খাগড়াছড়ি
বাংলাদেশ-এর চট্টগ্রাম বিভাগের একটি জেলা।

এই এলাকায় প্রচুর কার্পাস তুলা উৎপাদন হতো। এই কারণে ১৮৬০ খ্রিষ্টাব্দের আগে এই এলাকাটি কার্পাস মহল হিসেবে পরিচিত ছিল। বর্তমান খাগড়াছড়ি এলাকায় পাহাড়ি নদীর পাড়ের ঘন খাগড়া বন ছিল। এই সূত্রে থেকে এই স্থান নাম খাগড়াছড়ি নামে পরিচিতি লাভ করেছে।

ভৌগোলিক অবস্থানন
২২৩৮' উত্তর অক্ষাংশ হতে ২৩৪৪' উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১৪৪' পূর্ব দ্রাঘিমাংশের থেকে  ৯২১১' মধ্যে। এ জেলার চট্টগ্রাম বিভাগীয় সদর থেকে এ জেলার দূরত্ব ১১১ কিলোমিটার। এ জেলার পূর্বে রাঙ্গামাটি জেলা, দক্ষিণে রাঙ্গামাটি চট্টগ্রাম জেলা, পশ্চিমে চট্টগ্রাম জেলা ও ভারত-এর ত্রিপুরা প্রদেশ এবং উত্তরে ভারত-এর ত্রিপুরা প্রদেশ অবস্থিত।

ইতিহাস ও প্রশাসন: খাগড়াছড়ি বৃহত্তর চট্টগ্রামের অংশ হিসেবে ব্রিটিশদের অধীনে আসে ১৮৬০ খ্রিষ্টাব্দে। ১৮৬০ খ্রিষ্টাব্দের ২০শে জুন প্রশাসনিক সুবিধার জন্য রাঙ্গামাটি, বান্দরবান এবং খাগড়াছড়ি নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়।

১৮৬০ খ্রিষ্টাব্দের ACT XXII দ্বারা ঐ বছরের ১লা আগষ্ট তারিখে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়। এই সময় একজন অফিসারকে পার্বত্য ক্ষুদ্রনৃগোষ্ঠীদের জন্য সুপারিনটেনডেন্ট পদে নিযুক্ত করা হয়। এভাবেই রেগুলেশান জেলার সিভিল, ক্রিমিনাল এবং রাজস্ব আদালত ও কর্মকর্তাদের অধিক্ষেত্র হতে পাহাড়ী ও বনাঞ্চলকে আলাদা করা হয়। একজন হিল সুপারন্টেন্ট নিয়োগের প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল আক্রমণকারী ক্ষুদ্রনৃগোষ্ঠীদের প্রতিরোধ করা এবং সাধারণ ক্ষুদ্রনৃগোষ্ঠীর লোকদের রক্ষা করা। তার অধীনস্থ পাহাড়ী এলাকাকে তখন থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম নামে অভিহিত করা হয়। উল্লেখ্য এর আগে এই অঞ্চলকে কার্পাসমহল বলা হত। এই সময় পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলার সদর দপ্তর চন্দ্রঘোনাতে স্থাপিত হয়। এই ব্যবস্থার পর, পরবর্তী কয়েক বছরের জন্য সীমান্তের শান্তিরক্ষার প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেয়া হয়। এ সময়ে রাণী কালিন্দি চাকমা রাজার দায়িত্বে ছিলেন।

এএই সময় কুকি-নৃগোষ্ঠী পার্বত্য চট্টগ্রামের অরণ্য-পরিবেষ্টিত দুর্গম এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর, ১৯৮১ খ্রিষ্টাব্দে পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা থেকে পৃথক করে বান্দরবান-কে পৃথক করে জেলা ঘোষণা করা হয়। আর ১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দ একই ভাবে সৃষ্টি করা হয় খাগড়াছড়ি জেলা।

এই জেলার উপজেলার সংখ্যা ৯টি। এগুলো হলো— খাগড়াছড়ি সদর, গুইমারা, দীঘিনালা, পানছড়ি, মহালছড়ি, মাটিরাঙ্গা, মানিকছড়ি, রামগড় ও লক্ষ্মীছড়ি। প্রতিটি জেলা সদরে রয়েছে একটি করে সদর থানা। এর ভিতরে খাগড়াছড়ি, মাটিরাঙ্গা ও রামগড়কে তিনটি উপজেলা সদর পৌরসভায় উন্নীত করা হয়েছে।

পর্যটন:


সূত্র :
http://www.bandarban.gov.bd/
http://www.banglapedia.org/HTB/103465.htm
http://chittagong.com/rangamati-sadar-upazila/