মিয়া কি মল্লার
অন্য নাম : মিঞা-মল্লার।
উত্তর ভারতীয় সঙ্গীত পদ্ধতিতে
কাফি ঠাটের অন্তর্গত রাগ বিশেষ।
রাগাঙ্গ - মল্হার।
এই রাগের প্রকৃতি শান্ত এবং গম্ভীর। আরোহণে ধৈবত বর্জিত। উভয় নিষাদই ব্যবহৃত হয়। প্রাচীন সঙ্গীত-গ্রন্থে এই রাগের উল্লেখ নেই। সম্রাট আকবরের সভাগায়ক মিঞা তানসেন সৃষ্টি করেছিলেন।
এটি
বর্ষাকালের রাগ হিসাবে স্বীকৃত। এই রাগে গান্ধার ও ধৈবতে গম্ভীর
গমকের কাজ করা হয়। বিশেষ করে গান্ধারের গমকের দ্বারা কানাড়া রূপ পাওয়া যায়। তবে এর
সাথে মধ্যম-ঋষভের স্বরসঙ্গতিতে মল্লহার অঙ্গের রূপ প্রস্ফুটিত হয়। সাধারণত
মন্দ্র স্বরে বিলম্বিত আলাপ অত্যন্ত শ্রুতি মধুর হয়ে থাকে। এই রাগের চলনে বাহারের
প্রভাব দূর করার জন্য কৌশলে দুই নিষাদ ব্যবহার করা হয়।মিয়কি মল্লার-এর সুরশৈলী:
- মরপ জ্ঞজ্ঞমরস
- মপ ণধ নন র্স
- মপ ণধ র্স নপ
জ্ঞজ্ঞ মর স
- র প জ্ঞজ্ঞ ম র
স
আরোহণ:
স র ম প, ণ ধ, ন র্স
অবরোহণ:
র্স ণ প, ম প, জ্ঞ ম র স
ঠাট:
কাফি
জাতি: ষাড়ব-সম্পূর্ণ।
বাদীস্বর: মধ্যম (মতান্তরে ষড়্জ)
সমবাদী স্বর: ষড়্জ (মতান্তরে পঞ্চম)
অঙ্গ:
পূর্বাঙ্গ।
সময়:
বর্ষাকালের যে কোনো সময়ে গাওয়া যায়।
পকড় : স ণ্স, র
স, ধ্ ণ্প,
ম্প্ ণ্ধ্, ন্স, র প, জ্ঞজ্ঞ ম র স।
তথ্যসূত্র:
- মারিফুন্নাগমাত। রাজা নওয়াব আলী খান। অনুবাদ মকসুদুর রহমান হিলালী। বাঙলা
একাডেমী বর্ধমান হাউস। ঢাকা। পৃষ্ঠা: ২৮০-২৮১।
- রাগ বিন্যাস (প্রথম কলি)। শ্রীশচীন্দ্র নাথ ভট্টাচার্য্য। এস, চন্দ্র এন্ড
কোং। শারদীয়া সপ্তমী, সেপ্টেম্বর ১৯৭৬।
-
সঙ্গীত পরিচিতি
(উত্তরভাগ)। শ্রীনীলরতন বন্দ্যোপাধ্যায়। ৫ই ভাদ্র' '৮০। ২১
আগষ্ট '৭৩