জুরাছড়ি
চট্টগ্রাম [বাংলাদেশ] বিভাগের রাঙ্গামাটি জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা।

চাকমা ভাষায় জুর অর্থ শীতল, ছড়ি অর্থ ছড়া। উপজেলা সদরের দক্ষিণে সলক নদীর উজানে জুরাছড়ি নামক একটি ছড়া রয়েছে। এ ছড়ার পানি খুবই শীতল। কথিত আছে, এই শীতল জলের ছড়া থেকে এই উপজেলার নামকরণ হয়েছে জুরাছড়ি।

ভৌগোলিক অবস্থান:
২২°২৭'- ২২°৪৪' উত্তর অক্ষাংশ ৯২°১৯'-৯২°৩৩' পূর্ব দ্রাঘিমাংশ।
রাঙ্গামাটিজেলা সদর থেকে এর দূরত্ব প্রায় ৫৭ কিলোমিটার। এর উত্তরে বরকল ও রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা, পশ্চিমে রাঙ্গামাটি সদর, দক্ষিণে বিলাইছড়ি এবং ভারত-এর মিজোরাম প্রদেশ অবস্থিত।

আয়তন: ৬০৬.০৫ বর্গকিলোমিটার।

নদনদী ও খাল বিল: উপজেলার মধ্য দিয়ে
কর্ণফুলী নদী প্রবাহিত হয়েছে। এর উত্তর পশ্চিমাংশে রয়েছে এছাড়া রয়েছে কাপ্তাই হ্রদ। এছাড়া এ উপজেলার মধ্য দিয়ে সুবলং খাল এবং খাগড়াছড়ি খাল প্রবাহিত হয়ে কর্ণফুলী নদীতে পতিত হয়েছে।

২০১১ খ্রিষ্টাব্দের পরিসংখ্যান অনুযায়ী জুরাছড়ি উপজেলার জনসংখ্যা ২২,৩৬৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১১,৮৮১ জন এবং মহিলা ১০,৪৮৪ জন। এটি একটি উপজাতি অধ্যুষিত উপজেলা। উপজাতিদের মধ্যে চাকমাদের সংখ্যা বেশি। এছাড়া মারমা, তঞ্চঙ্গ্যা, পাংখোয়া উপজাতির বসবাস রয়েছে এ উপজেলায়। জুরাছড়ি উপজেলা মোট জনসংখ্যার ৩.৩৫% মুসলিম, ০.৭৩% হিন্দু, ৯৫.৩৯% বৌদ্ধ এবং ০.৫৩% খ্রিস্টান ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বী রয়েছে

অর্থকরী ফসল: তিল, ভুট্টা, চিনা বাদাম, সরিষা, মসূর, আলু, মিষ্টি আলু, বারমাসি শিম, ঢেরস, বেগুন, পাহাড়ী মরিচ ইত্যাদি। মসল্লা জাতীয় ফসলের মধ্যে যেমন- আদা, হলুদ, পেঁয়াজ, রসুন, তেজপাতা, ধনিয়া, মরিচ, বিলাতি ধনিয়া ইত্যাদি।

প্রাকৃতিক সম্পদ: বিভিন্ন প্রজাতির গাছ, বাঁশ, বেত, পাথর বালি ইত্যাদি।
প্রাণিজ সম্পদ: গরু, ছাগল, হরিণ, ভাল্লুক, বানর, শুকর, গয়াল, হাতি, ইত্যাদি।

যোগাযোগ:
রাঙ্গামাটি জেলা সদর থেকে জুরা
ছড়ি যাওয়ার প্রধান যোগাযোগ মাধ্যম জলযান। তবে শুকনো মৌসুমে সড়ক পথে যাওয়া যায়।
 
প্রশাসন: বর্তমানে এই উপজেলাটিতে ৪টি ইউনিয়ন রয়েছে। এগুলো হলো-  জুরাছড়ি সদর, বনযোগীছড়া, মৈদং ও দুমদুম্যা।

ইতিহাস: এই উপজেলাটি বরকল উপজেলার জেলার একটি ইউনিয়ন ছিল। ১৮৮০ খ্রিষ্টাব্দের ১৮ই নভেম্বর জুরাছড়িকে থানায় উন্নীত করা হয়। ১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ জুলাই একে উপজেলায় উন্নীত করা হয়।  
নির্বাচনী আসন: ২৯৯ পার্বত্য রাঙামাটি।

দর্শনীয় স্থান

তথ্যসূত্রঃ