আলিপুর কেন্দ্রীয় কারাগার
ভারতের
পশ্চিমবঙ্গের
রাজধানী
কলকাতায় স্থাপিত কারগার।
অন্যনাম: আলিপুর জেল।
ব্রিটিশ ভারতে রাজনৈতিক বন্দীদের রাখার জন্য,
এই কারাগার তৈরি করা হয়েছিল।
আলিপুর জেল তৈরি আগে তৈরি হয়েছিল লালবাজার জেল এবং হরিণবাড়ি জেল। ১৮৮১ খ্রিষ্টাব্দে
এই দুটি জেলকে একত্রিত করে একটি বড় জেল তৈরি করা হয়েছিল। এর নাম ছিল ময়দানের জেল।
১৭৮৪ খ্রিষ্টাব্দে
Pitt’s India Act.
পাশ হয়। ১৭৮৫ খ্রিষ্টাব্দে হেড কনস্টেবল মাইকেল গ্রেস হলেন প্রথম ব্রিটিশ পুলিশ
কর্মকর্তা। মাইকেল গ্রেসের দপ্তর ছিল আম্বাস্যাডর হাউসে।
এই সময় অনেক অপরাধের শাস্তি হিসেবে অঙ্গচ্ছেদ করা হতো। ১৭৯০
খ্রিষ্টাব্দে লর্ড কর্নওয়ালিস
অঙ্গচ্ছেদের পরিবর্তে সশ্রম কারাদণ্ডেরর বিধান দিলেন।
সে সময় একটি অঙ্গের পরিবর্তে ৭ বছর ও দুটি অঙ্গের পরিবর্তে ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের বিধান দিলেন।
তবে মারাত্মক অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ড বজায়
ছিল।
১৮৬৪ খ্রিষ্টাব্দে তৈরি হয়েছিল আদি আলিপুর জেল। এই সময় প্রেসিডেন্সি
জেল হিসেবে ছিল ময়দানের জেলখানা।
১৯০৬ খ্রিষ্টাব্দে আদি গঙ্গার পাড়ে নতুন করে আলিপুর জেল তৈরি করা হয়েছিল।
১৯১৩ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ অক্টোবর, প্রেসিডেন্সি জেলের কার্যক্রম বন্ধ করে, সেখানে তৈরি
করা হয়েছিল, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল। এই সময় আদি আলিপুর জেল পরিণত হয়েছিল
প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার
(Presidency Correctional Home)। সেই
সাথে হরিণবাড়ি জেলখানার বিলুপ্তি ঘটেছিল।
১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দে ১৭ই জানুয়ারি (বুধবার ৩রা মাঘ ১৩২৯)
কাজী
নজরুল ইসলামকে
প্রেসিডেন্সি জেল থেকে
আলিপুর কারাগারে
রাখা হয়। ১৩ই এপ্রিল (শুক্রবার ৩০ চৈত্র ১৩২৯), আলীপুর সেন্ট্রাল জেল নজরুলকে থেকে হুগলী জেলে
স্থানান্তরিত করা হয়।
১৯২৬ খ্রিষ্টাব্দে আলিপুর জেলে ফাঁসি হয়েছিল স্বাধীনতা সংগ্রামী অনন্তহরি মিত্র ও প্রমোদরঞ্জন চৌধুরীর।
১৯৩১ খ্রিষ্টাব্দে এই জেলে
দীনেশ গুপ্তের ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দের অক্টোবর থেকে পরের বছরের জুন পর্যন্ত
এই জেলে বন্দিদশা কাটান দেশপ্রিয় যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত।
১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দে এই জেলে দীনেশ মজুমদারেরও একই পরিণতি হয়েছিল।
১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দের ফেব্রুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত বন্দি
ছিলেন
জহরলাল নেহেরু ।
১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দে অবিভক্ত বাংলায় প্রেসিডেন্সি কারাগার,
আলিপুর কারাগার, মেদিনিপুর কারাগার, ঢাকা
কারাগার ও রাজশাহী কারগারকে কেন্দ্রীয় কারাগার হিসেবে ঘোষিত হয়েছিল।
ব্রিটিশ ভারতে আলিপুর কারাগারে বিভিন্ন সময়ে রাখা হয়েছিল ছিলেন
নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু,
দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ,
যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত, জহরলাল নেহেরু, বিধানচন্দ্র রায়,
কাজী
নজরুল ইসলামের
মতো বহু রাজনৈতিক বন্দী।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে, এই জেলকে যাদুঘরে
রূপান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আলিপুর এরিয়া ডেভলপমেন্ট প্রজেক্ট
নামক কার্যক্রমের অধীনে এই কারাগারের প্রেস-সহ
সংশোধনাগারের জমি,
wbhidco
এর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।ে।