বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
হে মোর
দেবতা, ভরিয়া এ দেহ প্রাণ
পাঠ
ও পাঠভেদ:
হে মোর দেবতা, ভরিয়া এ দেহ প্রাণ
কী অমৃত তুমি চাহ করিবারে পান।
আমার নয়নে তোমার বিশ্বছবি
দেখিয়া লইতে সাধ যায় তব কবি,
আমার মুগ্ধ শ্রবণে নীরব রহি
শুনিয়া লইতে চাহ আপনার গান॥
আমার চিত্তে তোমার সৃষ্টিখানি
রচিয়া তুলিছে বিচিত্র তব বাণী।
তারি সাথে, প্রভু, মিলিয়া তোমার প্রীতি
জাগায়ে তুলিছে আমার সকল গীতি—
আপনারে তুমি দেখিছ মধুর রসে
আমার মাঝারে নিজেরে করিয়া দান॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: রবীন্দ্রনাথের পাণ্ডুলিপি
[RBVBMS 357] [নমুনা]
পাঠভেদ:
স্বরবিতান সপ্তত্রিংশ
(৩৭) খণ্ডের (ভাদ্র ১৪১৩)
-এর ৯৮ পৃষ্ঠায় মুদ্রিত
পাঠভেদ অনুসারে
নিচের পাঠভেদ
দেখানো হলো।
রচিয়া
তুলিছে বিচিত্র তব বাণী : গীতলিপি ৪
রচিয়া তুলিছে বিচিত্র এক বাণী : গীতবিতান (আশ্বিন ১৩৩৮)
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল
ও স্থান: রবীন্দ্রনাথের উভয় পাণ্ডুলিপিতেই
তারিখ উল্লেখ আছে ১৩ই আষাঢ় ১৩১৭ বঙ্গাব্দ। গানটি তিনি রচনা করেছিলেন
শিলাইদহ-এ। এই সময়
৪৯ বৎসর
৩ মাস বয়সে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল।
[রবীন্দ্রনাথের
৪৯ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সে রচিত গানের তালিকা]
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি
গ্রন্থ
কাব্যগ্রন্থ অষ্টম খণ্ড (ইন্ডিয়ান প্রেস, ১৩২৩ বঙ্গাব্দ)। গীতাঞ্জলি থেকে গৃহীত হয়েছিল। গান সংখ্যা ৯৪। পৃষ্ঠা: ৩৯১ [নমুনা]
প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণ (বিশ্বভারতী ১৩৩৮)। ১৩১৮ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত 'রাজা ' নাটক থেকে গানটি গৃহীত হয়েছিল। পৃষ্ঠা: ৩৬২। [নমুনা]
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী ১৩৪৮)। পূজা, বন্ধু-৫৩। পৃষ্ঠা: ৩৬। [নমুনা]
অখণ্ড, তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, ১৩৮০) পূজা: ৮৫, উপবিভাগ: বন্ধু-৫৩। পৃষ্ঠা: ৪০।
গীতলিপি ৪র্থ ভাগ (১৩১৭ বঙ্গাব্দ)। সুরেন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায়-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
গীতাঞ্জলি
।
পৃষ্ঠা: ৭৮।
ধর্ম্মসঙ্গীত (ইন্ডিয়ান পাবলিসিং হাউস, ১৩২১ বঙ্গাব্দ, ১৯১৪ খ্রিষ্টাব্দ)। পৃষ্ঠা: ৩২-৩৩ [নমুনা: প্রথমাংশ, শেষাংশ]
সংগীত-গীতাঞ্জলি (১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দ)। ভীমরাও শাস্ত্রী-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
সঞ্চয়িতা [বিশ্বভারতী ১৩৩৮। ১৩১৭ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত 'গীতাঞ্জলি' থেকে গৃহীত। শিরোনাম: প্রতিসৃষ্টি । পৃষ্ঠা: ৪৬৮-৪৬৯] [নমুনা: প্রথমাংশ, শেষাংশ]
স্বরবিতান সপ্তত্রিংশ (৩৭) খণ্ডের
(ভাদ্র ১৪১৩) ২৯ সংখ্যক গান।
পৃষ্ঠা: ৮৭-৮৯।
রবীন্দ্রনাথ-কৃত অনুবাদ ইংরেজি গীতাঞ্জলির পাঠ GITANJALI (Song offerings)। ৬৫ সংখ্যক গান। :
What divine drink wouldst thou have, my God, from this overflowing cup of my life?
