বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
আর রেখো না আঁধারে,
আমায়
দেখতে
দাও
পাঠ ও পাঠভেদ:
আর রেখো না আঁধারে, আমায় দেখতে দাও।
তোমার মাঝে আমার আপনারে দেখতে দাও ॥
কাঁদাও যদি কাঁদাও এবার, সুখের গ্লানি সয় না যে আর, হায় রে,
নয়ন আমার যাক-না ধুয়ে অশ্রুধারে-
আমায় দেখতে দাও ॥
জানি না তো কোন্ কালো এই ছায়া,
আপন ব'লে ভুলায় যখন ঘনায় বিষম মায়া।
স্বপ্নভারে জমল বোঝা, চিরজীবন শূন্য খোঁজা- হায় রে,
যে মোর আলো লুকিয়ে আছে রাতের পারে
আমায় দেখতে দাও ॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ:
RBVBMS 288 [নমুনা প্রথমাংশ,
পাঠভেদ:
পাঠভেদ আছে।
তোমার
মাঝে আমার আপনারে
দেখতে
দাও।.....
নয়ন আমার যাক না ধুয়ে
: স্বরবিতান ৫ (জ্যৈষ্ঠ ১৩৪৯)
তোমার মাঝে আমার আপনারে
আমায়
দেখতে
দাও।.....
যাক না ধুয়ে নয়ন আমার
: গীতবিতান ৩ (শ্রাবণ ১৩৩৯)
ভাবসন্ধান: যুক্ত হবে।
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান:
গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায় না। গানটি
নটীরপূজা নাটকের অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল মাসিক
বসুমতী
পত্রিকায় বৈশাখ ১৩৩৩ সংখ্যায়। এই বিচারে অনুমান করা যায় যে,
রবীন্দ্রনাথ গানটি ১৩৩২ বঙ্গাব্দের শেষের দিকে রচনা করেছিলেন। এই সময়
রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৬৪ বৎসর।
[রবীন্দ্রনাথের
৬৪ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সে রচিত গানের তালিকা]
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ
তৃতীয় খণ্ড, প্রথম সংস্করণ [বিশ্বভারতী, শ্রাবণ ১৩৩৯ পৃষ্ঠা: ৭৩০]। [নমুনা]
অখণ্ড সংস্করণ,তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী ১৩৮০)। পূজা ১৯২, উপ-বিভাগ: দুঃখ-১।
নটীর পূজা
প্রথম সংস্করণ [বিশ্বভারতী (১৩৩৩ বঙ্গাব্দ) দ্বিতীয় অঙ্ক, শ্রীমতির গান। পৃষ্ঠা: ৪৯।] [নমুনা]
নটীর পূজা [মাসিক বসুমতী , বৈশাখ ১৩৩৩ বঙ্গাব্দ। দ্বিতীয় অঙ্ক, শ্রীমতির গান। পৃষ্ঠা: ৩১ [নমুনা]
রবীন্দ্ররচনাবলী অষ্টাদশ খণ্ড (বিশ্বভারতী)। পৃষ্ঠা ১৭৩-৭৪।
স্বরবিতান পঞ্চম (৫) খণ্ডের (ভাদ্র ১৪১৪ বঙ্গাব্দ) তৃতীয় গান। পৃষ্ঠা ১২-১৬।
পত্রিকা:
মাসিক বসুমতী , বৈশাখ ১৩৩৩ বঙ্গাব্দ। নটীর পূজা। দ্বিতীয় অঙ্ক, শ্রীমতির গান। পৃষ্ঠা: ৩১ [নমুনা]
সঙ্গীতবিজ্ঞান (মাঘ ১৩৩৪ বঙ্গাব্দ)। রমা মজুমদার-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল। [সূত্র: স্বরবিতান পঞ্চম (৫) খণ্ডের (ভাদ্র ১৪১৪ বঙ্গাব্দ)]
রেকর্ডসূত্র: রেকর্ডসূত্র পাওয়া যায় নি।
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
স্বরলিপিকার:
স্বরবিতান-৫-এর প্রথম সংস্করণ (জ্যৈষ্ঠ ১৩৮৯ বঙ্গাব্দ)-এ
রমা মজুমদার-কৃত
স্বরলিপিটি মুদ্রিত হয়েছিল। বর্তমানে উক্ত স্বরলিপিটি সুরভেদ হিসাবে
স্বরবিতান-৫’এর
সুরভেদ/পাঠভেদ’ পত্রে স্থান
পেয়েছে। আবার স্বরবিতান-৫-এর ১৩৩ পৃষ্ঠায় উক্ত গানের স্বরলিপিটি রমা মজুমদার-কর্তৃক
লিখিত বলে দাবী করা হয়েছে। স্বরবিতান-৫-এ গৃহীত মূল
স্বরলিপিটি কার তা জানা যায় না।
[রমা মজুমদারকৃত স্বরলিপির তালিকা]
সুর ও তাল:
স্বরবিতান পঞ্চম (৫) খণ্ডে (ভাদ্র ১৪১৪ বঙ্গাব্দ) গৃহীত স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত গানটির স্বরলিপিটি ৩।৩ মাত্রা ছন্দে 'দাদরা’ তালে নিবদ্ধ।
রাগ: দেশ। তাল: দাদরা। [রবীন্দ্রসংগীত : রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬)। পৃষ্ঠা: ৩৪।]
রাগ: দেশ। তাল: দাদরা [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমী, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ৬৩।]
গ্রহস্বর: সা।
লয়: মধ্য।