বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত
শিরোনাম: দাঁড়াও
আমার আঁখির আগে।
পাঠ ও পাঠভেদ:
- গীতবিতান (বিশ্বভারতী,
কার্তিক ১৪১২)-এর পাঠ:
পূজা:
১০১
দাঁড়াও
আমার আঁখির আগে।
তোমার দৃষ্টি হৃদয়ে লাগে॥
সমুখ-আকাশে চরাচরলোকে
এই
অপরূপ আকুল আলোকে দাঁড়াও হে,
আমার পরান পলকে পলকে চোখে চোখে তব
দরশ মাগে॥
এই-যে ধরণী চেয়ে ব'সে আছে
ইহার মাধুরী বাড়াও হে।
ধুলায় বিছানো শ্যাম অঞ্চলে দাঁড়াও হে নাথ, দাঁড়াও হে।
যাহা-কিছু আছে সকলই ঝাঁপিয়া,
ভুবন ছাপিয়া, জীবন ব্যাপিয়া দাঁড়াও হে।
দাঁড়াও যেখানে বিরহী এ হিয়া
তোমারি লাগিয়া একেলা জাগে॥
[RBVBMS
426 (ii)]
[নমুনা]
তথ্যানুসন্ধান
-
ক. রচনাকাল ও স্থান:
RBVBMS 426 (ii) পাণ্ডুলিপিতে লিখিত গানটির নিচে
রচনার স্থান ও তারিখ উল্লেখ আছে-'শান্তিনিকেতন/২২শে
জ্যৈষ্ঠ/১৩১১। এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৪৩ বৎসর ১ মাস।
[৪৩ বৎসর
অতিক্রান্ত বয়সে রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
উল্লেখ্য, গ্রীষ্মের ছুটির পর ১৫ জ্যৈষ্ঠ (শনিবার ২৮ মে) তারিখে পুনরায়
বিদ্যালয় খুলবে। এই উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনে আসেন। ২০ জ্যৈষ্ঠ থকে ২৬
জ্যৈষ্ঠ পর্যন্ত রবীন্দ্রনাথ মোট ছয়টি গান রচনা করেন।
খ.
প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
-
গ্রন্থ:
-
কাব্যগ্রন্থ
- গান
-
গীতবিতান
-
প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণ
[বিশ্বভারতী, আশ্বিন ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ।
১৩১০ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত 'মোহিত
সেন সম্পাদিত কাব্যগ্রন্থের ৮ম ভাগের 'গান' অংশ থেকে গৃহীত হয়েছিল। পৃষ্ঠা:
২২৭-২২৮ [নমুনা:
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
-
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ
(বিশ্বভারতী,
মাঘ ১৩৪৮),
পর্যায়:
পূজা,
উপবিভাগ:
প্রার্থনা ১০,
পৃষ্ঠা:
৪৩।
[নমুনা]
-
অখণ্ড, তৃতীয় সংস্করণ
(বিশ্বভারতী, পৌষ ১৩৮০),
পূজা ১০১, উপ-বিভাগ :
প্রার্থনা
-১০,
পৃষ্ঠা:
৪৭।
-
গীতিচর্চ্চা(বিশ্বভারতী, পৌষ ১৩৩২), গান সংখ্যা ৮৬,
পৃষ্ঠা:
৬৫-৬৬।
[নমুনা:
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
-
ধর্ম্মসঙ্গীত
(ইন্ডিয়ান প্রেস্ লিমিটেড, ১৩২১ বঙ্গাব্দ)। গান।
পৃষ্ঠা: ৮৬-৮৭।
[নমুনা:
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]-
ব্রহ্মসঙ্গীত
স্বরলিপি দ্বিতীয় ভাগ (১১ মাঘ ১৩১২)। বেহাগ-তেওড়া।
কাঙ্গালীচরণ
সেন-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
-
স্বরবিতান দ্বাবিংশ (২২) খণ্ডের (বিশ্বভারতী,
চৈত্র ১৪১৩) ১৬ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ৪৫-৪৭।
