বিষয়:রবীন্দ্রসঙ্গীত
শিরোনাম: তোমার কথা হেথা কেহ তো বলে না, করে শুধু মিছে কোলাহল।
পাঠ ও পাঠভেদ:
- গীতবিতান (বিশ্বভারতী, কার্তিক ১৪১২)-এর পাঠ: পূজা: ৩৯৫
তোমার কথা হেথা কেহ তো বলে না, করে শুধু মিছে কোলাহল।
সুধাসাগরের তীরেতে বসিয়া পান করে শুধু হলাহল॥
আপনি কেটেছে আপনার মূল- না জানে সাঁতার, নাহি পায় কূল,
স্রোতে যায় ভেসে, ডোবে বুঝি শেষে, করে দিবানিশি টলোমল॥
আমি কোথা যাব, কাহারে শুধাব, নিয়ে যায় সবে টানিয়া।
একেলা আমারে ফেলে যাবে শেষে অকূল পাথারে আনিয়া।
সুহৃদের তরে চাই চারি ধারে, আঁখি করিতেছে ছলছল,
আপনার ভারে মরি যে আপনি কাঁপিছে হৃদয় হীনবল॥
- পাণ্ডুলিপির পাঠ: রবীন্দ্রনাথের পাণ্ডুলিপিতে গানটি পাওয়া যায় নি।
- পাঠভেদ:
- তথ্যানুসন্ধান:
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির
রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১২৯২ বঙ্গাব্দের ১১ মাঘ
ষড়্পঞ্চাশ সাংবৎসরিক মাঘোৎসবে
এই গানটি পরিবেশিত হয়েছিল ধারণা করা হয়, রবীন্দ্রনাথ এই উৎসব উপলক্ষে এই গানটি রচনা করেছিলেন।
এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ২৪ বৎসর ৯ মাস।
[রবীন্দ্রনাথের
২৪ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সে রচিত গানের তালিকা]
-
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
-
গ্রন্থ:
-
কাব্যগ্রন্থ
-
কাব্যগ্রন্থাবলী[আদি ব্রাহ্মসমাজ প্রেস, ১৩০৩। ব্রহ্মসঙ্গীত। রাগিণী ইমন ভূপালী-তাল একতালা। পৃষ্ঠা: ৪৫৯-৪৬০]
[নমুনা:
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
-
গান
-
প্রথম সংস্করণ
সিটি বুক সোসাইটি, ১৩১৫ বঙ্গাব্দ। রাগিণী ইমন ভূপালী-তাল একতালা। পৃষ্ঠা ২৬৯-২৭০] [নমুনা
প্রথমাংশ
শেষাংশ]
-
দ্বিতীয় সংস্করণ
[ইন্ডিয়ান প্রেস। ১৩১৬ বঙ্গাব্দ, ১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দ।
ব্রহ্মসঙ্গীত। রাগিণী ইমন ভূপালী-তাল একতালা। পৃষ্ঠা: ২৮৭] [নমুনা]
-
গানের বহি ও বাল্মীকি প্রতিভা [আদি-ব্রহ্মসমাজ যন্ত্র, ১৩০০ বঙ্গাব্দ।
রাগিণী ইমন
ভূপালী-তাল একতালা। পৃষ্ঠা: ৩৫৯-৩৬০]
[নমুনা:
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
- গীতবিতান
-
প্রথম খণ্ড,
প্রথম সংস্করণ (বিশ্বভারতী, আশ্বিন ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ)। ১৩০৩
বঙ্গাব্দ প্রকাশিত 'কাব্য-গ্রন্থাবলী'র 'ব্রহ্মসঙ্গীত' অংশ হতে গৃহীত
হয়েছিল। পৃষ্ঠা: ১৫৪]
[নমুনা]
-
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ [বিশ্বভারতী,মাঘ ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ। পূজা,
বিবিধ ২৩ । পৃষ্ঠা ১৬০]
[নমুনা]
- অখণ্ড সংস্করণ, তৃতীয় সংস্করণ
(বিশ্বভারতী ১৩৮০)। পূজা ৩৯৫। উপবিভাগ: বিবিধ-২৩।
-
ধর্ম্মসঙ্গীত [ইন্ডিয়ান প্রেস্ লিমিটেড, ১৩২১ বঙ্গাব্দ।
পৃষ্ঠা ১৪৪-১৪৫]
[নমুনা:
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
-
ব্রহ্মসঙ্গীত স্বরলিপি
প্রথম ভাগ (১ মাঘ ১৩১১ বঙ্গাব্দ)।
ইমন-ভূপালি-একতালা।
কাঙ্গালীচরণ সেন-কৃত
