বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত
শিরোনাম:
প্রভাতে বিমল আনন্দে বিকশিত
কুসুমগন্ধে
পাঠ ও পাঠভেদ:
- গীতবিতান (বিশ্বভারতী, কার্তিক
১৪১২)-এর পাঠ:
পূজা:
৫৪১
প্রভাতে বিমল আনন্দে বিকশিত
কুসুমগন্ধে
বিহঙ্গমগীতছন্দে
তোমার আভাস পাই
॥
জাগে বিশ্ব তব
ভবনে প্রতিদিন নব জীবনে,
অগাধ শূন্য পূরে কিরণে,
খচিত নিখিল বিচিত্র বরনে-
বিরল আসনে বসি
তুমি সব দেখিছ
চাহি
॥
চারি দিকে করে
খেলা বরন-কিরণ-জীবন-মেলা,
কোথা তুমি অন্তরালে !
অন্ত
কোথায়,
অন্ত কোথায়- অন্ত তোমার
নাহি নাহি॥
-
পাণ্ডুলিপি: রবীন্দ্রনাথের পাণ্ডুলিপি
Ms.434
তথ্যানুসন্ধান
- ক.
রচনাকাল ও স্থান: গানটির
রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না।
১১ মাঘ ১২৯৩ বঙ্গাব্দ শনিবার ২৩ জানুয়ারি ১৮৮৬ তারিখে
সপ্তপঞ্চাশ সাংবৎসরিক মাঘোৎসব
উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথ এই গানটিসহ ২৬টি
নতুন গান পরিবেশিত হয়েছিল। ধারণা করা হয়, রবীন্দ্রনাথ এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে
এই গানগুলো রচনা করেছিলেন। এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ২৫ বৎসর ৯ মাস।
[রবীন্দ্রনাথের
২৫ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সে রচিত গানের তালিকা]
- খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
-
গীতবিতান
-
প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণ
[বিশ্বভারতী, আশ্বিন ১৩৩৮।
কাব্য-গ্রন্থাবলী
(১৩০৩ বঙ্গাব্দ)-এর ব্রহ্মসঙ্গীত অংশ থেকে গৃহীত হয়েছিল। পৃষ্ঠা: ১৬০]
[নমুনা]
-
প্রথম খণ্ড (বিশ্বভারতী ১৩৪৮)
-
অখণ্ড সংস্করণ, তৃতীয় সংস্করণ
(বিশ্বভারতী ১৩৮০)। পূজা: ৫৪১। উপ-বিভাগ:
সুন্দর-২৬
-
ধর্ম্মসঙ্গীত [ইন্ডিয়ান পাবলিশিং
হাউস, ১৩২১]। গান। পৃষ্ঠা: ১৩৬।
[নমুনা]
-
ব্রহ্মসঙ্গীত
স্বরলিপি তৃতীয় ভাগ
(মকর সংক্রান্তি ১৩১৩ বঙ্গাব্দ)।
গুর্জরী টোড়ি-ঝাঁপতাল। কাঙ্গালীচরণ সেন-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত
হয়েছিল।
-
রবীন্দ্রগ্রন্থাবলী
(হিতবাদী ১৩১১)। ব্রহ্মসঙ্গীত। গান সংখ্যা: ৩৭৪। গুর্জরী টোড়ি-ঝাঁপতাল।
পৃষ্ঠা: ১০৪৫
[নমুনা]
-
স্বরবিতান ত্রয়োবিংশ (২৩) খণ্ডের ১২ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ৩৪-৩৫।[নমুনা]
পত্রিকা:
-
তত্ত্ববোধিনী (ফাল্গুন
১৮০৮ শকাব্দ ১২৯৩ বঙ্গাব্দ)। গুর্জরী তোড়ি-চৌতাল । পৃষ্ঠা ২১১।]
- গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
- ভাঙা গান:
এটি একটি ভাঙা গান। মূল গানটি তানসেনের রচিত
গুর্জরীটোড়ি।চৌতাল। (বিলম্বিত)
নাদ নগর বসায়ে,
সুরপট মহল ছায়ে
উনঞ্চাশ
কোটি তান,
অচ্ছর বিশ্রাম পায়ে
॥
গীত ছন্দ তত বিতত ডমরুকা ধুন,
আলাপ
তান তালকে কিবাড়,
খরজ সুরপট জিঞ্জির,
ত্রিবট খুঙ্গীতামে ধুরপদ মধ ছিপায়ে
॥
কহে মিয়া তানসেন,
শুনহো গোপাল লাল,
অর্ব খর্ব কর্ দেখায়ে,
সুর মিলায়ে,
কণ্ঠ মিলায়ে,
কবর পরখ পায়ে
॥
গীতসূত্রসার ২
সঙ্গীত-চন্দ্রিকা গ্রন্থে মূল ধ্রপদটিতে অন্তরার পরে আরো দুটি ছত্র পাওয়া যায়, যথা-
সপ্ত সুর তিন গ্রাম চহুঁ দিশ ঘের লায়ে,
তামধ লাগভাট ফুলবারী বনায়ে।
দ্র: রবীন্দ্রসংগীত-গবেষণা-গ্রন্থমালা,
৩য়
খণ্ড/শ্রীপ্রফুল্লকুমার দাস। পৃষ্ঠা ১৭-১৮।
রবীন্দ্রসংগীতের ত্রিবেণীসংগম/ইন্দিরাদেবী
চৌধুরানী। গান
সংখ্যা-১৩৫।
-
স্বরলিপিকার:
কাঙ্গালীচরণ সেন।
-
সুর ও তাল:
-
রাগ: গুর্জরী টোড়ী। তাল-চৌতাল। স্বরবিতান-২৩, তত্ত্ববোধিনী (ফাল্গুন ১৮০৮শকাব্দ ১২৯৩
বঙ্গাব্দ)।
-
রাগ:
গুর্জরী টোড়ী।
তাল: চৌতাল।
[রবীন্দ্রসংগীত : রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। (প্যাপিরাস,
ডিসেম্বর, ২০০৬)। পৃষ্ঠা: ৬৫]
-
রাগ:
গুর্জরী টোড়ী।
তাল: চৌতাল।। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত। প্রফুল্লকুমার
চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমী, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ১১৩ ]
-
বিষয়াঙ্গ:
ব্রহ্মসঙ্গীত।
-
সুরাঙ্গ:
ধ্রুপদাঙ্গ।
-
গ্রহস্বর: জ্ঞা।
-
লয়: ঈষৎ
বিলম্বিত।