[নমুনা]
-
পত্রিকা:
-
তত্ত্ববোধিনী (ফাল্গুন ১৩১১ বঙ্গাব্দ)। বেহাগ-তেওরা। পৃষ্ঠা
১৮২-১৮৩। [নমুনা]
-
রেকর্ডসূত্র:
১৯০৮-১৯১২ খ্রিষ্টাব্দের ভিতরে প্যাথে এইচ. বোসেজ রেকর্ড কোম্পানি এই
গানটির প্রথম রেকর্ড প্রকাশ করেছিল। সুরেন্দ্রনাথ মৈত্রের কণ্ঠে এই রেকর্ডে
ছিল দুটি গান। অপর গানটি ছিল-
বহে নিরন্তর অনন্ত আনন্দধারা [পূজা-৩২৪] [তথ্য]।
রেকর্ড নম্বর ছিল- ৩৩০৪৪/৩৩০৪৫।
১৯১৬-১৯২৫ খ্রিষ্টাব্দের ভিতরে এই গানটির দ্বিতীয় রেকর্ড প্রকাশিত হয়েছিল
'গ্রামোফোন রেকর্ড কোম্পানি' থেকে। এই রেকর্ডে মিসেস এন. মুখার্জীর কণ্ঠে
এই গানটি-সহ মোট দুটি গান প্রকাশিত হয়েছিল। অপর গানটি ছিল-
সংশয়তিমিরমাঝে না হেরি গতি হে [পূজা-৪২০] [তথ্য]।
রেকর্ড নম্বর ছিল-
P 3762।
-
প্রকাশের
কালানুক্রম:
গানটি
প্রথম
কাব্যগ্রন্থ অষ্টম খণ্ড-এ অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল। এই
গ্রন্থের আখ্যানপত্রে প্রকাশের তারিখ রয়েছে
১৩১০ বঙ্গাব্দে। কিন্তু গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়েছিল ১৩১১ বঙ্গাব্দের ১১
আশ্বিন। এরপর
১৩১১ বঙ্গাব্দের ১১ মাঘ [মঙ্গলবার,২৪
জানুয়ারি ১৯০৫ খ্রিষ্টাব্দ],
পঞ্চসপ্ততিতম (৭৫) সাংবৎসরিক মাঘোৎসব
অনুষ্ঠিত হয়। এই উৎসবে এই গানটিসহ রবীন্দ্রনাথের রচিত ৮টি গান পরিবেশিত
হয়েছিল। এই অনুষ্ঠানের বিষয়সহ গানটি প্রকাশিত হয়ে ছিল
তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার 'ফাল্গুন ১৩১১ বঙ্গাব্দ'
সংখ্যায়।
এরপর ১৩১২ বঙ্গাব্দে
ব্রহ্মসঙ্গীত
স্বরলিপি দ্বিতীয় ভাগ,
১৩১৫ বঙ্গাব্দে
গান < (প্রথম সংস্করণ),
১৩১৬ বঙ্গাব্দে
গান
(দ্বিতীয়
সংস্করণ), ১৩২১
বঙ্গাব্দে
ধর্ম্মসঙ্গীত,
১৩২৩ বঙ্গাব্দে
কাব্যগ্রন্থ
দশম খণ,
১৩৩২ বঙ্গাব্দে
গীতিচর্চ্চা
গ্রন্থসমূহে অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল।
১৩৩৮ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত
গীতবিতান-এর
প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণে-
গানটি প্রথম অন্তর্ভুক্ত
হয়েছিল। এর
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ
প্রকাশিত হয়েছিল ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের
মাঘ মাসে। এই সংস্করণে গানটি
অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল
পূজা,
পর্যায়ের উপবিভাগ:
প্রার্থনা হিসেবে।
১৩৭১ বঙ্গাব্দের
আশ্বিন মাসে প্রকাশিত অখণ্ড গীতবিতানের ১০১ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত
হয়েছিল। অখণ্ড গীতাবিতানের তৃতীয় সংস্করণ
প্রকাশিত হয়েছিল পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে।
গ.
সঙ্গীতবিষয়ক তথ্যাবলি:
বিষয়াঙ্গ:
ব্রহ্মসঙ্গীত।
সুরাঙ্গ:
ধ্রুপদাঙ্গ।
গ্রহস্বর: না।
লয়:
মধ্য।