বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
শিরোনাম:
আজি যত তারা তব আকাশে
পাঠ ও পাঠভেদ:
- গীতবিতান
অখণ্ড (বিশ্বভারতী,
কার্তিক ১৪১২)-এর
পাঠ: পূজা ৬৬।
আজি যত তারা তব আকাশে
সবে মোর প্রাণ ভরি প্রকাশে॥
নিখিল তোমার এসেছে ছুটিয়া, মোর মাঝে আজি পড়েছে টুটিয়া হে,
তব নিকুঞ্জের মঞ্জরী যত আমারি অঙ্গে বিকাশে
॥
দিকে দিগন্তে যত আনন্দ লভিয়াছে এক গভীর গন্ধ,
আমার চিত্তে মিলি একত্রে তোমার মন্দিরে উছাসে।
আজি কোনোখানে কারেও না জানি,
শুনিতে না পাই আজি কারো বাণী হে,
নিখিল নিশ্বাস আজি এ বক্ষে বাঁশরির সুরে বিলাসে॥
[RBVBMS 426
(ii)] [নমুনা]
তথ্যানুসন্ধান
RBVBMS 426
(ii)
পাণ্ডুলিপিতে গানটির রচনাকাল ও স্থান উল্লেখ আছে, '২৪শে জ্যৈঃ ১৩১১/ শান্তিনিকেতন'।
উল্লেখ্য,
১৩১১ খ্রিষ্টাব্দের ২০ জ্যৈষ্ঠ থেকে ২৬ জ্যৈষ্ঠ পর্যন্ত শান্তিনিকেতনে
থাকাকালীন অবস্থায়
মোট ৬টি গান রচনা করেন।
এর
ভিতরে এই গানটি রচনা করেছিলেন
২৪শে জ্যৈষ্ঠে। এই
বিচারে বলা যায়, গানটি রবীন্দ্রনাথের ৪৩ বৎসর ১ মাস বয়সে রচনা।
[৪৩
বৎসর অতিক্রান্ত বয়সে রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
গানটি সম্পর্কে একটি মূল্যবান তথ্য পাওয়া যায়,
প্রশান্তকুমার পাল'এর রবিজীবনী ৫ম খণ্ডে (পৃষ্ঠা ১৮৫)। তথ্যটি হলো
—
গানটির সূচনা হয়েছিল এই ভাবে-
তোমার আকাশের সকল তারা গুলি
হৃদয় ভরি আজি প্রকাশে
তোমার কাননের সকল ফুল আজি
আমার হৃদয় মাঝে বিকাশে
-ছত্রগুলি প্রায় অপাঠ্য করে কেটে দেওয়া হয়েছে। কাটা অংশগুলি
জুড়ে বিচিত্র নকশা তৈরির যে প্রবণতা পরবর্তীকালে বহু রবীন্দ্র-পাণ্ডুলিপিতে
দেখা যায়, তার প্রথমটির সাক্ষাৎ মেলে এই গানের পাণ্ডুলিপিতে।'
[দেখুন:
(পাণ্ডুলিপি
)]
খ.
