২৪ বৎসর অতিক্রান্ত বয়স
২৫ বৈশাখ ১২৯২ বঙ্গাব্দ থেকে ২৪ বৈশাখ ১২৯৩ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত (৭ মে ১৮৮৪- ৬ মে ১৮৮৫ খ্রিষ্টাব্দ)

বালক পত্রিকার 'ভাদ্র ১২৯২' সংখ্যায় রাজর্ষি  উপন্যাসের সপ্তম-নবম পরিচ্ছেদ মুদ্রিত হয়। এই পরিচ্ছেদে ধ্রুব নামক চরিত্রের মুখে একটি গান পাওয়া যায়। গানটি হলো
         
হরি, তোমায় ডাকি [পূজা ও প্রার্থনা-৩৭] [তথ্য]
গানটির সুনির্দিষ্ট রচনাকাল পাওয়া যায় না।
প্রকাশের সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল-   ২৪ বৎসর  ৪ মাস।

শনিবার, ১১ মাঘ ১২৯২ বঙ্গাব্দ [২৩ জানুয়ারি ১৮৮৬ খ্রিষ্টাব্দ]। এই দিনে আদি ব্রাহ্মসমাজের ষড়্‌পঞ্চাশ সাংবৎসরিক উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে গীত ২৭টি গানের মধ্যে রবীন্দ্রনাথের রচিত গানের সংখ্যা ছিল ২২টি। প্রভাতের অনুষ্ঠানে পরিবেশিত হয়েছিল ১১টি গান। এর মধ্যে রবীন্দ্রনাথের গানের সংখ্যা ছিল ৯টি। সন্ধ্যাকালীন অনুষ্ঠানে পরিবেশিত হয়েছিল ১৬টি। এর মধ্যে রবীন্দ্রনাথের গানের সংখ্যা ছিল ১৩টি। নিচে রবীন্দ্রনাথের রচিত গানগুলির তালিকা দেওয়া হলো।  পরিবেশনকালের বিচারে রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল-  ২৪ বৎসর  ৯ মাস।

প্রাতঃকালীন অধিবেশনে গীত রবীন্দ্রনাথের ৯টি গান

১. শান্তিসমুদ্র তুমি গভীর [পূজা-৩৭১] [তথ্য]
২. নিশিদিন চাহো রে তাঁর পানে [পূজা-২৮৮] [তথ্য]
৩. ডাকিছ শুনি জাগিনু প্রভু [পূজা-১৭০] [তথ্য]
৪. অন্ধজনে দেহো আলো , মৃতজনে দেহো প্রাণ [পূজা-১১৪] [তথ্য]
৫. হেরি তব বিমলমুখভাতি দূর হল গহন দুখরাতি [পূজা-৩২৮] [তথ্য]
৬. আমি দীন অতি দীন পূজা-৪৮৩] [তথ্য]
৭. শুনেছে তোমার নাম অনাথ আতুর জন [পূজা-৪৫১] [তথ্য]
৮. পেয়েছি অভয়পদ, আর ভয় কারে [পূজা-৪৫০] [তথ্য]
৯. মিটিল সব ক্ষুধা [পূজা ও প্রার্থনা-৪১] [তথ্য]
সায়ংকালীন অধিবেশনে গীত রবীন্দ্রনাথ রচিত ১৩টি গান
১. শোনো তাঁর সুধাবাণী শুভমুহূর্তে শান্তপ্রাণে [পূজা-২৮৭] [তথ্য]
২. ডাকিছ কে তুমি তাপিত জনে তাপহরণ স্নেহকোলে [পূজা-৪২৪] [তথ্য]
৩. এত আনন্দধ্বনি উঠিল কোথায় [পূজা-৩২৯] [তথ্য]
৪. কী গাব আমি, কী শুনাব, আজি আনন্দধামে [পূজা-৩০৪] [তথ্য]
৫. আজি বহিছে বসন্তপবন সুমন্দ [পূজা-৩০৮] [তথ্য]
৬. কেন জাগে না, জাগে না অবশ পরান [পূজা-৪০২] [তথ্য]
৭. যাদের চাহিয়া তোমারে ভুলেছি [পূজা-৪০৩] [তথ্য]
৮. তারো তারো, হরি, দীনজনে [পূজা ও প্রার্থনা-৪২] [তথ্য]
৯. তোমার কথা হেথা কেহ তো বলে না [পূজা-৩৯৫] [তথ্য]
১০. তোমার দেখা পাব ব'লে এসেছি-যে সখা [পূজা-৪৩৩] [তথ্য]
১১. হায় কে দিবে আর সান্ত্বনা [পূজা-৪১৫] [তথ্য]
১২. তোমারি মধুর রূপে ভরেছ ভুবন [পূজা-৫২৭] [তথ্য]
১৩. তব প্রেম সুধারসে মেতেছি [পূজা-৪০৮] [তথ্য]

