রাগেশ্রী
অন্যনাম: রাগেশ্বরী।
উত্তর ভারতীয় সঙ্গীত পদ্ধতিতে
খাম্বাজ ঠাটের অন্তর্গত
রাগ বিশেষ।
প্রাচীন গ্রন্থাদিতে এর সমতুল্য রাগ হিসেবে 'রবিচন্দ্রিকা' পাওয়া যায়। এই রাগের
অবরোহে রেখাব ব্যবহারের কারণে
দুর্গা
থেকে পৃথক রূপে পাওয়া যায়। আবার তীব্র গান্ধার ব্যবহারের কারণে
বাগেশ্রী থেকে স্বতন্ত্র রূপ পরিগ্রহ করে। এছাড়া
বাহার
ও
মালগুঞ্জী
রাগের কিছুটা মিল আছে। কর্ণাটকী রাগ "নাট কুরঞ্জিকা'র সাথে এর মিল
পাওয়া যায়।
এই রাগটির প্রকৃতি শান্ত।
আরোহণে ঋষভ ও পঞ্চম বর্জিত। অবরোহে পঞ্চম বর্জিত। উভয় নিষাদ
ব্যবহৃত হয়। মূলত আরোহণে অল্প পরিমাণ শুদ্ধ নিষাদের ব্যবহার হয়। এর বাদী সমবাদী নিয়ে মতভেদ আছে।
বাদী-সমবাদী মতানৈক্যগুলো হলো-
গান্ধার-নিষাদ, নিষাদ-গান্ধার, মধ্যম-ষড়্জ।
আরোহণ :
স গ, ম,ণ র্স
অবরোহণ
: র্স ণ ধ, ম গ, ম র স
ঠাট
খাম্বাজ
জাতি
: ঔড়ব-ষাড়ব।
বাদীস্বর :
গান্ধার (মতান্তরে নিষাদ), মধ্যম
সমবাদী স্বর
: নিষাদ (মতান্তরে গান্ধার), ষড়্জ
অঙ্গ
: পূর্বাঙ্গ (মতান্তরে উত্তরাঙ্গ)
সময়
: রাত্রি দ্বিতীয় প্রহর।
পকড়
: ধ্ ণ্ স গ ম গ, র স
তথ্যসূত্র:
-
সঙ্গীত পরিচিতি
(উত্তরভাগ)। শ্রীনীলরতন বন্দ্যোপাধ্যায়। ৫ই ভাদ্র' '৮০। ২১
আগষ্ট '৭৩
-
সঙ্গীত বিজ্ঞান প্রবেশিকা। পৌষ ১৩৩৮। স্বরলিপি: জনম
জনম গেল আশা-পথ চাহি [তথ্য] [নমুনা]
-
মারিফুন্নাগমাত। রাজা নওয়াব আলী খান। অনুবাদ মকসুদুর রহমান হিলালী। বাঙলা
একাডেমী বর্ধমান হাউস। ঢাকা। পৃষ্ঠা: ১২৫-১২৬।