প্রাচীন ভারতীয় সঙ্গীত শাস্ত্রে বর্ণিত
গ্রামরাগ বিশেষ।
বৃহদ্দেশীতে [পৃষ্ঠা: ১৬৫] এই গ্রামরাগের পরিচয়ে বলা হয়েছে- এই গ্রামরাগটি মধ্যম গ্রামের শুদ্ধ জাতি
মধ্যমা
ও পঞ্চমী
থেকে উদ্ভব হয়েছিল। এর গ্রহ, অংশ এবং ন্যাস স্বর পঞ্চম। এতে
নিষাদ ও গান্ধারের অল্প প্রয়োগ হয়ে থাকে। এই গ্রামরাগের শুদ্ধ নিষাদের
পরবর্তে কাকলী নিষাদ ব্যবহৃত হয়।
স্বরসংখ্যাভিত্তিক জাতির বিচারে এটি সম্পূর্ণ। শৃঙ্গার ও
হাস্য রসে এই রাগের ব্যবহার করা হয়। নাটকে বিপ্রলম্ভশৃঙ্গারে ব্যবহাত হয় কঞ্চুকি
প্রবেশের ক্ষেত্রে। স্বরপদযুক্ত হয়ে ব্যবহৃত হয়- দক্ষিণ, বার্তিক বা চিত্র
মার্গে কলা প্রযুক্ত হয়ে সম্পাদিত হয়।
এক নজরে প্রাচীন ভারতের ভিন্নপঞ্চমের পরিচয়
- গ্রাম: মধ্যম
- শুদ্ধ
জাতি
মধ্যমা
ও
পঞ্চমী থেকে উদ্ভব হয়েছিল
- গীতি: রাগগীতি
- গ্রহস্বর: পঞ্চম
- অংশস্বর: পঞ্চম
- ন্যাসস্বর: পঞ্চম
- জাতি: সম্পূর্ণ-সম্পূর্ণ
- ব্যবহৃত বিকৃত স্বর:
কাকলী নিষাদ
- রস: বিপ্রলম্ভ শৃঙ্গার ও হাস্য
- তাল: চচ্চৎপুট
- মার্গ: চিত্রা,
বার্তিক ও দক্ষিণ
- প্রয়োগ: নাটকে
ব্যবহৃত ধ্রুবাগানে কঞ্চুকি প্রবেশের ক্ষেত্রে।
সঙ্গীতরত্নাকর থেকে রাগটির আক্ষিপ্তিকা দেওয়া হলো-

খ্রিষ্টীয়
চতুর্থ-পঞ্চম শতাব্দীতে
যাষ্টিক
এই রাগটি গ্রামরাগ হিসেবে অভিহত করেছিলেন। খ্রিষ্টীয় ষষ্ঠ শতাব্দীতে
রচিত মতঙ্গের রচিত 'বৃহদ্দেশী' গ্রন্থে [পৃষ্ঠা:
১৯৩]-
যাষ্টিকের
উদ্ধৃতিতে এই গ্রামরাগের অন্তর্গত ১টি ভাষা রাগের তালিকা দেওয়া
হয়েছে। রাগটি হলো-ভাবিনী বা লোকভাবনী। কিন্তু এই রাগের বিবরণ এই
গ্রন্থে নেই।
তথ্যসূত্র:
- নাট্যশাস্ত্র (চতুর্থ খণ্ড)। ভরত। বঙ্গানুবাদ: ডঃ সুরেশচন্দ্র
বন্দ্যোপাধ্যায় ও ডঃ ছন্দা চক্রবর্তী। নবপত্র প্রকাশন।ডিসেম্বর ২০১৪। পৃষ্ঠা:
১৯
- বৃহদ্দেশী। মতঙ্গ। সম্পাদনা রাজ্যেশ্বর মিত্র।
সংস্কৃত পুস্তক ভাণ্ডার। ১৯৯২। পৃষ্ঠা: ২০০,
২১৪-২১৫
- সঙ্গীতরত্নাকর। শার্ঙ্গদেব। সুরেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
অনূদিত। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। ২২ শ্রাবণ ১৪০৮।