বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা: ৪৮
শিরোনাম:
দুঃখের বরষায় চক্ষের জল যেই নামল
পাঠ ও পাঠভেদ:
দুঃখের বরষায় চক্ষের জল যেই নামল
বক্ষের দরজায় বন্ধুর রথ সেই থামল ॥
মিলনের পাত্রটি পূর্ণ যে বিচ্ছেদ -বেদনায়;
অর্পিনু হাতে তার, খেদ নাই আর মোর খেদ নাই ॥
বহুদিনবঞ্চিত অন্তরে সঞ্চিত কী আশা,
চক্ষের নিমেষেই মিটল সে পরশের তিয়াষা।
এত দিনে জানলেম যে কাঁদন কাঁদলেম সে কাহার জন্য।
ধন্য এ জাগরণ, ধন্য এ ক্রন্দন, ধন্য রে ধন্য ॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: [ RBVBMS 229] [পাণ্ডুলিপি]
পাঠভেদ:
স্বরবিতান ত্রয়শ্চত্বারিংশ খণ্ডের
(মাঘ ১৪১২) -এর ৮৩ পৃষ্ঠায় মুদ্রিত
পাঠভেদ অনুসারে নিচের পাঠভেদটি দেখানো হলো।
পূর্ণ যে বিচ্ছেদ-বেদনায়;
অর্পিনু হাতে তাঁর,খেদ নাই : স্বরলিপি, তত্ত্ববোধিনী
৮ (১৮৩৮ শক)
পূর্ণ যে বিচ্ছেদে বেদনায়;
অর্পিনু হাতে তাঁর,খেদ নাই :
গীতবিতান (আশ্বিন ১৩৩৮)
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান: পাণ্ডুলিপিতে
গানটি রচনার তারিখ উল্লেখ আছে, 'শ্রাবণ ১৩২১ শান্তিনিকেতন'।
প্রবাসী
পত্রিকার 'অগ্রহায়ণ ১৩২১ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায় প্রকাশিত এই গানটির নিচেও লেখা
আছে 'শ্রাবণ ১৩২১ শান্তিনিকেতন'। উল্লেখ্য
১৩২১
শ্রাবণ মাসে রবীন্দ্রনাথের রচিত এই একটি মাত্র গানের সন্ধান পাওয়া যায়।
এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৫৩ বৎসর ৩ মাস বয়সের রচনা।
[রবীন্দ্রনাথের ৫৩ বৎসর
অতিক্রান্ত বয়সে রচিত গানের তালিকা]
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ:
কাব্যগ্রন্থ নবম খণ্ড। গীতালি গান ২৯ । (ইন্ডিয়ান প্রেস, ১৩২৩ বঙ্গাব্দ)। পৃষ্ঠা: ৪১৭-৪১৮। [নমুনা: ৪১৭, ৪১৮]
দ্বিতীয় খণ্ড, প্রথম সংস্করণ (বিশ্বভারতী, আশ্বিন ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ)।)। ১৩২১ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত গীতালি থেকে গৃহীত। পৃষ্ঠা: ৪৬৮-৪৬৯। [নমুনা: ৪৬৮, ৪৬৯]
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, মাঘ ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ)। গান সংখ্যা ১৬। পৃষ্ঠা: ২২। [নমুনা]
অখণ্ড সংস্করণ, তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দ)। পর্যায়: পূজা ৪৮। উপবিভাগ: বন্ধু ১৬। পৃষ্ঠা: ২৬ [নমুনা]
প্রথম সংস্করণ [ইন্ডিয়ান পাবলিশিং হাউস, ১৩২১ বঙ্গাব্দ]। প্রথম গান। পৃষ্ঠা: ৩-৪। [নমুনা: প্রথমাংশ, শেষাংশ]
