এই গ্রন্থের ভাদ্র ১৪১৩
মুদ্রণের ৫৭ পৃষ্ঠায় মুদ্রিত প্রজ্ঞাপনটি নিচে উল্লেখ করা হলো।
স্বরবিতান একপঞ্চাশত্তম খণ্ড প্রকাশিত হয় চৈত্র ১৩৬৩ সালে (১৮৭৯ শকাব্দ)। এই খণ্ডের
সম্পাদনার দায়িত্ব বহন করেন ইন্দিরাদেবী চৌধুরানী।
এই গ্রন্থে উনিশটি গানের স্বরলিপি সংকলিত। তন্মধ্যে ‘জ্বল্ জ্বল্ চিতা, দ্বিগুণ
দ্বিগুণ’ এবং ‘হৃদয়ে রাখো গো দেবী, চরণ তোমার’ গ্রন্থশেষে পরিশিষ্টে মুদ্রিত।
উল্লিখিত গানের প্রথমটি জ্যোতিরিন্দ্রনাথের ‘সরোজিনী’ নাটকের প্রথম সংস্করণের জন্য
(১৭৯৭ শকাব্দ) কিশোর রবীন্দ্রনাথ যেভাবে রচনা করিয়া দেন তাহা জ্যোতিরিন্দ্রনাথের
স্মৃতিকথায় কথিত ও প্রচলিত তৃতীয়-খণ্ড গীতবিতানের গ্রন্থপরিচয়ে সংকলিত হইয়াছে; ইহার
সুর জ্যোতিরিন্দ্রনাথের রচনা হওয়াও অসম্ভব নয়। দ্বিতীয় গানটি বাল্মীকিপ্রতিভার
অনেকগুলি সংস্করণে শেষ দৃশ্যে সন্নিবিষ্ট থাকিবার পর, ১৯০৮ সেপ্টেম্বরে ‘গান’
গ্রন্থে ঐ গীতিনাট্য-সংকলন-সময়ে বর্জিত হইয়াছে; এই গানের ভাব ও ভাষা বহুলাংশে
বিহারীলাল চক্রবর্তীর ‘সারদামঙ্গল’ (গ্রন্থপ্রকাশ বাংলা ১২৮৬ সালে, সাময়িকে আংশিক
প্রকাশ ১২৭৭-৮১ সালে) কাব্য হইতে গৃহীত। ‘মুখের হাসি চাপলে কি হয়’ গানটি
রবীন্দ্রনাথের রচনা নহে প্রমাণিত হওয়ায় বর্তমান সংস্করণে (বৈশাখ ১৩৮০) বর্জিত
হইয়াছে।
ইন্দিরাদেবী চৌধুরানী –কৃত ২-৫, ৮-১০, ১২ ও পরিশিষ্টের ১-২ সংখ্যক গানের স্বরলিপি
পাণ্ডুলিপি হইতে গৃহীত। সরলাদেবী চৌধুরানী –কৃত ১১ ও ১৩ –সংখ্যক গানের স্বরলিপি
যথাক্রমে ভারতী ১২৯০ অগ্রহায়ণ-সংখ্যা ও ‘শতগান’ গ্রন্থ হইতে গৃহীত। অনাদিকুমার
দস্তিদার –কৃত ১৬-সংখ্যক গানের স্বরলিপি পাণ্ডুলিপি হইতে সংকলিত। ১৪ ও ১৫ –সংখ্যক
গানের স্বরলিপি যথাক্রমে সঙ্গীতপ্রকাশিকা ১৩১৪ আষাঢ় ও ১৩১২ শ্রাবণ সংখ্যা হইতে এবং
১, ৬ ও ৭ –সংখ্যক গানের স্বরলিপি যথাক্রমে ভারতী ১২৯৯ কার্তিক সংখ্যা এবং ১৩০০
বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ সংখ্যা হইতে গৃহীত – কোনো ক্ষেত্রেই স্বরলিপিকারের নামোল্লেখ পাওয়া
যায় না।
‘নাচ্ শ্যামা, তালে তালে’ ও ‘জ্বল্ জ্বল্ চিতা’ গান দুইটির গীত অংশের স্বরলিপি
মাত্র মুদ্রিত হইয়াছে।
১৪-সংখ্যক গানের গীতরীতি সম্পর্কে বিশেষ অবহিত হওয়া আবশ্যক।
এই গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত গানের পাঠভেদ ও প্রকাশকাল সম্পর্কে এ যাবৎ সংগৃহীত তথ্য
বর্তমান সংস্করণে (বৈশাখ ১৩৮০) সন্নিবিষ্ট হইল। উল্লিখিত তথ্যাদি সংগ্রহ ও সংকলন
করিয়াছেন শ্রীপ্রফুল্লকুমার দাস।
ফাল্গুন ১৩৯১