প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
- গ্রন্থ:
-
কাব্যগ্রন্থ
-
গান
-
দ্বিতীয় সংস্করণ [ইন্ডিয়ান প্রেস
(১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দ, ১৩১৬ বঙ্গাব্দ। ব্রহ্মসঙ্গীত। লুম-কাওয়ালি। পৃষ্ঠা: ৩৮৪]
[নমুনা]
-
গীতবিতান
-
প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণ
[বিশ্বভারতী, আশ্বিন ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ। ১৩১০ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত
'মোহিত সেন সম্পাদিত কাব্যগ্রন্থের ৮ম ভাগের 'গান'
অংশ থেকে গৃহীত হয়েছিল। পৃষ্ঠা: ২১৪][নমুনা]
-
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ
(বিশ্বভারতী,
মাঘ ১৩৪৮
বঙ্গাব্দ)। গান
সংখ্যা ৩৪।
পৃষ্ঠা: ২৯। [নমুনা]
-
অখণ্ড সংস্করণ,
তৃতীয় সংস্করণ
( বিশ্বভারতী,
পৌষ ১৩৮০
বঙ্গাব্দ)। পর্যায়:
পূজা ৬৬।
উপবিভাগ:
বন্ধু
৩৪।
-
গীতিচর্চ্চা
৭৭ সংখ্যক গান। (বিশ্বভারতী, পৌষ ১৩৩২ বঙ্গাব্দ)।
পৃষ্ঠা: ৫৮-৫৯। [নমুনা:
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
-
ধর্ম্মসঙ্গীত
(ইন্ডিয়ান
পাবলিশিং হাউস ১৯১৪ খ্রিষ্টাব্দ
১৩২১ বঙ্গাব্দ)
পৃষ্ঠা: ৯৫-৯৬।
[নমুনা: প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
-
ব্রহ্মসঙ্গীত স্বরলিপি
দ্বিতীয় ভাগ
(১১ মাঘ ১৩১২ বঙ্গাব্দ)। লুম খাম্বাজ-ঠুংরি। কাঙ্গালীচরণ সেন-কৃত
স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
-
স্বরবিতান দ্বাবিংশ
(২২) খণ্ডের
(শ্রাবণ ১৪১০)তৃতীয় গান।
খাম্বাজ-কাওয়ালি। পৃষ্ঠা ১০-১২।
[নমুনা]
-
পত্রিকা:
-
পরিবেশনা:
-
১৩১১
বঙ্গাব্দের ১১ মাঘ [মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারি ১৯০৫ খ্রিষ্টাব্দ],
পঞ্চসপ্ততিতম (৭৫) সাংবৎসরিক মাঘোৎসব
অনুষ্ঠিত হয়। এই উৎসবে জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের দুটি এবং রবীন্দ্রনাথের রচিত ৮টি গান পরিবেশিত
হয়।
এই
উৎসবে এই গানটি গীত হয়েছিল।
-
রেকর্ডসূত্র: ১৯২৬
খ্রিষ্টাব্দ ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত এইচএমভি রবীন্দ্রনাথের বেশ
কিছু গানের রেকর্ড প্রকাশ করে। এই গানটি রেকর্ডে গেয়েছিলেন
সুধামাধব সেনগুপ্ত। রেকর্ড নম্বর< ।
[সূত্র:
রেকর্ডে রবীন্দ্রসংগীত। সিদ্ধার্থ ঘোষ। ইন্দিরা
সংগীত-শিক্ষায়তন। নভেম্বর ১৯৮৯। পৃষ্ঠা: ৫৩]
এছাড়া
সন্তোষকুমার দে-কর্তৃক রচিত
'কবিকণ্ঠ ও কলের গান' (বিশ্বভারতী, মার্চ ১৯৯৩ খ্রিষ্টাব্দ)
গ্রন্থের ১৪৯ পৃষ্ঠায় এই গানের ২টি রেকর্ডের কথা জানা যায়। তবে এর
সাথে রেকর্ডের প্রকাশক এবং প্রকাশকাল সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানা যায়
না। এই রেকর্ড ২টি হলো-
GE 24952
বাসবী নন্দী ও শৈলেন মুখোপাধ্যায়।
GE
25094
প্রকাশের কালানুক্রম:
১৩১১ বঙ্গাব্দের শ্রাবণ মাসে গানটি প্রকশিত হয়েছিল
ভারতী পত্রিকায়। আশ্বিন মাসে প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ-এর অষ্টমভাগে
ব্রহ্মসঙ্গীত হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। এরপর এই বছরের ১১ই মাঘ
পঞ্চসপ্ততিতম (৭৫) সাংবৎসরিক মাঘোৎসব-এ
গানটি প্রথম পরিবেশিত হয়। এর পরের মাসে অর্থাৎ ফাল্গুন মাসে
তত্ত্ববোধিনী পত্রিকায় গানটি প্রকাশিত হয়েছিল।
এরপর ১৩১৫ বঙ্গাব্দে গানটি 'গান' নামক গ্রন্থের প্রথম সংস্করণে অন্তর্ভুক্ত
হয় এবং এই গ্রন্থের ১৩১৬ বঙ্গাব্দের সংস্করণেও ছিল। ১৩২১ বঙ্গাব্দে
প্রকাশিত 'ধর্ম্মসঙ্গীত' গ্রন্থে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয় ব্রহ্মসঙ্গীত
হিসেবে। ১৩৩২ বঙ্গাব্দে 'গীতিচর্চ্চা' গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
১৩৩৮ বঙ্গাব্দের আশ্বিন
মাসে প্রকাশিত গীতবিতানের প্রথম খণ্ডের প্রথম
সংস্করণে
অন্তর্ভুক্ত হয় গীতাঞ্জলি থেকে। ১৩৪৮
খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত গীতবিতানের প্রথম খণ্ডের দ্বিতীয় সংস্করণে
এই গানটি গৃহীত হয় পূজা পর্যায়ে। ১৩৮০ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত
গীতবিতানের অখণ্ড সংস্করণে পূজা পর্যায়ের গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত
হয়।
গ.
