বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
শিরোনাম:
আমার মন তুমি নাথ লবে হ'রে
পাঠ ও পাঠভেদ:
- গীতবিতান (বিশ্বভারতী, কার্তিক
১৪১২)-এর পাঠ:
পূজা:
১৭৩
আমার মন তুমি,
নাথ,
লবে হ'রে
আমি আছি বসে সেই
আশা ধরে
॥
নীলাকাশে ওই
তারা ভাসে,
নীরব নিশীথে শশী হাসে,
আমার দু নয়নে
বারি আসে ভরে— আছি আশা ধরে
॥
স্থলে জলে তব
ধূলিতলে,
তরুলতা তব ফুলে ফলে,
নরনারীদের
প্রেমডোরে,
নানা দিকে দিকে
নানা কালে,
নানা সুরে সুরে নানা তালে
নানা মতে তুমি
লবে মোরে— আছি আশা ধরে
॥
RBVBMS 426 (ii)
।
[নমুনা]
পাঠভেদ:
পাঠভেদ আছে। স্বর-২২-এর ৮৩ পৃষ্ঠা অনুসারে পাঠভেদটি নিচে তুলে ধরা হলো।
(আমার) মন তুমি, নাথ, লবে হরে'....
(আমার) দু নয়নে বারি আসে ভরে'-
আছি আশা ধরে'....
তরুলতা তব ফুলে ফলে.....
আছি আশা ধরে' : ব্রহ্মসঙ্গীত-স্বরলিপি ২ (মাঘ
১৩১২)
মন তুমি, নাথ, লবে হ'রে....
দু-নয়নে বারি আসে ভ'রে-
ব'সে আছি আমি আশা ধ'রে....
তরুতে লতায় ফুলে ফলে.....
ব'সে আছি সেই আশা ধ'রে : গীতবিতান (আশ্বিন ১৩৩৮)
আমি আছি বসে সেই আশা ধরে : স্বরবিতান ২২ (ফাল্গুন ১৩৫৮)
(আমি) বসে আছি সেই আশা ধরে' :
ব্রহ্মসঙ্গীত-স্বরলিপি ২ (মাঘ ১৩১২)
'গান'
নামক গ্রন্থের
প্রথম সংস্করণ-এ এই গানটির
যে পাঠ পাওয়া যায়, তা হলো-
মন তুমি, নাথ, লবে হ'রে
আছি বসে সেই আশা ধরে ॥
নীলাকাশে ওই
তারা ভাসে,
নীরব নিশীথে শশী হাসে,
দু' নয়নে
বারি আসে ভরে'
বসে আছি আশা ধরে
॥
স্থলে জলে তব
ধূলিতলে,
তরুলতা তব ফুলে ফলে,
নরনারীদের
প্রেমডোরে—
নানা দিকে দিকে,
নানা কালে,
নানা সুরে সুরে, নানা তালে
নানা মতে তুমি
লবে মোরে—
বসে আছি আশা ধরে
॥
এছাড়া 'গান' নামক গ্রন্থের
দ্বিতীয় সংস্করণ (১৩১৬ বঙ্গাব্দ, ১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দ)
ব্রহ্মসঙ্গীত
অংশে
গানটি ৩৬৩-৩৬৪ [নমুনা:
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]এবং ৩৮৩
পৃষ্ঠাসহ [নমুনা]
মোট দুটি স্থানে মুদ্রিত হয়েছে। দুটি নমুনার ভিতরে
পাঠভেদ লক্ষ্য করা যায়। কাব্যাগ্রন্থ অষ্টম ও দশম খণ্ডের পাঠ
'গান' নামক গ্রন্থের
দ্বিতীয় সংস্করণের অনুরূপ।
RBVBMS 426 (ii)
পাণ্ডুলিপিতে লিখিত
গানটির নিচে রচনার স্থান ও তারিখ উল্লেখ আছে-
'২০শে
জ্যৈষ্ঠ/১৩১১/শান্তিনিকেতন। এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৪৩ বৎসর ১ মাস।
[৪৩ বৎসর
অতিক্রান্ত বয়সে রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
উল্লেখ্য, গ্রীষ্মের ছুটির পর ১৫ জ্যৈষ্ঠ (শনিবার ২৮ মে) তারিখে পুনরায়
বিদ্যালয় খুলবে। এই উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনে আসেন। ২০ জ্যৈষ্ঠ থকে ২৬
জ্যৈষ্ঠ পর্যন্ত রবীন্দ্রনাথ মোট ছয়টি গান রচনা করেন। আলোচ্য গানটি এ সময়ে
রচিত হয়েছিল।
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
- গ্রন্থ:
-
কাব্যগ্রন্থ
-
গান
-
প্রথম সংস্করণ [সিটি বুক সোসাইটি, ১৩১৫
বঙ্গাব্দ]
ব্রহ্মসঙ্গীত। ছায়ানট-ঝাঁপতাল। পৃষ্ঠা: ৩৬৩-৩৬৪] [নমুনা:
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
-
দ্বিতীয় সংস্করণ [ইন্ডিয়ান
প্রেস (১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দ, ১৩১৬
বঙ্গাব্দ)।
ব্রহ্মসঙ্গীত। রাগিণী ছায়ানট, তাল ঝাঁপতাল।
উল্লেখ্য
ব্রহ্মসঙ্গীত অংশে গানটি ৩৬৩-৩৬৪
নমুনা:
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]এবং ৩৮৩
পৃষ্ঠাসহ [নমুনা]
মোট দুটি স্থানে মুদ্রিত হয়েছে। দুটি নমুনার ভিতরে
পাঠভেদ লক্ষ্য করা যায়।
-
গীতবিতান
-
প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণ
