বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত শিরোনাম:
শান্তিসমুদ্র তুমি গভীর পাঠ ও পাঠভেদ:
শান্তিসমুদ্র তুমি গভীর,
অতি অগাধ আনন্দরাশি।
তোমাতে সব দুঃখ জ্বালা
করি নির্বাণ ভুলিব সংসার,
অসীম সুখসাগরে ডুবে যাব ॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: পাণ্ডুলিপি পাওয়া যায় নি।
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান: গানটির
রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না।
১২৯২ বঙ্গাব্দের ১১ মাঘ
ষড়্পঞ্চাশ সাংবৎসরিক মাঘোৎসবের
উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এই
অনুষ্ঠানে গীত ২৭টি গানের মধ্যে রবীন্দ্রনাথের রচিত গানের সংখ্যা ছিল ২২টি।
এর মধ্যে রবীন্দ্রনাথের গানের সংখ্যা ছিল ১৩টি। ধারণা করা হয়, রবীন্দ্রনাথ এই উৎসব উপলক্ষে এই গানটি রচনা করেছিলেন।
এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ২৪ বৎসর ৯ মাস।
[রবীন্দ্রনাথের
২৪ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সে রচিত গানের তালিকা]
প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণ
[বিশ্বভারতী,
১৩৩৮ বঙ্গাব্দ। ১৩০৩ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত 'কাব্যগ্রন্থাবলী'
-
ব্রহ্মসঙ্গীত অংশ থেকে গৃহীত হয়েছিল। পৃষ্ঠা: ১৬৩]
[নমুনা]
প্রকাশের কালানুক্রম:
১২৯২ বঙ্গাব্দের
১১ই মাঘে অনুষ্ঠিত [শনিবার ২৩ জানুয়ারি ১৮৮৬ খ্রিষ্টাব্দ]
ষড়্পঞ্চাশ সাংবৎসরিক মাঘোৎসব উপলক্ষে প্রাতঃকালীন উপাসনায় গানটি
প্রথম গীত হয়েছিল। এই সূত্রে গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল তত্ত্ববোধিনী
পত্রিকার 'ফাল্গুন ১২৯২ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায়। এরপর যে সকল গ্রন্থাদিতে
গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল, সেগুলো হলো-
গানের বহি ও বাল্মীকি প্রতিভা
(১৩০০ বঙ্গাব্দ),
কাব্যগ্রন্থঅষ্টম খণ্ড
(১৩১০ বঙ্গাব্দ)
ও
গান
দ্বিতীয় সংস্করণ
(১৩১৬ বঙ্গাব্দ)।
এরপর
গানটি ১৩৩৮ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত
গীতবিতানের
দ্বিতীয় খণ্ড প্রথম সংস্করণে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। এরপর ১৩৪৮ বঙ্গাব্দে
প্রকাশিত
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণেপূজা
পর্যায়ের
বিশ্ব উপবিভাগের ৩৮
সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। এরপর ১৩৭১ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে
প্রকাশিত অখণ্ড গীতবিতানের
পূজা
পর্যায়ের ৩৭১
সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
গ.সঙ্গীতবিষয়ক তথ্যাবলি:
ভাঙা গান:
এটি একটি ভাঙা
গান। মূল: গান-হো নর হর। টোড়ি-ঢিমা তেতালা। [সূত্র: রবীন্দ্রসংগীতের
ত্রিবেণীসংগম/ইন্দিরাদেবী চৌধুরানী। গান সংখ্যা-১৭৬।
স্বরলিপি: স্বরলিপি নাই।
রাগ : টোড়ি (স্বরলিপি নেই)।
[রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা, সুধীর চন্দ, প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬], পৃষ্ঠা: ৭৮।
রাগ: তোড়ি। তাল: ঢিমে তেতালা। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১], পৃষ্ঠা: ১৩৫।