My poet, is it thy delight to see thy creation through my eyes and to stand at the portals of my ears silently to listen to thine own eternal harmony?
Thy world is weaving words in my mind and thy joy is adding music to them. Thou givest thyself to me in love and then feelest thine own entire sweetness in me.সূত্র:
- Gitanjali, Rabindranath Tagore, Visva-Bharati and UBSPD, Thirteenth Reprint 2008, Page 172-173.
- নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত গীতাঞ্জলি −রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সম্পাদনা : আবদার রশীদ। বাংলা একাডেমী ঢাকা। (ফেব্রুয়ারি ১৯৯৩ সংস্করণ)।
পত্রিকা:
তত্ত্ববোধিনী (চৈত্র
১৩১৭ বঙ্গাব্দ)।
ইমন কল্যাণ-একতাল।
পৃষ্ঠা ২০৩।
[নমুনা]
রেকর্ডসূত্র:
প্রকাশের
কালানুক্রম:
১১ মাঘ ১৩১৭ বঙ্গাব্দ
[বুধবার ২৫ জানুয়ারি ১৯১১ খ্রিষ্টাব্দ]-এ
৮১তম সাংবৎসরিক মাঘোৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এই
মাঘোৎসব উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথের ২১টি গান পরিবেশিত হয়েছিল। এর ভিতরে প্রাতঃকালীন
অধিবেশনে পরিবেশিত হয়েছিল ৮টি গান এবং সায়ংকালীন অধিবেশনে ১৩টি গান পরিবেশিত
হয়েছিল। আলোচ্য গানটি পরিবেশিত হয়েছিল
সায়ংকালীন অধিবেশনে। ১৩১৭ বঙ্গাব্দের ভাদ্র মাসে গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়
গীতাঞ্জলিতে। এই বছরেই
সুরেন্দ্রনাথ
বন্দোপাধ্যায়-কৃত স্বরলিপি-সহ গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল 'গীতলিপি চতুর্থ ভাগ'-এ।
১৩১৭ বঙ্গাব্দে
অনুষ্ঠিত
৮১তম সাংবৎসরিক মাঘোৎসব-এ
গানটি প্রথম পরিবেশিত হয়। এরপর গানটি প্রকাশিত হয়
তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার 'চৈত্র
১৩১৭ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায়।
১৩২১ বঙ্গাব্দে
ইন্ডিয়ান পাবলিসিং
হাউস থেকে
প্রকাশিত
ধর্ম্মসঙ্গীত
-এ গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
১৩৩৮ বঙ্গাব্দে
বিশ্বভারতী কর্তৃক প্রকাশিত গীতবিতানের প্রথম খণ্ডে স্থান পেয়েছিল
'গীতাঞ্জলি' থেকে। এরপর গীতবিতানের
একই খণ্ডের
১৩৪৮ সংস্করণে গানটি পূজা পর্যায়ের বন্ধু উপবিভাগে অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৩৮০ বঙ্গাব্দে
অখণ্ড গীতবিতানের
তৃতীয় সংস্করণে গানটি পূজা পর্যায়েই পাওয়া যায়।
গ. সঙ্গীতবিষয়ক তথ্যাবলি:
স্বরলিপি: [নমুনা]
স্বরলিপিকার:
[সুধীরচন্দ্র
কর-কৃত রবীন্দ্রসঙ্গীতের স্বরলিপির তালিকা]
[ভীমরাও
শাস্ত্রী-কৃত রবীন্দ্রসঙ্গীতের স্বরলিপির তালিকা]
সুর ও তাল:
গীতলিপি (৪র্থ ভাগ) থেকে স্বরবিতান সপ্তত্রিংশ (৩৭) খণ্ডে (আশ্বিন ১৩৬১) গৃহীত হয়েছিল। বর্তমান সংস্করণ (ভাদ্র ১৪১৩)-এ তা অবিকৃত অবস্থায় আছে।
স্বরবিতান সপ্তত্রিংশ (৩৭) খণ্ডে (আশ্বিন ১৩৬১) গৃহীত গানটির স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ রয়েছে ইমন কল্যাণ ও একতাল। [স্বরবিতান সপ্তত্রিংশ (৩৭) খণ্ডে (আশ্বিন ১৩৬১)]
বিষয়াঙ্গ:
সুরাঙ্গ:
গ্রহস্বর: না।
লয়: মধ্য।