স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
-
রবীন্দ্রগ্রন্থাবলী
(হিতবাদী ১৩১১)। ব্রহ্মসঙ্গীত। গান সংখ্যা: ৩৬২। ইমন-ভূপালি-একতালা। পৃষ্ঠা: ১০৪২ [নমুনা]
-
স্বরবিতান চতুর্থ
(৪) খণ্ডের (মাঘ ১৪১২) ২১ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ৫৬-৫৮।
[নমুনা
[নমুনা
মূল স্বরলিপি]
[সুরান্তর]]
- পত্রিকা:
-
আলোচনা [ফাল্গুন ১২৯২।
পুষ্পস্তবক। ইমন ভূপালি-একতালা] [নমুনা]
-
তত্ত্ববোধিনী[চৈত্র ১৮০৭ শকাব্দ,
১২৯২ বঙ্গাব্দ।
ইমন ভূপালি-একতালা।
পৃষ্ঠা ২৪৭]
[নমুনা]
-
ভারতী (শ্রাবণ ১৩০০ বঙ্গাব্দ)।
শৈলবালা রায়-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত
।
- রেকর্ডসূত্র: নাই
- প্রকাশের কালানুক্রম:১২৯২ বঙ্গাব্দের ১১ মাঘ তারিখে অনুষ্ঠিত
ষড়পঞ্চাশ সাংবৎসরিক মাঘোৎসবের সায়ংকালীন
উপাসনায় গানটি প্রথম পরিবেশিত হয়েছিল। এই সূত্র আলোচনা পত্রিকার ' ফাল্গুন
১২৯২' এবং তত্ত্ববোধিনী
পত্রিকার 'চৈত্র ১২৯২ বঙ্গাব্দ'
সংখ্যায় গানটি প্রকাশিত হয়েছিল। এরপর যে সকল গ্রন্থাদিতে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল, সেগুলো হলো-
ভারতী পত্রিকার 'শ্রাবণ ১৩০০ বঙ্গাব্দ'
সংখ্যা,
গানের বহি ও বাল্মীকি প্রতিভা (১৩০০ বঙ্গাব্দ),
কাব্যগ্রন্থাবলী (১৩০৩ বঙ্গাব্দ),কাব্যগ্রন্থ
অষ্টম খণ্ড
(১৩১০ বঙ্গাব্দ),
ব্রহ্মসঙ্গীত স্বরলিপি
প্রথম ভাগ (মাঘ ১৩১১ বঙ্গাব্দ)
গান
প্রথম সংস্করণ
(১৩১৫ বঙ্গাব্দ),
দ্বিতীয় সংস্করণ
(১৩১৬ বঙ্গাব্দ),
ধর্ম্মসঙ্গীত (১৩২১ বঙ্গাব্দ)
ও কাব্যগ্রন্থ
দশম খণ্ড
(১৩২৩ বঙ্গাব্দ)
।
এরপর গানটি গীতবিতানের
প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণ
(১৩৩৮ বঙ্গাব্দ) গানটি প্রথম
অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। ১৩৪৮ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণে
পূজা পর্যায়ের
বিবিধ
উপবিভাগের ২৩ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। এরপর ১৩৭১ বঙ্গাব্দের আশ্বিন
মাসে প্রকাশিত অখণ্ড গীতবিতানের
পূজা পর্যায়ের
৩৯৫ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
-
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
-
স্বরলিপিকার: কালীচরণ
সেন-কৃত স্বরলিপিটি ব্রহ্মসঙ্গীত স্বরলিপি-১ম ভাগ থকে স্বরবিতান-' এর ১২৮ পৃষ্ঠায় সুরভেদ হিসাবে গৃহীত হয়েছে। সুরভেদের এ স্বরলিপিটি ব্রহ্মসঙ্গীত-স্বরলিপি ১ম ভাগ ও স্বরবিতান ৪র্থ খণ্ড (চৈত্র ১৩৪৬ বঙ্গাব্দ)’এ গৃহীত হয়েছিল। স্বরবিতান-৪’এ গৃহীত মূল স্বরলিপিটি কার তা স্পষ্ট নয়।
[কাঙ্গালীচরণ
সেন-কৃত স্বরলিপির তালিকা]
- সুর ও তাল:
-
রাগ-ইমন ভূপালি ।
তাল-একতালা।
[
স্বরবিতান চতুর্থ(৪) খণ্ডের (মাঘ ১৪১২)]
-
রাগ: ইমন-ভূপালী
তাল: একতাল
[ রবীন্দ্রসংগীত:
রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬।
। পৃষ্ঠা: ৫৬]।
- রাগ: ইমন, ভূপালী
তাল: একতাল
[রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী,
জুলাই ২০০১, পৃষ্ঠা:
৯৯।]
-
বিষয়াঙ্গ: ব্রহ্মসঙ্গীত
-
সুরাঙ্গ: খেয়াললাঙ্গ।
-
গ্রহস্বর: গা।
-
লয়: মধ্য।