বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত
শিরোনাম: তুমি যে আমারে চাও আমি সে জানি
পাঠ ও পাঠভেদ:

        তুমি যে আমারে চাও আমি সে জানি।
        কেন যে মোরে কাঁদাও আমি সে জানি॥
এ আলোকে এ আঁধারে কেন তুমি আপনারে
        ছায়াখানি দিয়ে ছাও আমি সে জানি ॥
        সারাদিন নানা কাজে কেন তুমি নানা সাজে
                কত সুরে ডাক দাও আমি সে জানি।
        সারা হলে দে'য়া-নে'য়া দিনান্তের শেষ খেয়া
        কোন্ দিক-পানে বাও আমি সে জানি॥

  • রেকর্ড: পাওয়া যায় নি।
  • প্রকাশের কালানুক্রম : গানটি প্রথম কাব্যগ্রন্থ অষ্টম খণ্ডে ( ১৩১০ বঙ্গাব্দ) ব্রহ্মসঙ্গীত হিসেবে স্থান পেয়েছিল। এরপর যে সকল পত্রিকা ও গ্রন্থাদিতে স্থান পেয়েছিল, সেগুলো হলো- বঙ্গদর্শন (১৩১১ বঙ্গাব্দ), কাব্যগ্রন্থ দশম খণ্ড  (১৩২৩ বঙ্গাব্দ), গান প্রথম সংস্করণ (১৩১৫ বঙ্গাব্দ), গান দ্বিতীয় সংস্করণ (১৩১৬ বঙ্গাব্দ) ও ধর্ম্মসঙ্গীত (১৩২১ বঙ্গাব্দ)।

    এ সকল গ্রন্থাদির পরে, ১৩৩৮ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত গীতবিতান -এর প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণ ১৩১৭ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত 'গীতাঞ্জলি' থেকে গৃহীত হয়েছিল। এরপর প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের মাঘ মাসে। এই সংস্করণে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল পূজা, পর্যায়ের নিঃসংশয় উপবিভাগের নবম গান হিসেবে। ১৩৭১ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত অখণ্ড গীতবিতানের পূজা পর্যায়ের ২৯৮ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। গানটি একইভাবে অখণ্ড গীতাবিতানের তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে।
     
  • গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
    • স্বরলিপিকার: শৈলজারঞ্জন মজুমদার।
    • সুর ও তাল:
      • স্বরবিতান-৬০-এ গানটির স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই । উক্ত স্বরলিপিতে ছন্দোবিভাজন দেখানো হয়েছে , ৪। ৪।৪।৪ ছন্দ। অর্থাৎ 'ত্রিতাল বা 'কাওয়ালি' হিসাবে গণ্য করা যেতে পারে। তবে বর্তমানে গানটি ত্রিতালেই গাওয়া হয়ে থাকে। আর গানটির রাগ হলো মিশ্র ভূপালি।
      • ইমন-পূরবী। তাল: ত্রিতাল। [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬।। পৃষ্ঠা: ৫৫]।
      • ইমন-পূরবী। তাল: ত্রিতাল। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, জুলাই ২০০১, পৃষ্ঠা: ৯৭।]
    • বিষয়াঙ্গ: ব্রহ্মসঙ্গীত
    • স্বকীয় বৈশিষ্ট্যের গান
    • গ্রহস্বর: সা ।
    • লয়: মধ্য।