
গানটি
একইভাবে অখণ্ড গীতাবিতানের তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশিত
হয়েছিল পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে।
গ. সঙ্গীতবিষয়ক তথ্যাবলি:
স্বরলিপি: [স্বরলিপি]
স্বরলিপিকার: সুধীন্দ্রচন্দ্রকর ঠাকুর। পাণ্ডুলিপি থেকে গৃহীত।
সুর ও তাল:
স্বরবিতান দ্বিপঞ্চাশত্তম খণ্ডে (বিশ্বভারতী, ) গানটির স্বরলিপি যথাযথ তাল বিভাজন চিহ্নে নিবদ্ধ নয়। ঢালাভাবে করা এই স্বরলিপিটি চার মাত্রার বিরতিতে মুদ্রিত।
রাগ : কীর্তন-টপ্পা। তাল : মুক্তছন্দ। [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা, সুধীর চন্দ, প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬], পৃষ্ঠা: ৭৯।
রাগ: কীর্তন। তাল: ঢালা। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১], পৃষ্ঠা: ১৩৭।
গ্রহস্বর: পা।
লয়: মধ্য।