অশ্বসেন
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{
পৌরাণিক সত্তা
|
কাল্পনিকসত্তা
|
কল্পনা
|
সৃজনশীলতা
|
দক্ষতা
|
জ্ঞান |
মনস্তাত্ত্বিক বিষয়
|
বিমূর্তন
|
বিমূর্ত-সত্তা
|
সত্তা
|}
হিন্দু
পৌরাণিক কাহিনিতে দুটি ক্ষেত্রে এই নাম পাওয়া যায়। যেমন–
দ্রোণাচার্য-এর রথের সারথির নাম।
নাগ বিশেষ।
এর পিতার নাম
তক্ষক।
কৃষ্ণ
ও
অর্জুন
কর্তৃক
খাণ্ডববন
দহনকালে এর মা একে গলধকরণ করে বাইরে আনার চেষ্টা করলে
অর্জুন তার শিরোশ্ছেদ করেন।
এই সময়
ইন্দ্র ঝড়বৃষ্টি সৃষ্টি করে
অর্জুনকে মোহাচ্ছন্ন করলে অশ্বসেন মুক্ত হয়।
অগ্নি,
কৃষ্ণ
ও
অর্জুন তাকে অভিশাপ দিয়ে বলেন যে― সে নিরাশ্রয় হবে।
কর্ণার্জুন যুদ্ধের সময় অশ্বসেন মাতৃহত্যার প্রতিশোধ নেয়ার জন্য
অর্জুনকে হত্যা
করার প্রতিজ্ঞা নিয়ে,
কর্ণের অজ্ঞাতে তাঁর তূণে প্রবেশ করেছিল।
কর্ণ যখন
অর্জুনের উদ্দেশ্যে বাণ নিক্ষেপ করেন,
তখন
কৃষ্ণ
এই বিষয়ে অবগত হয়ে রথ নিচু করেন।
ফলে অশ্বসেন বাণ হয়ে
অর্জুনের
মুকুট দগ্ধ করে।
এরপর অশ্বসেন
কর্ণের কাছে গিয়ে আত্মপরিচয় দিয়ে তাকে পুনরায় বাণরূপে ব্যবহার করতে
অনুরোধ করে।
কিন্তু
কর্ণ একবাণ দুইবার ব্যবহার না করতে এবং অন্যের সাহায্যে জয়লাভে অসম্মত হওয়ায়,
অশ্বসেন নিজেই
অর্জুনকে
হত্যা করার
জন্য ধাবিত হয় এবং
অর্জুনের
অস্তরাঘাতে নিহত হয়।