বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
শিরোনাম:
কে বসিলে আজি
হৃদয়াসনে ভুবনেশ্বর
প্রভু
পাঠ
ও পাঠভেদ:
কে বসিলে আজি
হৃদয়াসনে ভুবনেশ্বর
প্রভু,-
জাগাইলে অনুপম
সুন্দর শোভা হে হৃদয়েশ্বর
॥
সহসা ফুটিল
ফুলমঞ্জরী শুকানো তরুতে,
পাষাণে বহে সুধাধারা
॥
RBVBMS 426 (i)
।[নমুনা]
তথ্যানুসন্ধান
- ক. রচনাকাল ও স্থান:
১৩০৪ বঙ্গাব্দের ১১ মাঘ [রবিবার, ২৩ জানুয়ারি ১৮৯৮ খ্রিষ্টাব্দ] আদি ব্রাহ্মসমাজের
সাংবৎসরিক উৎসব
অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই উৎসব উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথ এই গানটি-সহ ৪টি নতুন গান রচনা করেন। এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৩৬ বৎসর ৯ মাস।
উল্লেখ্য,
রথীন্দ্রনাথ তাঁর পিতৃস্মৃতি
গ্রন্থে- লিখেছেন- তাঁর [অমলা দাস, চিত্তরঞ্জন দাসের ভাগিনী এবং মৃণালিনীর সুহৃদ]
গান গাইবার ক্ষমতার পরিচয় পেয়ে বাবা তাঁকে রাধিকা গোস্বমীর কাছে হিন্দি গান শিখতে
দিলেন। অল্পদিনেই ওস্তাদি গান অনেক শিখে নিলেন। অমলাদিদির গলা যেমন অনায়াসে খাদে
খেলত তেমনি চড়াতে উঠত। তাঁর গলার উপযোগী গান তিনি রচনা করতে লাগলেন। অমলাদিদি
গাইবেন বলে যে গানগুলি তখন বাঁধা হয়েছিল তার-মধ্যে একটা দুটো গান মনে পড়ে, যেমন-
চিরসখা,
ছেড়ো না মোরে ছেড়ো না [পূজা-৪১৩]
[তথ্য]
এ পরবাসে রবে কে হায়
[পূজা-৪৩৫]
[তথ্য]
কে বসিলে আজি হৃদয়াসনে
-
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
-
গ্রন্থ:
-
পত্রিকা:
-
তত্ত্ববোধিনী
(ফাল্গুন ১৩০৪ বঙ্গাব্দ)। সিন্ধু-আড়াঠেকা'।
পৃষ্ঠা ১৭৯।
ভাদ্র ১৮৩৭ শকাব্দ সংখ্যা।
কাঙ্গালীচরণ সেন-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল। [
নমুনা]
-
পরিবেশনা:
৬৮তম
মাঘোৎসবের [রবিবার,
১১ মাঘ ১৩০৪ বঙ্গাব্দ ২৩ জানুয়ারি ১৮৯৮ খ্রিষ্টাব্দ]
মোট ৭টি ব্রহ্মসঙ্গীত পরিবেশিত হয়েছিল। এর মধ্যে এই গানটি-সহ মোট ৪টি গান নতুন
ছিল।
-
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
-
ভাঙা গান: এটি একটি ভাঙা গান। মূল গান:
সিন্ধু। মধ্যমান।
বে পরি
জাঁ
তাঁডে তাঁতে পর'
বন রঁদিয়া বে হে মিয়া ফুলনুয়া
রনসকদে পরিয়াঁ না বে সাবরু বরু॥
পরিয়াঁ বে পরি বন বঁদিয়া আওরন
শকদে শোরী দে দি টপে দিয়া বরু॥
গিরিজাদেবীর কণ্ঠে যে রেকর্ড
পাওয়া যায়, তার সাথে উপরের বাণী অংশের পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়।
[শ্রবণ নমুনা:
গিরিজা দেবী]
রবীন্দ্রসংগীত-প্রসঙ্গ, প্রথম
খণ্ড। শ্রী প্রফুল্লকুমার দাস। জিজ্ঞাসা পাবলিসিং হাউস। কলিকাতা। ৭ অগ্রহায়ণ ১৪১৪
বঙ্গাব্দ।
দ্র:
রবীন্দ্রসংগীতের ত্রিবেণীসংগম/ইন্দিরাদেবী
চৌধুরানী।
গান সংখ্যা ৮৮।
এই সুরে শ্রীধর কথকের রচিত একটি গান পাওয়া যায়। গানটির বাণী হলো
যে যাতনা যতনে মনে মনই জানে।
পাছে লোকে হাসে শুনে, লাজে প্রকাশ করি
নে॥
প্রথম মিলনাবধি যেন কত অপরাধী—
নিরবধি সাধি প্রাণপণে।
তবু তো সে নাহি তোষে, আরো দোষে অকারণে।
-
স্বরলিপিকার: কাঙ্গালীচরণ সেন।
-
সুর ও তাল:
রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতে-
রবীন্দ্রনাথ এই গানগুলির সুর নিয়েছিলেন রাধকা গোস্বামীর কাছ থেকে।
-
রাগ-সিন্ধু।
তাল-ড়াঠেকা। তত্ত্ববোধিনী।
-
রাগ-সিন্ধু।
তাল-মধ্যমান। স্বরবিতান-৪৫
- রাগ: কাফি। অঙ্গ: টপ্পা। তাল: মধ্যমান [রবীন্দ্রসংগীত
: রাগ-সুর নির্দেশিকা।
সুধীর চন্দ। (প্যাপিরাস,
জানুয়ারি ১৯১৩)।
পৃষ্ঠা : ৪৬]।
-
রাগ: সিন্ধু।
তাল: মধ্যমান ঢালা
[রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত। প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ৮৩।]
-
বিষয়াঙ্গ:
ব্রহ্মসঙ্গীত।
-
সুরাঙ্গ:
টপ্পা ভাঙা গান।
-
গ্রহস্বর: র্সা।