সঙ্গীত
বিষয়ক
তথ্যাবলী:
-
স্বরলিপিকার:
কাঙ্গালীচরণ সেন।
ব্রহ্মসঙ্গীত স্বরলিপি
দ্বিতীয় ভাগ থেকে
স্বরবিতান-২২ (ফাল্গুন ১৩৫৮)-এ এই গানটির স্বরলিপি গৃহীত হয়েছিল।
[কাঙালীচরণ
সেন-কৃত রবীন্দ্রসঙ্গীতের স্বরলিপির তালিকা]
-
সুর ও
তাল:
এই গানটির রাগ নির্ণয়ে একাধিক মত রয়েছে। যেমন-
১. রাগ- খাম্বাজ। তাল-
কাওয়ালি। স্বরবিতান-২২
(শ্রাবণ ১৪১০)। উল্লেখ্য,স্বরবিতান-২২ (শ্রাবণ ১৪১০)-এর ৭৪ পৃষ্ঠায় উল্লেখ
আছে— ব্রহ্মসংগীত-স্বরলিপি ২ (মাঘ ১৩১২)। কাঙ্গালীচরণ সেন-কৃত স্বরলিপি :
'খাম্বাজ- কাওয়ালি' স্থলে লুম 'খম্বাজ- ঠুংরি' উল্লিখিত। পাদটীকায় মন্তব্য
আছে : এই গানের মাত্রার গতি অপেক্ষাকৃত দ্রুত হইবে।
[কাওয়ালি
তালে নিবদ্ধ রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা
২.
রাগ-লুম। তাল-কাওয়ালি। [কাব্যগ্রন্থ ৮ম খণ্ড
(আশ্বিন ১৩১১ বঙ্গাব্দ)]
৩. রাগ-লুম খাম্বাজ (মিশ্র)। তাল-ঠুংরি।
[তত্ত্ববোধিনী]
৪.
লুম খাম্বাজ-কাওয়ালি। [রবীন্দ্রসংগীতের
ক্রমবিকাশ ও বিবর্তন। ডঃ দেবজ্যোতি দত্ত মজুমদার। সাহিত্যলোক। পৌষ
১৩৯৪। ডিসেম্বর ১৯৮৭। পৃষ্ঠা : ৯৪]
৫. রাগ :
খাম্বাজ। তাল: ত্রিতাল
[রবীন্দ্রসংগীত
: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস,
ডিসেম্বর ২০০৬)। পৃষ্ঠা: ২৬]।
৬.
রাগ: খাম্বাজ-কীর্তন।
তাল: কাওয়ালি।
[রাগরাগিণীর
এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, জুলাই ২০০১,
পৃষ্ঠা:
৫১।]
-
প্রকৃতি:
ব্রহ্মসঙ্গীত
।
[রবীন্দ্রনাথের
রচিত ব্রহ্মসঙ্গীতের তালিকা]
-
অঙ্গ:
খেয়ালাঙ্গ ।
[রবীন্দ্রনাথের
খেয়ালাঙ্গের গানের তালিকা]
-
গ্রহস্বর: গা।
-
লয়: মধ্য।