বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত
শিরোনাম:
আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে বিরাজ',
সত্যসুন্দর
পাঠ ও পাঠভেদ:
- গীতবিতান (বিশ্বভারতী, কার্তিক
১৪১২)-এর পাঠ:
পূজা:
৪৭৬
আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে বিরাজ',
সত্যসুন্দর
॥
মহিমা তব উদ্ভাসিত মহাগগনমাঝে,
বিশ্বজগত মণিভূষণ বেষ্ঠিত চরণে
॥
গ্রহতারক চন্দ্রতপন ব্যাকুল দ্রুত বেগে
করিছে পান,
করিছে স্নান,
অক্ষয় কিরণে
॥
ধরণী'পর
ঝরে নির্ঝর,
মোহন মধু শোভা
ফুল্লপল্লব-গীতগন্ধ-সুন্দর-বরনে
॥
বহে জীবন রজনীদিন চিরনূতনধারা,
করুণা তব অবিশ্রাম জনমে মরণে
॥
স্নেহ প্রেম দয়া ভক্তি কোমল করে প্রাণ,
কত সান্ত্বন করো বর্ষণ সন্তাপহরণে
॥
জগতে তব কী মহোৎসব,
বন্দন করে বিশ্ব
শ্রীসম্পদ ভূমাস্পদ নির্ভয়শরণে
॥
- পাণ্ডুলিপির পাঠ: রবীন্দ্র পাণ্ডুলিপি পাওয়া যায় নি।
- তথ্যানুসন্ধান
- ক. রচনাকাল ও স্থান: রবীন্দ্রনাথের
৩১ বৎসর ৯ মাস বয়সের রচনা।
- খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
-
গ্রন্থ:
-
কাব্যগ্রন্থ
-
কাব্যগ্রন্থাবলী [আদি ব্রাহ্মসমাজ প্রেস, ১৩০৩। ব্রহ্মসঙ্গীত।
রাগিণী মহিশূরী ভজন।
পৃষ্ঠা: ৪৬৬][নমুনা]
-
গান
-
প্রথম সংস্করণ [সিটি বুক সোসাইটি,
১৩১৫ বঙ্গাব্দ]।
ব্রহ্মসঙ্গীত।
-
বিতীয় সংস্করণ
[ইন্ডিয়ান
প্রেস (১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দ, ১৩১৬
বঙ্গাব্দ)।
ব্রহ্মসঙ্গীত।
রাগিণী মহীশূরী ভজন- তাল একতাল। পৃষ্ঠা: ২৬৫-২৬৬।
[নমুনা:
প্রথমাংশ,
শেষাংশ ]
-
গানের বহি ও বাল্মীকি প্রতিভা (আদি ব্রাহ্মসমাজ যন্ত্র ১৩০০)
মহীশূরী ভজন। পৃষ্ঠা: ৩৯৭-৩৯৯ [নমুনা:
প্রথমাংশ,
দ্বিতীয়াংশ,
শেষাংশ]
-
গীতবিতান
-
প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণ
[বিশ্বভারতী, আশ্বিন ১৩৩৮,
কাব্য-গ্রন্থাবলী
(১৩০৩ বঙ্গাব্দ)-এর ব্রহ্মসঙ্গীত অংশ থেকে গৃহীত হয়েছিল।
পৃষ্ঠা: ১৭৩-১৭৪][নমুনা:
প্রথমাংশ,
দ্বিতীয়াংশ]
-
প্রথম খণ্ড দ্বিতীয়
সংস্করণ (বিশ্বভারতী ১৩৪৮)
-
অখণ্ড সংস্করণ, তৃতীয় সংস্করণ
(বিশ্বভারতী ১৩৮০)। পূজা: ৪৭৬। উপ-বিভাগ
বিবিধ-১০১।
-
গীতিচর্চ্চা (বিশ্বভারতী
১৩৩২)
গান সংখ্যা ৭৮। পৃষ্ঠা: ৫৯-৬০[নমুনা:
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
-
ধর্ম্মসঙ্গীত (ইন্ডিয়ান পাবলিশিং
হাউস, ১৩২১)। গান।
পৃষ্ঠা: ১১১-১১২
[নমুনা:
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
-
ব্রহ্মসঙ্গীত স্বরলিপি প্রথম ভাগ (১ মাঘ ১৩১১ বঙ্গাব্দ)।
মহীশূরী ভজন-একতালা। কাঙ্গালীচরণ
সেন-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
-
রবীন্দ্রগ্রন্থাবলী