প্রথম গান। রবীন্দ্ররচনাবলী একাদশ খণ্ড (বিশ্বভারতী, ১৩৯৩)। পৃষ্ঠা ২১৯-২০।
স্বরবিতান ত্রয়শ্চত্বারিংশ (৪৩ ) খণ্ডের
(মাঘ ১৪১২) ১৫ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ৪৫-৪৬।
পত্রিকা:
তত্ত্ববোধিনী [অগ্রহায়ণ ১৮৩৬ শকাব্দ, ১৩২১ বঙ্গাব্দ। দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল। শিরোনাম নূতন গান ও স্বরলিপি। পৃষ্ঠা: ১৩৯-১৪৮।]
রেকর্ডসূত্র:
কলম্বিয়া রেকর্ড
কোম্পানি এই গানটির রেকর্ড প্রকাশ করেছিল। শিল্পী ছিলেন অসিত ঘোষাল।
রেকর্ড নম্বর
N
26084।
[সূত্র:
রেকর্ডে রবীন্দ্রসংগীত । সিদ্ধার্থ ঘোষ (ইন্দিরা সংগীত-শিক্ষায়তন।
নভেম্বর ১৯৮৯)। পৃষ্ঠা: ৫৮
]
প্রকাশের
কালানুক্রম:
প্রবাসী
ও
তত্ত্ববোধিনী
পত্রিকার
অগ্রহায়ণ ১৩২১ বঙ্গাব্দ সংখ্যায় গীতিগুচ্ছের প্রথম গান হিসেবে প্রকাশিত হয়।
এই বছরেই
প্রকাশিত 'গীতালি'-তে
অন্তর্ভুক্ত হয়ে গানটি প্রকাশিত হয়েছিল। এরপর ১৩২৩ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত
'কাব্যগ্রন্থ' নবম খণ্ডে অন্তর্ভুক্ত -গীতালি'র গান হিসেবে প্রকাশিত হয়।
১৩২৮
বঙ্গাব্দের ১৭ ও ১৮ ভাদ্র [শুক্র-শনি ২-৩ সেপ্টেম্বর ১৯২১ খ্রিষ্টাব্দ]
কলকাতার জোড়াসাঁকো
বিচিত্রা বাড়ির পিছনে মণ্ডপ তৈরি করে বর্ষার গানের বিশেষ আয়োজন করা হয়। এই
অনুষ্ঠান উপলক্ষে বর্ষা-মঙ্গল নামে একটি পুস্তিকা প্রকাশ করা হয়েছিল।
মলাটসহ পুস্তিকাটির পৃষ্ঠা সংখ্যা ছিল ২০। মলাটে বর্ষা-মঙ্গল নাম ছাড়া,
প্রকাশন বিষয়ক আর যে তথ্য পাওয়া যায়, তা হলো- '৬, দ্বারকানাথ ঠাকুরের
গলি/কলিকাতা/ভাদ্র ১৩২৮/দাম চার আনা'। আলোচ্য গানটি এই পুস্তিকার ১১ সংখ্যক
গান ছিল অন্তর্ভুত ছিল।
১৩৩৬ বঙ্গাব্দের ২৬শে শ্রাবণ শান্তনিকেতনে বর্ষামঙ্গল অভিনীত হয়। ওই
অনুষ্ঠানের ১২টি গান প্রবাসী পত্রিকার 'ভাদ্র ১৩৩৬' সংখ্যা প্রকাশিত
হয়েছিল। এর ভিতরে আলোচ্য গানটি ১১ সংখ্যক হিসেবে মুদ্রিত হয়েছিল।
১৩৩৮ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত গীতবিতানের দ্বিতীয় খণ্ডের প্রথম
সংস্করণে অন্তর্ভুক্ত হয়।
১৩৪৮
খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত গীতবিতানের প্রথম খণ্ডের দ্বিতীয় সংস্করণে এই গানটি
গৃহীত হয় পূজা পর্যায়ে। ১৩৮০ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত গীতবিতানের অখণ্ড সংস্করণে
পূজা পর্যায়ের ৪৮ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়।