ছায়ানটে শুদ্ধসঙ্গীত উৎসব ২০১২-এ রুদ্রবীণা বাজাচ্ছেন ওস্তাদ বাহাউদ্দীন ডাগর |
এই যন্ত্রে কাঠামোটিতে ৫৪-৬২ ইঞ্চি লম্বা বাঁশ বা কাঠের দণ্ড থাকে। একে বলা হয় দণ্ডী। এই দণ্ডটি দুটি বড় বড় গোলাকার তুম্বার উপর বসানো থাকে। এই তুম্বা দুটি তৈরি হয়ে থাকে লাউয়ের খোলস দ্বারা। মূলদণ্ডের উপর নির্দিষ্ট দূরত্ব রেখে ২৪টি কাঠের আড়া স্থিরভাবে বসানো থাকে। প্রতিটি আড়ার উপরে তামার পাত বসানো থাকে। এই আড়াগুলোকে বলা হয় ঘাট। দণ্ডের দুই প্রান্ত থেকে সংযোজক চারটি প্রধান তার ও ৩টি চিকাই থাকে। এই তারগুলো হয় ইস্পাতের এবং ব্যাস হয় .৪৫-.৪৭ মিলিমিটার। এই তারগুলো ঘাটের উপর দিয়ে সটান অবস্থায় থাকে। তারগুলো যথাযথাভাবে বেঁধে মিজরাবের সাহায্যে বাজানো হয়। এই যন্ত্রের ধ্বনি গম্ভীর ও সুমিষ্ট।
ধ্রুপদ আঙ্গিকের সঙ্গীত এই যন্ত্রে বাজানো হয়ে থাকে। এই যন্ত্রের বাদনে রাগের দীর্ঘ আলাপ হয় ধ্রুপদের মতো করে এবং তালের বিভিন্ন গুণিতক মানে ধ্রুপদের বৈশিষ্ট্য বাদিত হয়ে থাকে।