বিষয়: 
		রবীন্দ্রসঙ্গীত। 
		গান সংখ্যা: 
		
		শিরোনাম: 
		
      
      আমার 
      হিয়ার মাঝে লুকিয়ে ছিলে দেখতে আমি পাই নি।
		
		পাঠ ও পাঠভেদ:
		
আমার হিয়ার মাঝে লুকিয়ে ছিলে দেখতে আমি পাই নি।
তোমায় দেখতে আমি পাই নি।
বাহির-পানে চোখ মেলেছি, আমার হৃদয়-পানে চাই নি॥
আমার সকল ভালোবাসায় সকল আঘাত সকল আশায়
তুমি ছিলে আমার কাছে, তোমার কাছে যাই নি॥
তুমি মোর আনন্দ হয়ে ছিলে আমার খেলায়—
আনন্দে তাই ভুলেছিলেম, কেটেছে দিন হেলায়।
গোপন রহি গভীর প্রাণে আমার দুঃখসুখের গানে
সুর দিয়েছ তুমি, আমি তোমার গান তো গাই নি॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: [RBVBMS 229] [নমুনা]
পাঠভেদ: স্বরবিতান একচত্বারিংশ খণ্ডের (বৈশাখ ১৪১৩) ৮১ পৃষ্ঠায় মুদ্রিত পাঠভেদ অনুসারে পাঠভেদ অংশটুকু তুলে ধরা হলো।
                      
তোমায় দেখতে আমি পাই নি...  
                      আমার হৃদয়-পানে চাই নি              : স্বরলিপি গীতলেখা ৩ 
(১৩২৭)
                            দেখ্তে আমি পাইনি.....           
                            হৃদয়-পানেই চাই নি                : কথার অংশ গীতলেখা ৩ 
(১৩২৭)
                                                                      গীতবিতান 
(আশ্বিন ১৩৩৮)
তথ্যানুসন্ধান
			ক. রচনাকাল ও স্থান: 
			
	
			
	RBVBMS 229 
			পাণ্ডুলিপিতে 
			গানটির
			রচনাকাল ও স্থান উল্লেখ আছে, '২৫
			চৈত্র কলিকাতার পথে রেলগাড়িতে'।
			উল্লেখ্য, ১৩২০ 
বঙ্গাব্দের ৫ ফাল্গুন [মঙ্গলবার ১৭ ফেব্রুয়ারি] তারিখে রবীন্দ্রনাথ শিলাইদহে আসেন। 
১০-১১ ফাল্গুন তারিখে উত্তরবঙ্গ সাহিত্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়- তৎকালীন পাবনা 
ইনস্টটিউশনে। ১০ ফাল্গুন সকালে শিলাইদহ থেকে নৌকায় পদ্মা পার হয়ে পাবনা যান। সঙ্গে 
ছিলেন প্রমথ চৌধুরী ও মণিলাল গঙ্গোপাধ্যায়। পাবনাতে এঁরা আতিথ্য গ্রহণ করেন 
শীতলাহির জমিদার যোগেন্দ্রনাথ মৈত্রের বাড়িতে। 
			১২ ফাল্গুন তারিখে 
			রবীন্দ্রনাথ 
			পাবনা থেকে শিলাইদহে আসেন। 
এরপর ২৫ চৈত্র 
			রেল গাড়িতে
			কলিকাতার উদ্দেশ্যে রওনা 
দেন। রেলগাড়িতে বসে তিনি এই গানটি রচনা করেছিলেন। 
	
	৫২ বৎসর অতিক্রান্ত হওয়ার কিছু আগে 
			রবীন্দ্রনাথ এই গানটি রচনা করেছিলেন। 
			
			
	