(হিতবাদী ১৩১১)। ব্রহ্মসঙ্গীত। গান সংখ্যা: ৪১৫। মহীশূরী ভজন। পৃষ্ঠা: ১০৫০। [নমুনা:
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
-
স্বরবিতান
চতুর্থ (৪) খণ্ডের (মাঘ ১৪১২) ৪৬
সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ১১৫।
[নমুনা:
মূল স্বরলিপি,
সুরান্তর]
- পত্রিকা:
-
তত্ত্ববোধিনী (ফাল্গুন ১২৯৯)। মহীশূরী ভজন। পৃষ্ঠা: ২১৫।
[নমুনা]
-
গ.সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
-
ভাঙা গান:
এটি একটি ভাঙা গান।
রবীন্দ্রনাথ মূল গানটি
পেয়েছিলেন সরলাদেবী'র (রবীন্দ্রনাথের বোন স্বর্ণকুমারী দেবীর কন্যা) কাছ থেকে।
সরলাদেবী তাঁর জীবনের ঝরাপাতা (দ্বিতীয় দে'জ সংস্করণ এপ্রিল ২০০৯, বৈশাখ
১৪১৬) গ্রন্থে এ বিষয়ে লিখেছেন— 'মহীশূরে যখন গেলুম সেখান থেকে এক অভিনব ফুলের সাজি
ভরে আনলুম। রবিমমার পায়ের তলায় সে গানের সাজিখানি খালি না করা পর্যন্ত, মনে বিরাম
নেই। সাজি থেকে এক একখানি সুর তুলে নিলেন তিনি, সেগুলিকে মুগ্ধচিত্তে নিজের কথা
দিয়ে নিজের করে নিলেন—তবে আমার পূর্ণ চরিতার্থ হল। "আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে", "এস সে
গৃহদেবতা", "এ কি লাবণ্যে পূর্ণ প্রাণ", চিরবন্ধু চিরনির্ভর" প্রভৃতি আমার আনা সুরে
বসান গান।'
প্রফুল্লকুমার দাসের রচিত 'রবীন্দ্রসঙ্গীত গবেষণা গ্রন্থমালা' তৃতীয় খণ্ডে এই গানটি
সংগ্রাহক হিসেবে ইন্দিরা দেবী'র নাম পাওয়া যায়। এই গ্রন্থে বলা হয়েছে-
ইন্দিরাদেবী শ্রীমতি সাবিত্রী দেবীর কাছ থেকে পেয়েছিলেন।
মূলগান-মহীশূরী
জাতীয় সঙ্গীত
কারৌ শ্রী গৌরী
করুণা লহরী
তোয়া জাক্ষী
শঙ্করী ঈশ্বরী।
শ্রী জয় চামুণ্ডিকে
শ্রীজয় চামেন্দ্রা
নামাঙ্কিত ভূমোন্দ্রল
লামল সুদদে॥
ইন্দিরাদেবী সংগৃহীত। (শ্রীমতি সাবিত্রী দেবীর নিকট
প্রাপ্ত)।
প্রফুল্লকুমার দাস/ পৃষ্ঠা: ১০।
-
স্বরলিপিকার:
স্বরবিতান
চতুর্থ (৪) খণ্ডের (মাঘ ১৪১২) সুরভেদ/ছন্দোভেদ অংশে কাঙ্গালীচরণ
সেন -কৃত স্বরলিপি দেওয়া
হয়েছে।
[পৃষ্ঠা ১৩৮]। মূল স্বরলিপিটি কার তা সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায় না।
[কাঙ্গালীচরণ
সেন-কৃত স্বরলিপির তালিকা]
-
সুর ও তাল:
-
মহীশূরী ভজন। তাল-একতাল।<
স্বরবিতান
চতুর্থ (৪) খণ্ডের (মাঘ ১৪১২)]
-
ঝিঝিঁট-মহীশূরী ভজন। তাল:
একতাল।
[রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ।
প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬। পৃষ্ঠা: ২৭]
-
রাগ:
মহীশূরী ভজন। তাল:
তেওরা।
[রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত। প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ৫৩।]
-
বিষয়াঙ্গ: ভজন ভাঙা গান।
-
গ্রহস্বর: গা।
-
লয়:
মধ্য।