বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত
গান সংখ্যা :
শিরোনাম:
প্রচণ্ড গর্জনে
আসিল একি দুর্দিন
পাঠ ও পাঠভেদ:
প্রচণ্ড গর্জনে আসিল একি দুর্দিন—
দারুণ ঘনঘটা, অবিরল অশনিতর্জন ॥
ঘন ঘন দামিনী-ভুজঙ্গ-ক্ষত যামিনী,
অম্বর করিছে অন্ধনয়নে অশ্রু-বরিষন ॥
ছাড়ো রে শঙ্কা, জাগো ভীরু অলস,
আনন্দে জাগাও অন্তরে শকতি।
অকুণ্ঠ আঁখি মেলি হেরো প্রশান্ত বিরাজিত
মহাভয়-মহাসনে অপরূপ মৃত্যুঞ্জয়রূপে ভয়হরণ ॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: পাণ্ডুলিপি পাওয়া যায় নি।
পাঠভেদ:
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান:
রচনাকাল সম্পর্কে
যথার্থ তথ্য পাওয়া যায় না।
প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় তাঁর 'গীতবিতান কালানুক্রমিক সূচী' গ্রন্থে এই গানটির
রচনাকাল সম্পর্কে লিখেছেন- 'কনিষ্ঠ পুত্র শমীন্দ্রের মৃত্যু হয় ১৩১৪ অগ্রহায়ণ মাসে।
সম্ভবত তার পরেই গানটি রচিত। এই বিচারে- গানটি রবীন্দ্রনাথের ৪৬ বৎসর ৭ মাস বয়সের
রচনা হিসাবে গণ্য করা যেতে পারে। স্থান-কলকাতা।
প্রশান্তকুমার পাল- তাঁর রবিজীবনী পঞ্চম খণ্ডে প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়-এর এই
অনুমান নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে লিখেছেন- 'শমীন্দ্রনাথের মৃত্যর পরে দিন-দশেক
কলকাতা-বাসের সময়ে এরূপ গান ভাঙার সুযোগ ছিল বলে মনে হয় না।' প্রশান্তকুমার পাল এই
গানটির রচনাকাল অনুমান করেছেন
১৩১৪ বঙ্গাব্দের মাঘোৎসবের প্রস্তুতিকালে অর্থাৎ
আশ্বিন-কার্তিক মাসের দিকে।
[৪৬
বৎসর অতিক্রান্ত বয়সে রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
প্রথম সংস্করণ [সিটি বুক সোসাইটি, ১৩১৫ বঙ্গাব্দ। ব্রহ্মসঙ্গীত] নমুনা পাওয়া যায় নি।
দ্বিতীয় সংস্করণ [ইন্ডিয়ান প্রেস (১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দ, ১৩১৬ বঙ্গাব্দ)। ব্রহ্মসঙ্গীত। রাগিণী ভূপালী-তাল সুরফাঁক্তা। পৃষ্ঠা: ৩৫৭] [নমুনা ]
অখণ্ড সংস্করণ,তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী ১৩৮০)। পূজা ২২৬, উপ-বিভাগ: দুঃখ-৩৫।
ব্রহ্মসঙ্গীত স্বরলিপি পঞ্চম ভাগ (৯ বৈশাখ ১৩১৬ বঙ্গাব্দ)। ভূপালী-সুরফাঁক্তা। কাঙ্গালীচরণ সেন-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
স্বরবিতান পঞ্চবিংশ (২৫) খণ্ডের ১৭ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা: ৪০-৪২। [নমুনা]
পত্রিকা:
তত্ত্ববোধিনী (ফাল্গুন ১৮২৩ শকাব্দ, ১৩১৪ বঙ্গাব্দ)। ভূপালী- সুরফাঁক্তাল। পৃষ্ঠা: ১৮৩। [নমুনা]
প্রবাসী [ভাদ্র ১৩৩৬। বর্ষামঙ্গল। গান সংখ্যা ১০। পৃষ্ঠা: ৭৬৭] [নমুনা]
সঙ্গীত
প্রকাশিকা (পৌষ ১৩১৪
বঙ্গাব্দ)।