	[রবীন্দ্রনাথের 
	৫২ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সের রচিত গানের তালিকা]
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ:
কাব্যগ্রন্থ নবম খণ্ড। গীতিমাল্য গান ৯২ । (ইন্ডিয়ান প্রেস, ১৩২৩ বঙ্গাব্দ)। পৃষ্ঠা: ৩৯০। [নমুনা ]
দ্বিতীয় খণ্ড, প্রথম সংস্করণ (বিশ্বভারতী, আশ্বিন ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ)।্গাব্দ)। ১৩২১ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত গীতিমাল্য থেকে গৃহীত। পৃষ্ঠা: ৪৫৮। [নমুনা]
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, মাঘ ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ)। গান সংখ্যা ১৮। পৃষ্ঠা: ২৩। [নমুনা]
অখণ্ড সংস্করণ, তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দ)। পর্যায়: পূজা ৫০। উপবিভাগ: বন্ধু ১৮। পৃষ্ঠা: ২৬-২৭। [নমুনা: ২৬, ২৭]
গীতলেখা ৩য় ভাগ (অগ্রহায়ণ ১৩২৭ বঙ্গাব্দ)। দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
প্রথম সংস্করণ [ইন্ডিয়ান পাবলিশিং হাউস, ১৯ আষাঢ় ১৩২১ বঙ্গাব্দ। ৯২ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা: ১১৪। [নমুনা]
৯২ সংখ্যক গান। রবীন্দ্ররচনাবলী একাদশ খণ্ড (বিশ্বভারতী, আশ্বিন ১৩৯৩)। পৃষ্ঠা: ১৯৯।
					
					
					
					স্বরবিতান একচত্বারিংশ 
(৪১ ) খণ্ডের (বৈশাখ ১৪১৩) পঞ্চম গান। পৃষ্ঠা: ১৬-১৮।
 
পত্রিকা:
					
					
					
					আনন্দ-সঙ্গীত পত্রিকা 
					(ভাদ্র ১৩২২ বঙ্গাব্দ)।
					ইন্দিরাদেবী-কৃত 
স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
 
রেকর্ডসূত্র: সিদ্ধার্থ ঘোষের রচিত রেকর্ডে রবীন্দ্রসংগীত (ইন্দিরা সংগীত-শিক্ষায়তন। নভেম্বর ১৯৮৯) গ্রন্থ থেকে আলোচ্য গানের দুটি রেকর্ডসূত্রের তথ্য পাওয়া যায়। রেকর্ড দুটি হলো-
১৯২৬ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দের ভিতরে এইচএমভি এই গানের রেকর্ড প্রকাশ করেছিল। এই গানটি গেয়েছিলেন হরেন্দ্রনাথ দত্ত। রেকর্ড নম্বর P 9043। পৃষ্ঠা: ৫৪।
					১৯৩৬  খ্রিষ্টাব্দ থেকে ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে হিন্দুস্থান রেকর্ড এই গানটির 
				আরেকটি রেকর্ড প্রকাশ 
				করেছিল। এই রেকর্ডে গান গেয়েছিলেন ইন্দুলেখা ঘোষ। রেকর্ড নম্বর
					H 813। 
					পৃষ্ঠা: ৫৬।
 
				প্রকাশের কালানুক্রম:  
				
				
				১৩২১ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত গীতিমাল্যে এই গানটি 
				অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। 
				দিনেন্দ্রনাথ 
				ঠাকুর-কৃত স্বরলিপি-সহ
				
				আনন্দ-সঙ্গীত পত্রিকা 'র 'ভাদ্র ১৩২২ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায় 
				প্রকাশিত হয়েছিল। ১৩২৩ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত 'কাব্যগ্রন্থ' নবম খণ্ডে অন্তর্ভুক্ত 
				-গীতিমাল্য'র গান হিসেবে প্রকাশিত হয়। 
১৩৩৮ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত গীতবিতানের দ্বিতীয় খণ্ডের 
				প্রথম
				সংস্করণে 
				অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৩৪৮ 
				খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত গীতবিতানের প্রথম খণ্ডের দ্বিতীয় সংস্করণে 
				এই গানটি গৃহীত হয় পূজা পর্যায়ে। ১৩৮০ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত 
				গীতবিতানের অখণ্ড সংস্করণে পূজা পর্যায়ের ৫০ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত 
				হয়েছে। 
 
স্বরবিতান একচত্বারিংশ খণ্ডে (বৈশাখ ১৪১৩) গৃহীত স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিটি ৩/৩/৩/৩ মাত্রা ছন্দে একতাল-এ নিবদ্ধ।
					বাউল। 
					তাল: একতাল। 
					[রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, 
					জুলাই ২০০১ পৃষ্ঠা: 
					৫৯]
                    
					[একতালে নিবদ্ধ 
রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
                    
[পিলু রাগে নিবদ্ধ 
রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
গ্রহস্বর: সা।
লয়: মধ্য।