[বিশ্বভারতী, আশ্বিন ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ। ১৩১০ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত 'মোহিত
সেন সম্পাদিত কাব্যগ্রন্থের ৮ম ভাগের 'গান' অংশ থেকে গৃহীত হয়েছিল। পৃষ্ঠা:
২৩৫-২৩৭]
[নমুনা:
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
-
ধর্ম্মসঙ্গীত [ইন্ডিয়ান পাবলিশিং হাউস, ১৩২১ বঙ্গাব্দ। পৃষ্ঠা:
৯৫] [নমুনা]
-
ব্রহ্মসঙ্গীত স্বরলিপি দ্বিতীয় ভাগ (১১ মাঘ ১৩১২ বঙ্গাব্দ)। মিশ্র
ছায়ানট-ঝাঁপতাল। কাঙ্গালীচরণ
সেন-কৃত
স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
-
স্বরবিতান দ্বাবিংশ
(২২) খণ্ডের পঞ্চম গান।
পৃষ্ঠা ১৬-১৮।[নমুনা]
-
পত্রিকা:
-
তত্ত্ববোধিনী
(ফাল্গুন ১৩১১ বঙ্গাব্দ)।
-
সঙ্গীত প্রকাশিকা
(চৈত্র ১৩১১ বঙ্গাব্দ)। মিশ্র ছায়ানট-ঝাঁপতাল। পৃষ্ঠা: ১৩৯-৪১।
-
রেকর্ড:
১৯১৫ খ্রিষ্টাব্দের ভিতরে জেনোফোন রেকর্ড থেকে মিস অমলা দাসের কণ্ঠে এই
গানটির রেকর্ড প্রকাশিত হয়েছিল। রেকর্ড নম্বর:
9-13753/9-13754 ।
[সিদ্ধার্থ ঘোষ, নভেম্বর ১৯৮৯, পৃষ্ঠা
৪০
]
প্রকাশের কালানুক্রম:
১১ মাঘ ১৩১১ বঙ্গাব্দে
পঞ্চসপ্তিতম মাঘোৎসবে
প্রথম গীত হয়েছিল। এই বছরের
তত্ত্ববোধিনী'র
'ফাল্গুন ১৩১১ বঙ্গাব্দ' এবং সঙ্গীত প্রকাশিকা'র 'চৈত্র ১৩১১ বঙ্গাব্দ'
সংখ্যায় গানটি প্রকাশিত হয়েছিল।
এরপর
যে সকল গ্রন্থাদিতে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়ৈছিল, সেগুলো হলো-
কাব্যগ্রন্থ
অষ্টম খণ্ড
১৩১০ বঙ্গাব্দ),
ব্রহ্মসঙ্গীত স্বরলিপি
দ্বিতীয় ভাগ (১৩১২ বঙ্গাব্দ),
গান
(প্রথম সংস্করণ
১৩১৫
বঙ্গাব্দ) এবং
দ্বিতীয় সংস্করণ
(১৩১৬
বঙ্গাব্দ),
ধর্ম্মসঙ্গীত
(১৩২১ বঙ্গাব্দ) এবং
কাব্যগ্রন্থ
দশম খণ্ড
( ১৩২৩ বঙ্গাব্দ)
।
এ
সকল গ্রন্থাদির পরে,
১৩৩৮ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত
গীতবিতান
-এর
প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণ
-এ গানটি প্রথম অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
এর< পর
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের মাঘ
মাসে। এই সংস্করণে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল
পূজা,
পর্যায়ের বিরহ উপবিভাগের ৪৬
সংখ্যক গান হিসেবে। ১৩৭১ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত অখণ্ড
গীতবিতানের
পূজা
পর্যায়ের ১৭৩ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত
হয়েছিল। গানটি একইভাবে অখণ্ড গীতাবিতানের
তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে।
গ সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
-
স্বরলিপিকার:
কাঙ্গালীচরণ সেন।
উল্লেখ্য,
কাঙ্গালীচরণ সেন-কৃত স্বরলিপিটি 'ব্রহ্মসঙ্গীত স্বরলিপি-দ্বিতীয় ভাগ' থেকে
স্বরবিতান-২২-এর ৭৪ পৃষ্ঠায় আংশিক সুরভেদ হিসাবে গৃহীত হয়েছে। 'স্বরবিতান-২২- এর
মূল স্বরলিপিটি কার তা স্পষ্ট জানা যায় না।
[কাঙ্গালীচরণ
সেন-কৃত স্বরলিপির তালিকা]
- সুর ও
তাল:
- রাগ: মিশ্র ছায়ানট। তাল: ঝাঁপতাল। স্বরবিতান-২২ ।
-
রাগ: মিশ্র
ছায়ানট। তাল: ঝাঁপতাল
[রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ।
প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬। পৃষ্ঠা: ৩০]
-
রাগ: ছায়ানট। তাল: ঝাঁপতালা।
[রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত। প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ৫৭।]
-
বিষয়াঙ্গ: ব্রহ্মসঙ্গীত।
-
সুরাঙ্গ:
ধ্রুপদাঙ্গ।
-
গ্রহস্বর: সা।
- লয়: মধ্য।