৪৩ বৎসর অতিক্রান্ত বয়স

২৫ বৈশাখ ১৩১১ বঙ্গাব্দ থেকে ২৪ বৈশাখ ১৩১২ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত (৭ মে ১৯০৪- ৬ মে ১৯০৫ খ্রিষ্টাব্দ)



১৩১১ বঙ্গাব্দের ১৪ই জ্যৈষ্ঠ রবীন্দ্রনাথ কলকাতা থেকে শান্তিনিকেতন আসেন। উল্লেখ্য, ১৫ই জ্যৈষ্ঠে গ্রীষ্মের ছুটির পর শান্তিনিকেনের স্কুল খোলার কথা ছিল। তাই তিনি রাত্রিবেলাতেই শান্তিনিকতনের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। শান্তিনিকেতনে এসে তিনি কয়েকদিন নানা কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। ২০শে জ্যৈষ্ঠ থেকে ২৬ জ্যৈষ্ঠ পর্যন্ত শান্তিনিকেতনে অবস্থানকালে তিনি মোট ৬টি গান রচনা করেন। এই গানগুলো তিনি লিখেছিলেন মজুমদার পুথিতে
RBVBMS 426 (ii)।  এই গানগুলো হলো-

২০ জ্যৈষ্ঠ [বৃহস্পতিবার, ২ জুন] আমার মন তুমি নাথ, লবে হরে [পূজা-১৭৩] [তথ্য]  [নমুনা]
২২ জ্যৈষ্ঠ [শনিবার, ৪ জুন] দাঁড়াও আমার আঁখির আগে [পূজা-১০১] [তথ্য]
 [নমুনা]
২৪ জ্যৈষ্ঠ [সোমবার, ৫ জুন] আজি যত তারা তব আকাশে [পূজা-৬৬] [তথ্য]
[নমুনা]
২৫ জ্যৈষ্ঠ [মঙ্গলবার, ৬ জুন]
গরব মম হরেছ, প্রভু,দিয়েছ বহু লাজ[পূজা-৪৯৩] [তথ্য] [নমুনা]
২৬ জ্যৈষ্ঠ [বুধবার, ৭ জুন]
সবার মাঝারে তোমারে স্বীকার করিব হে [পূজা-৩৬৭] [তথ্য] [নমুনা প্রথমাংশ, শেষাংশ]
২৬ জ্যৈষ্ঠ [বুধবার, ৭ জুন]
যে-কেহ মোরে দিয়েছ সুখ দিয়েছ তাঁরি পরিচয় [পূজা-৪৯৬] [তথ্য] [নমুনা প্রথমাংশ, শেষাংশ]

১৩১১ বঙ্গাব্দের ২৩ আষাঢ়ে রবীন্দ্রনাথ মজঃফরপুরে ২টি গান রচনা করেন। গান ২টি হলো-
            কী সুর বাজে আমার প্রাণে
           
তুমি যে আমারে চাও আমি সে জানি [পূজা-২৯৮] [তথ্য]

১৩১১ বঙ্গাব্দের ২ অগ্রহায়ণ [বৃহস্পতিবার] স্বর্ণকুমারী দেবী ও জানকীনাথ ঘোষাল ১৬ বালিগঞ্জ সার্কুলার সড়কের বাড়িতে, বরোদার মহারাজা সয়াজি রাও গায়কোয়াড়-এর সংবর্ধনার আয়োজন করেন। এই আয়োজনের কর্মকর্তাদের অনুরোধে, রবীন্দ্রনাথ মহারাজের সংবর্ধনার জন্য একটি গান রচনা করেন। গানটি হলো
            বঙ্গজননী মন্দিরাঙ্গন মঙ্গোলজ্জ্বল আজ হে।

'রাজরাজেন্দ্র জয় জয়তু হে ' গানটি ১৩১৫ ভাদ্রে প্রকাশিত শারদোৎসব গৃহীত হয়েছে। এই বিচারে প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় তাঁর গীতবিতান কালানুক্রমিক সূচি গ্রন্থে গানটির প্রকাশকালের বিচারে ১৩১৫ বঙ্গাব্দের গানের তালিকায় যুক্ত করেছেন। এই গানটি সম্পর্কে ক্ষিতিমোহন সেনের মত হলো-"...বন্দীদের রাজপ্রশস্তি রাজরাজেন্দ্রজয়-গানটি যে শারদোৎসবে বসাইলেন তাহা পূর্বে একসময়ে প্রসঙ্গান্তরে তাঁহার দ্বারাই রচিত হইয়াছিল।"

 

এই উক্তির সূত্রে প্রশান্তকুমার পাল তাঁর রবিজীবনী ষষ্ঠ খণ্ডে, এই গানটির রচনাকাল অনুমান করে লিখেছেন-"... সম্ভবত ত্রিপুরারাজ রাধাকিশোর মাণিক্য ২৩ পৌষ ১৩১১ যখন শান্তিনিকেতন পরিদর্শনে এসেছিলেন তখন তাঁর অভ্যর্থনা উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথ গানটি রচনা করেন।"
 

ক্ষিতিমোহন সেনের উক্তি এবং প্রশান্তকুমার পালের এই প্রাসঙ্গিক অনুমান অনুসরণে- ধারণা করা যায়  গানটি ১৩১১ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে রচিত। এই বিচারে বলা যায়- 'রাজরাজেন্দ্র জয়' ছাড়া অন্যগুলি রবীন্দ্রনাথের ৪৭ বৎসর ৪ মাস বয়সের রচনা।

 

১৩১১ বঙ্গাব্দের ১১ মাঘ [মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারি ১৯০৫ খ্রিষ্টাব্দ] পঞ্চসপ্ততিতম (৭৫) সাংবৎসরিক মাঘোৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এই উৎসবে দুটি জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের দুটি এবং রবীন্দ্রনাথের রচিত ৮টি গান পরিবেশিত হয়।  রবীন্দ্রনাথের রচিত গানগুলির ভিতর একটি গান এই উৎসব উপলক্ষেই  রচিত হয়েছিল। গানটি হলো
            শক্তিরূপ হেরো তাঁর