ভূপালী-সুরফাঁকতাল। পৃষ্ঠা ৭৭-৭৮। জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে গানটি প্রকাশিত
হয়েছিল।
উল্লেখ্য, সঙ্গীত-প্রকাশিকা (পৌষ
১৩১৪ বঙ্গাব্দ)
সংখ্যায় গানটির রচয়িতা হিসাবে- জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম উল্লেখ ছিল। পরে
এই ত্রুটি সংশোধন করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর করা হয়েছিল। গানটি স্বরলিপি-সহ প্রকাশিত
হলেও স্বরলিপিকারের নাম ছিল না।
রেকর্ডসূত্র: রেকর্ড সূত্র পাওয়া যায় নি।
প্রকাশের কালানুক্রম: গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল 'সঙ্গীত প্রকাশিকা' পত্রিকার 'পৌষ ১৩১৪ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায়। এরপর গানটি ১১ মাঘ ১৩১৪ বঙ্গাব্দ [শনিবার, ২৫ জানুয়ারি ১৯০৮ খ্রিষ্টাব্দ]-এ অনুষ্ঠিত অষ্টসপ্ততিতম (৭৮) সাংবৎসরিক মাঘোৎসব-এ গীত হয়েছিল। এই উৎসবের বিবরণ-সহ গানটি প্রকাশিত হয়েছিল তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার 'ফাল্গুন ১৩১৪ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায়। এরপর গানটি অন্যান্য আর যে সকল গ্রন্থাদিতে প্রকাশিত হয়েছিল সেগুলো হলো- গান (প্রথম সংস্করণ, ১৩১৫ বঙ্গাব্দ)ও দ্বিতীয় সংস্করণ ১৩১৬ বঙ্গাব্দ), ব্রহ্মসঙ্গীত স্বরলিপি পঞ্চম ভাগ (১৩১৬ বঙ্গাব্দ), ধর্ম্মসঙ্গীত (১৩২১ বঙ্গাব্দ), কাব্যগ্রন্থ দশম খণ্ড (১৩২৩ বঙ্গাব্দ), প্রবাসী (ভাদ্র ১৩৩৬ বঙ্গাব্দ),
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
ভাঙাগান: এটি একটি ভাঙা গান। মূল গান-
ভূপালী । সুরফাঁকতাল (মধ্যগতি)।
প্রচণ্ড গর্জন সজল বরখা ঋতু
কাম আগম অত বিরহিনী জিয়ন তর্জন
ঝট অস দামিনী মতঙ্গ সম যামিনী,
অরূ দ্রুম চাপ কর্কশ বূঁদ বারি বরখন॥
চাতক চকোর পিউ পিউ করত সোর,
মৌর বিকট বোরী চতুর দিশন।
কদম্ব তরু কুসুমিত সুবাসী বৃন্দাবন
তিয়া ইয়া ইয়া ইয়া ইয়া ইয়া
গাবত ব্রজবাসী হরখ মন॥
[সঙ্গীত-মঞ্জরী'
ও রবীন্দ্রসঙ্গীত
প্রসঙ্গ
১ম খণ্ড,
জানকী দাস]
[রবীন্দ্রসঙ্গীত গবেষণা গ্রন্থমালা (তৃতীয় খণ্ড)। পৃষ্ঠা : ৩১]
স্বরলিপিকার: কাঙ্গালীচরণ সেন। [ব্রহ্মসঙ্গীত স্বরলিপি-৫]
সুর ও তাল:
রাগ-ভূপালী। তাল-সুরফাঁকতাল। [স্বরবিতান-২৫]
রাগ: ভূপালী। তাল: সুরফাঁকতাল। [রবীন্দ্রসংগীত : রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। (প্যাপিরাস, ডিসেম্বর, ২০০৬)। পৃষ্ঠা: ৬৫]
রাগ: ভূপালী। তাল: সুরফাঁকতাল। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত। প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমী, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ১১৩ ]
বিষয়াঙ্গ: ব্রহ্মসঙ্গীত।
সুরাঙ্গ: ধ্রুপদাঙ্গ
গ্রহস্বর: গা।
লয়: ঈষৎ দ্রুত।