বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
শিরোনাম: আঁধার রজনী পোহালো
পাঠ ও পাঠভেদ:
- গীতবিতান (বিশ্বভারতী, কার্তিক
১৪১২)-এর পাঠ:
পূজা:
৩৩০
আঁধার রজনী পোহালো,
জগত পূরিল পুলকে।
বিমল প্রভাতকিরণে মিলিল দ্যুলোকে ভূলোকে
॥
জগত নয়ন তুলিয়া হৃদয়দুয়ার খুলিয়া
হেরিছে হৃদয়নাথেরে আপন হৃদয়-আলোকে
॥
প্রেমমুখহাসি তাঁহারি পড়িছে ধরার আননে-
কুসুম বিকশি উঠিছে,
সমীর বহিছে কাননে।
সুধীরে আঁধার টুটিছে,
দশ দিক ফুটে উঠিছে-
জননীর কোলে যেন রে জাগিছে বালিকা বালকে
॥
জগত যে দিকে চাহিছে সে দিকে দেখিনু চাহিয়া,
হেরি সে অসীম মাধুরী হৃদয় উঠিছে গাহিয়া।
নবীন আলোকে ভাতিছে,
নবীন আশায় মাতিছে,
নবীন জীবন লভিয়া জয়-জয় উঠে ত্রিলোকে
॥
RBVBMS_003]
[নমুনা
]
তথ্যানুসন্ধান
- ক. রচনাকাল ও স্থান:
১২৯১ বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ মাসে তত্ত্ববোধনী পত্রিকায় এই গানটি-সহ মোট ১০টি গান প্রকাশিত হয়েছিল। এই
গানগুলোর রচনাকাল সম্পর্কে কিছু জানা যায় না।
ধারণা করা হয়, এই গানটি পত্রিকা প্রকাশের কিছু আগে অর্থাৎ কার্তিক মাসে
রচিত হয়েছিল। এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ২৩ বৎসর।
ঘ.
সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
-
স্বরলিপিকার:
ইন্দিরাদেবী।
- রাগ ও তাল:
- রাগ-খট্। তাল-একতাল।
[স্বরবিতান-৮, তত্ত্ববোধিনী, রবিচ্ছায়া]
-
রাগ:
খট। তাল: একতাল [রবীন্দ্রসংগীত : রাগ-সুর নির্দেশিকা । সুধীর চন্দ। (প্যাপিরাস,
ডিসেম্বর ২০০৬)। পৃষ্ঠা: ২৭]।
-
রাগ: খট।
তাল: একতাল
[রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার
চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমী, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ৫২]
- বিষয়াঙ্গ:
ব্রহ্মসঙ্গীত।
- সুরাঙ্গ:
খেয়ালাঙ্গ।
- গ্রহস্বর: সা।
- লয়: মধ্য।