আমিয়াখুম জলপ্রপাত
Amhiyakhum

বাংলাদেশের বান্দরবান জেলার অন্তর্গত  থানচি উপজেলার শেষ প্রান্তে মিয়ানমার সীমান্তের কাছে, নাক্ষিয়ং নামক স্থানে অবস্থিত একটি জলপ্রপাত। মারমা ভাষায় খুম শব্দের অর্থ হলো জলপ্রপাত। তাই আমিয়াখুম এর অর্থ দাঁড়ায় - আমিয়া'র জলপ্রপাত। প্রাকৃতি সৌন্দর্যের জন্য একে বলা হয়ে থাকে 'বাংলার ভূস্বর্গ'।

এই জলপ্রপাতের প্রধান আকর্ষণ, অরণ্য-সবুজ পাহাড়ি ধাপে নেমে আসা দুধসাদা ফেনাযুক্ত জলরাশি। এই জলরাশির চারপাশটা বেশ ফাঁকা থাকায়, পুরো জলপ্রপাতকে ক্যানভাসে আঁকা সজীব চিত্র মনে হয়।

এই জলপ্রপাতটি দুর্গম এলাকায়। এর নিকটবর্তী অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের কাছে পরিচিত থাকলেও বাইরের পৃথিবীর মানুষের কাছে অজ্ঞাত ছিল। পর্যটকদের আনাগোণা শুরু হয়েছে ২০০০ খ্রিষ্টাব্দের পরে। তারপরেও পথের দুর্গমতার জন্য খুব বেশি পর্যটক আমিয়াখুম আসতে চান না। তারপরেও বছরের প্রায় হাজার দশেক পর্যটক আমিয়াখুম দেখতে আসেন।

এই জলপ্রপাত দেখার জন্য,
বান্দরবান থেকে বাস বা জীপে প্রায় ৭৯ কিলোমিটার থানচি যেতে হয়।
থানচি উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার দূরে তিন্দু ইউনিয়ন অবস্থিত। এই দুটি স্থানের মধ্যে প্রবাহিত হয়েছে সাঙ্গু নদী। আবার তিন্দু ইউনিয়ন থেকে রেমক্রি ইউনিয়নের দূরত্ব ৯ কিলোমিটার। এই রেমক্রিতেরেমক্রি খাল উপনদী হিসেবে সাঙ্গু নদীর সাথে মিলিত হয়ে, থানচির দিকে প্রবাহিত হয়েছে। এই কারণে, থানচি থেকে নৌপথে রেমক্রি আসতে গেলে উজানে আসতে হয়। আবার নাফাখুম জলপ্রপাত জলপ্রপাত থেকে আসা রেমাক্রি খাল নিচের দিকে প্রবাহিত হয়ে রেমাক্রি জলপ্রপাতে পতিত হয়েছে। তাই রেমাক্রি থেকে নাফাখুম জলপ্রপাত যেতে হলে রেমক্রি খাল ধরে উজানে যেতে হয়।  এরপর ৩/৪ ঘণ্টা মিয়ানমার সীমান্তের দিকে হেঁটে সাজিয়াপাড়া পৌঁছান। এরপর প্রায় সাড়ে তিনঘণ্টা হাঁটা পথে এগিয়ে গেলে আমিয়াখুম জলপ্রপাতের দেখা পান।