১২৮৭ বঙ্গাব্দে রবীন্দ্রনাথ বাল্মীকি প্রতিভা রচনা করেছিলেন। ১২৯২ বঙ্গাব্দের ফাল্গুন মাসে এই গীতিনাট্যকে তিনি সম্পূর্ণ ঢেলে সাজালেন। এই সময় তিনি এই নাটকের জন্য ১৮টি গান নতুন রচনা করেন। উল্লেখ্য এই গীতিনাট্যে অক্ষয় চৌধুরীর রচিত দুটি গান গৃহীত হয়েছিল। গান দুটি হলো- 'রাঙা-পদ-পদ্মযুগে প্রণমি গো ভবতারা' এবং 'এত রঙ্গ শিখেছ কোথা মুণ্ডমালিনী'। সংগত কারণেই এই দুটি গান এই তালিকায় আনা হলো না। রবীন্দ্রনাথের রচিত নতুন ১৮টি গানের তালিকা নিচে দেওয়া হলো। প্রকাশকালের সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল- ২৪ বৎসর ১০ মাস।

১.
সহে না সহে না কাঁদে পরাণ [তথ্য]
২.
ওই মেঘ করে গগনে
৩.
মরি ও কাহার বাছ
৪. কি দোষে বাঁধিলে আমায়
৫. ছাড়ব না ভাই ছাড়ব না ভাই
৬. রাজা মহারাজা কে জানে
৭.
আছে তোমার বিদ্যে-সাধ্যি জানা
৮.
  কাজ কী গোলমালে।
৯.
অহো! আস্পর্ধা এ কী তোদের
১০.
আয় মা আমার সাথে
১১.
কোথায় জুড়াতে আছে
১২. কেন রাজা ডাকিস কেন
১৩.
বলব কী আর বলব খুড়ো
১৪. রাখ্ রাখ্ ফেল ধনু
১৫. দেখ্ দেখ্ দুটি পাখি বসেছে গাছে
১৬. নমি নমি, ভারতী, তব কমলচরণে
১৭. শ্যামা, এবার ছেড়ে চলেছি মা
১৮. বাণী, বীণাপাণি  করুণাময়ী

১২৯৩ বঙ্গাব্দের ১লা বৈশাখের সকালে মহর্ষিভবনে নবর্ষের উপাসনা উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথ ৩টি গান রচনা করেন। এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল- ২৪ বৎসর ১২ মাস। এই ৩টি গান হলো-

১.
আমারেও করো মার্জনা [পূজা ও প্রার্থনা-৪৪] [তথ্য]
২.
বর্ষ গেল, বৃথা গেল [পূজা-৪৪৪] [তথ্য]
৩.
ফিরো না ফিরো না আজি  [পূজা ও প্রার্থনা-৪৫] [তথ্য]

ভারতী ও বালক  পত্রিকার ১২৯৩ বৈশাখ সংখ্যায় একটি কবিতা প্রকাশিত হয়েছিল। পরে এই কবিতাটিকে রবীন্দ্রনাথ প্রথম ও শেষ স্তবক নিয়ে একটি গান তৈরি করেন। এই কবিতাটি কখন তিনি গানে রূপান্তর করেন, তা জানা যায় না। কবিতাকারে প্রকাশকালের সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল- ২৪ বৎসর ১২ মাস। গানটি হলো

    ইহাদের করো আশীর্বাদ [আনুষ্ঠানিক সংগীত-১২] [তথ্য]

প্রচার পত্রিকার ১২৯৩ ফাল্গুন-চৈত্র সংখ্যায় ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী-র একটি গান প্রকাশিত হয়। এই গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায় না। প্রকাশকালের সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল- ২৪ বৎসর ১২ মাস। গানটি হলো
   
কো তুঁহু বোলবি মোয়!  [ভানুসিংহঠাকুরের পদাবলী-২০] [তথ্য]